বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঐতিহাসিক জাহাজের তালিকা
এটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৯৭১ সাল থেকে সকল অবসরপ্রাপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অপসারিত জাহাজের তালিকা।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজের নামের পূর্বে "বানৌজা" উপসর্গ ব্যবহার করা হয় যার পূর্ণরূপ "বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ"।
ফ্রিগেট
শ্রেনি | ছবি | ধরন | জাহাজ | ওজন | নোট |
---|---|---|---|---|---|
টাইপ ০৫৩এইচ১ (জিংহু-২ শ্রেনি) | ![]() | ক্ষেপণাস্ত্রবাহী | বানৌজা ওসমান | ১ ৭০২ | জিয়াংটান নামে চীনা নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিল। |
সালিসবুরি শ্রেণির ফ্রিগেট | ![]() | ফ্রিগেট | বানৌজা উমর ফারুক | ২৪০৪ | প্রাক্তন- এইচএমএস ল্যান্ডাফ (এফ ৬১) । ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ অবসরপ্রাপ্ত। কিছুদিন যাদুঘর জাহাজ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও[1] পরবর্তীতে সেটিকে ভেঙ্গে ফেলা হয়।[2] |
লিওপার্ড শ্রেণির ফ্রিগেট | ![]() | ফ্রিগেট | বানৌজা আবু বকর বানৌজা আলী হায়দার | ২৫২০ | প্রাক্তন এইচএমএস লিনক্স (এফ২৭) এবং প্রাক্তন এইচএমএস জাগুয়ার। ২২ জানুয়ারি ২০১৪ অবসরপ্রাপ্ত।[3] |
লার্জ প্যাট্রল ক্রাফট
শ্রেনি | ছবি | ধরন | জাহাজ | ওজন | নোট |
---|---|---|---|---|---|
বিষখালী শ্রেণি | এলপিসি | বানৌজা বিষখালী | ১৪৩ | প্রাক্তন পিএনএস যশোর। ২০ মে ২০১৪ অবসরপ্রাপ্ত।[4] |
অফশোর প্যাট্রল ভেসেল
শ্রেনি | ছবি | ধরন | জাহাজ | ওজন | নোট |
---|---|---|---|---|---|
ওপিভি | বানৌজা শহীদ রুহুল আমিন | ৫৭০ | অ্যান্টিকোস্টি নামে একটি কানাডিয়ান উপকূলীয় যাত্রী-কার্গো জাহাজকে অফশোর প্যাট্রল ভেসেল হিসাবে রূপান্তর করা হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম সমুদ্রগামী জাহাজ। | ||
অজয় শ্রেনি | ওপিভি | বানৌজা পদ্মা বানৌজা সুরমা | ১৫০ | প্রাক্তন-আইএনএস অক্ষয় এবং প্রাক্তন-আইএনএস অজয়, ১৯৭৩ এবং ১৯৭৪ সালে ভারতীয় নৌবাহিনী উপহার দিয়েছিল। [5] |
ফাস্ট অ্যাটাক ক্রাফট
শ্রেনি | ছবি | ধরন | জাহাজ | ওজন | নোট |
---|---|---|---|---|---|
ক্ষেপণাস্ত্র | |||||
টাইপ ০২৪ | মিসাইল বোট | বানৌজা দূর্বার (পি৮১১১) বানৌজা দুরন্ত (পি৮১১২) বানৌজা দুর্ভেদ্য (পি৮১১৩) বানৌজা দুর্দম (পি৮১১৪) বানৌজা উত্তাল (পি৮১৪১) | ৭৯ | ৩০ মার্চ ২০১৭ অবসরপ্রাপ্ত। | |
কামান | |||||
টাইপ ০৬২ | ![]() | গানবোট | বানৌজা তাওফিক (পি ৬১১) বানৌজা তাওহীদ (পি ৬১২) বানৌজা তামজীদ (পি ৬১৩) বানৌজা তানভীর (পি ৬১৪) বানৌজা শহীদ দৌলত (পি ৪১১) বানৌজা শহীদ ফরিদ (পি ৪১২) বানৌজা শাহেদ মহিবুল্লাহ (পি ৪১৩) বানৌজা শহীদ আক্তার উদ্দিন (পি ৪১৪) | ১৩৫ | প্রথম চারটি ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে প্রদান করা হয়। |
ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী | |||||
টাইপ ০৩৭ | সাবমেরিন চেজার | বানৌজা দুর্জয় | ৩৯২ | ১৯৯৫ সালে মেরামতের অযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। | |
টর্পেডো | |||||
টাইপ ০২৫ | ![]() | টর্পেডো বোট | বানৌজা টিবি ৩৫ বানৌজা টিবি ৩৬ বানৌজা টিবি ৩৭ বানৌজা টিবি ৩৮ | ৪৫ | ১৮ জুন ২০১৫ সালে অবসরপ্রাপ্ত।[6] |
রিভারাইন পেট্রোল ক্রাফ্ট
শ্রেনি | ছবি | ধরন | জাহাজ | ওজন | নোট |
---|---|---|---|---|---|
কর্ণফুলী | টহল জাহাজ | বানৌজা কর্ণফুলী (পি৩১৪) বানৌজা তিস্তা (পি৩১৫) |
২৪৫ টন | নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। | |
পাবনা শ্রেনি | রিভারাইন পেট্রোল ক্রাফ্ট | বানৌজা পাবনা (পি ১১১) বানৌজা নোয়াখালী (পি ১১২) বানৌজা পটুয়াখালী (পি ১১৩) বানৌজা রাঙামাটি (পি ১১৪) বানৌজা বগুড়া (পি ১১৫) | ৬৯ | ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে প্রদান করা হয়। |
সহায়ক জাহাজ
শ্রেনি | ছবি | ধরন | জাহাজ | ওজন | নোট |
---|---|---|---|---|---|
তেলবাহী জাহাজ | ফ্লিট ট্যাঙ্কার | বানৌজা খান জাহান আলী | ১৩৪৩ টন | প্রাক্তন জাপানি জাহাজ সোহো মারু (টি ১০৫৬) [12] ২৪ আগস্ট ২০১৫-তে অবসরপ্রাপ্ত।[13] | |
