বানৌজা তিমি

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) তিমি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সন্দ্বীপ শ্রেণীর একটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি (এলসিউই) জাহাজ। এই জাহাজটিকে দেশীয় প্রযুক্তিতে খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মাণ করা হয়। এই জাহাজটি সামুদ্রিক এবং উপকূলীয় অঞ্চলে উভচর অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি সেনাসদস্য, রসদ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ, ট্যাংক, সামরিক যানবাহন এবং বিভিন্ন প্রকার সামরিক সরঞ্জাম পরিবহনে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজটি দুর্যোগ কালীন সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা ও দুর্যোগ পরবর্তী ত্রাণ তৎপরতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।[1][2][3][4][5][6]

ইতিহাস
বাংলাদেশ
নাম: বানৌজা তিমি
নির্মাণাদেশ: ১৪ এপ্রিল, ২০১৮
নির্মাতা: খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড
অর্জন: ১২ জুন, ২০১৯
মাতৃ বন্দর: চট্টগ্রাম
শনাক্তকরণ: এল৯০৬
অবস্থা: সক্রিয়
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার ও শ্রেণী: সন্দ্বীপ-শ্রেণীর ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি
ওজন: ৪১৫ টন
দৈর্ঘ্য: ৪২ মিটার (১৩৮ ফু)
প্রস্থ: ১০ মিটার (৩৩ ফু)
গভীরতা: ১.৮ মিটার (৫.৯ ফু)
প্রচালনশক্তি:
  • ২ × ৬এওয়াইএম-ডব্লিউইটি ৪৪০ অশ্বশক্তি (৩৩০ কিওয়াট) ইয়ানমার ডিজেল ইঞ্জিন (জাপান)
  • ২ × শ্যাফট
গতিবেগ: ১২ নট (২২ কিমি/ঘ; ১৪ মা/ঘ)
সীমা: ১,২০০ নটিক্যাল মাইল (১,৪০০ মা; ২,২০০ কিমি)
সহনশীলতা: ৭ দিন
লোকবল: ২৫ জন
রণসজ্জা:
  • ২ × ২০ মিমি বিমান বিধ্বংসী কামান
  • ৪ × ১২.৭ মিমি বিমান বিধ্বংসী মেশিনগান

ইতিহাস

সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গৃহীত দীর্ঘমেয়াদী আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দেশীয় উৎস থেকে সমরাস্ত্র সংগ্রহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য খুলনা শিপইয়ার্ডে জাহাজ নির্মানের পদক্ষেপ নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ মার্চ, ২০১৮ সালে খুলনা শিপইয়ার্ডে উভচর জাহাজটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। অবশেষে ১২ জুন, ২০১৯ সালে বানৌজা তিমি জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে হস্তান্তর করা হয়।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো

বানৌজা তিমি জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৪২ মিটার (১৩৮ ফু), প্রস্থ ১০ মিটার (৩৩ ফু) এবং গভীরতা ১.৮ মিটার (৫.৯ ফু)। এই উভচর জাহাজটির ওজন ৪১৫ টন এবং জাহাজটিতে রয়েছে ২টি শ্যাফট ও ২টি ৬এওয়াইএম-ডব্লিউইটি ৪৪০ অশ্বশক্তি (৩৩০ কিওয়াট) ইয়ানমার ডিজেল ইঞ্জিন (জাপান)। জাহাজটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২ নট (২২ কিমি/ঘ; ১৪ মা/ঘ)। এটি ২৫ জন জনবল নিয়ে একনাগাড়ে ৭ দিন অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি ১৫০ টন কার্গো বহন করতে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজটি ৩টি সামরিক ট্যাংক, ২১৫ জন সেনাসদস্য এবং ৬টি সামরিক ট্রাক পরিবহন করতে সক্ষম।

রণসজ্জা

দুর্যোগ ও শান্তিকালীন সময়ে সহায়ক ভূমিকায় নিয়োজিত এই জাহাজটিতে রয়েছে:

  • ২টি ২০ মিমি বিমান-বিধ্বংসী কামান;
  • ৪টি সিআইএস-৫০ ১২.৭ মিমি বিমান-বিধ্বংসী মেশিনগান;
  • এছাড়াও যুদ্ধকালীন বিশেষ পরিস্থিতিতে জাহাজটিতে ৬টি ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কিউডব্লিউ-২ ম্যানপ্যাড মোতায়েন করা যায়।

তথ্যসূত্র

  1. "LANDING CRAFT UTILITY – Khulna Shipyard Ltd" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৭
  2. "রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠাতে তৈরি হচ্ছে ৪টি জাহাজ"Dhaka Tribune Bangla। ২০১৯-১১-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৮
  3. "জাতিসংঘের মালামাল নিয়ে ভাসানচরে নৌবাহিনীর দুই জাহাজ | Rohingya News | UNHCR | Bhasan Char"
  4. "Tender specification of spare parts for main engine and diesel generator- BNS TUNA, TIMI & DOLPHIN"Naval Store Sub Depot, Dhaka (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১৪
  5. "L906 Landing Craft Utility Vessel Of Bangladesh Navy | BNS LCU6 | Navy Vessel | Launch Graphy"
  6. "Promotional Video of DEW Ltd"
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.