বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন

বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন(বিএমএ) বাংলাদেশের চিকিৎসা পেশাজীবীদের জাতীয় সংগঠন।সোসাইটিস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৮৬০ দ্বারা নিবন্ধিত।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন(বিএমএ)
নীতিবাক্যTogether we serve
গঠিত১৯৫৬
ধরনপেশাজীবী সংগঠন
সদরদপ্তর১৫/২, তোপখনা রোড, ঢাকা
অবস্থান
সভাপতি
ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন[1]
মহাসচিব
ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল[1]
ওয়েবসাইটbma.org.bd

ইতিহাস

১৯৫৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের চিকিৎসকরা মিলে পাকিস্তান মেডিক্যাল এসোসিয়েশন গঠন করেন। পূর্ব পাকিস্তানের ডাক্তাররা পাকিস্তান মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (পূর্বাঞ্চল) আঞ্চলিক সংগঠনের মাধ্যমে সংগঠিত হয়েছিলেন যা কিনা ১৯৭১ সালে পরিবর্তন করে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন নামান্তরিত করা হয়।

উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য

যে সকল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের জন্য এই এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছেঃ[2]-

  • চিকিৎসা বিজ্ঞান ও ইহার সহযোগী বিজ্ঞান সমূহের উৎকর্ষ সাধন করা।
  • চিকিৎসা পেশার সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করা, এবং এসোসিয়েশনের সদস্যদের স্বার্থ, অধিকার ও সুযোগ সুবিধা রক্ষা করা, এবং জাতীয় ও ব্যক্তিজীবনে পেশাগত, নৈতিক, সামাজিক ও পেশাগত কারণে রাজনৈতিক দায়িত্ব

পালনে সদস ̈বৃন্দকে উদ্বুদ্ধ করা।

  • স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার্থে এই পেশাকে সহায়তা প্রদান করা।
  • বাংলাদেশে চিকিৎসা শাস্ত্রের শিক্ষা ও তৎসংক্রান্ত গবেষণার উন্নয়নকল্পে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
  • এসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা ও সংহতি রক্ষা করা এবং ভ্রাতৃসুলভ সম্পর্ক স্থাপর করা। অন্যান্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানাদির সদস্যবৃন্দের সংগেও সহযোগিতা এবং সংহতি বজায় রাখা এবং পেশা ও জনগনের মধ্যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভংগি গড়িয়া তোলার জন্য এ সকল সংগঠনের সহিত প্রয়োজন বোধে মৈত্রী গড়ে তোলা।
  • চিকিৎসক ও যে জনগণকে তারা সেবা করেন তাহাদের মধ্যে সমঝোতা আরও বৃদ্ধি করা এবং সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর করা।
  • সরকার ও অন্যান্য সংগঠিত সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞান শিক্ষা ইত্যাদি সংক্রান্ত ক্ষেত্রগুলি পরিচালনায় ও রক্ষণাবেক্ষণে চিকিৎসকদের পেশাগত ও বিশেষজ্ঞ সাহায্য, উপদেশ ও সহযোগিতা প্রদান করা।
  • এই ধরনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান ও সংশ্লিষ্ট হওয়া।
  • এই পেশার ব্যক্তিবর্গ বিশেষ করিয়া নতুন যাহার এই পেশায় প্রবেশ করিয়াছেন, তাহাদের পেশাগত উন্নয়নে পরামর্শ ও সাহায্য প্রদান করা।
  • পেশার পঙ্গু ব্যক্তিবর্গ ও মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সাহায্য প্রদান করা।
  • চিকিৎসা সেবা যথাযথভাবে প্রদানের মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে জনসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সদস্যদের ইথিক্যাল প্র্যাকটিসের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা এবং চিকিৎসকদের প্রয়োজনে আইনি সহায়তা দেওয়া।
  • জনগনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে এসোসিয়েশন সর্বাত্মকভাবে কাজ করবে এবং প্রয়োজনে জনস্বার্থ বিরোধী যে কোন পরিস্থিতি প্রতিরোধ করতে নিয়মতান্ত্রিক কর্মপন্থা গ্রহণ করবে।

সাংগঠনিক কাঠামো

৬৬ টি শাখায় এর কার্য্যক্রম চলে। কেন্দ্রীয় এবং শাখা কমিটির মাধ্যমে সংগঠনটি পরিচালিত হয়।

কার্য্যক্রম

চিকিৎসক সম্মেলনও করে থাকে তারা।[3] সমাজকল্যাণমূলক কাজ যেমন শীতবস্ত্র বিতরণও করে থাকে তারা।[4]

তথ্যসূত্র

  1. "বিএমএ নির্বাচন : ডা. জালাল সভাপতি ও ডা. দুলাল মহাসচিব নির্বাচিত"bhorerkagoj.com। দৈনিক ভোরের কাগজ। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৯
  2. "BMA CONSTITUTION"। BMA।
  3. "মানুষ তাহলে সেবা পাবে কীভাবে, ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী"bd-pratidin.com। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। ৭ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৯
  4. "বিএমএ'র পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ"banglanews24.com। banglanews24.com। ২০১৭-০১-১৯। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৯
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.