ইমাম গাজ্জালী | - | জ্বালানিবাহী জাহাজ | বানৌজা ইমাম গাজ্জালী (এ৫১৬) | ৬৫০ টন | ১৯৯৬ সালে নৌবহরে যুক্ত হওয়া ৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজটি খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত হয় যা ৩৫০ টন জ্বালানি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। ১৩ আগস্ট, ২০২২ সালে দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে ডুবে যায়। |
এমএফভি ৫৫ | - | ফ্লিট টেন্ডার | বানৌজা এমএফভি ৫৫ | - | |
এমএফভি ৬৬ | - | ফ্লিট টেন্ডার | বানৌজা এমএফভি ৬৬ | - | |
সংকেত | - | ফ্লিট টেন্ডার | এমভি সংকেত | - | নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে অন্যান্য জাহাজ সমূহের সার্বিক সহযোগিতার জন্য ১৯৮৩ সালে হাইস্পিড শিপইয়ার্ডে নির্মিত হয়। ২টি ১,৪০০ অশ্বশক্তি (১,০০০ কিওয়াট) জার্মান ডুয়েটজ ইঞ্জিন বিশিষ্ট জাহাজটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ২৩ নট (৪৩ কিমি/ঘ; ২৬ মা/ঘ)। |
এলসিইউ ১৫১২ | - | ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি | বানৌজা শাহ পরান (এল৯০১) বানৌজা শাহ মকদুম (এল৯০২) |
![]() |
[15][16] |
শাহ আমানত | - | ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি | বানৌজা শাহ আমানত (এল৯০০) | ![]() |
[17] |
তথ্যসূত্র
- "BNS Umar Farooq inaugurated as museum ship"। Daily Sun। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-১৩।
- "Auction of Bangladesh Navy ship ex-BNS Umar Farooq" (পিডিএফ)। Ministry of Defence। ২৭ জুন ২০১৬। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৬।
- "BNS Abu Bakar, BNS Ali Haider de-commissioned"। Dhaka Tribune। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪।
- "Photo: The decommissioning ceremony of BNS Bishkhali"। The Financial Express। Dhaka। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪।
- "Indian Navy's Inshore Patrol Vessels." (পিডিএফ)। Orbat.info। ১৯ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৫।
- "Bangladesh decommissions Type 25 torpedo boats"। IHS Jane's 360। ২৭ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৫।
- "বানৌজা কর্ণফুলী বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি ক্রালজেভিকা শ্রেনীর"। bn.freejournal.info। ২০২১-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৭।
- "যুদ্ধজাহাজে তিন ঘণ্টা"।
- "স্বাধীনতা দিবসে জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত যুদ্ধ জাহাজ তিসতা"।
- "মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা মূল্যের ৮৭ লাখ ২৯ হাজার মিটার অবৈধ জাল আটক করেছে নৌবাহিনী"। আইএসপিআর। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৪।
- "SHIPYARD KRALJEVICA LIST OF DELIVERED VESSELS 1946. - 2007." (পিডিএফ)। Shipyard Kraljevica-List of Delivered Vessels 1946-2007 (ক্রোয়েশীয় ভাষায়)। ১৪ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০২০।
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- "নৌবাহিনীর তেলবাহী জাহাজ 'খান জাহান আলী'র ডি-কমিশনিং"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০১৫-০৮-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৬।
- "Commodore Superintendent Dockyard, Centre for Naval Research & Development(CNRD)" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২২।
- "ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় নৌবাহিনীর ১৮টি যুদ্ধজাহাজ, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার"। আইএসপিআর। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৬।
- "ঘূর্ণিঝড় আম্পান: জরুরি উদ্ধারে নৌবাহিনীর ২৫টি জাহাজ"। bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৬।
- "ঘূর্ণিঝড় "ফণী" পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৩২টি জাহাজ ও নৌ কন্টিনজেন্ট"। আইএসপিআর। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৬।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.