বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (সংক্ষেপেঃ বিসিটিআই) বাংলাদেশের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণে দক্ষ ও যোগ্য নির্মাতা এবং কলাকুশলী সৃষ্টি বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সহায়তা ও পরামর্শ প্রদানের নিয়োজিত।[1][2] এই প্রতিষ্ঠানটি ঢাকার দারুস সালাম এলাকায়-এ অবস্থিত এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত।[3] ২০১৩ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা হয় চলচ্চিত্রটেলিভিশন সম্পর্কিত বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিসহ জাতীয় পর্যায়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যকে সামনে রেখে।[1]

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট
প্রতিষ্ঠিত২০১৩
কেন্দ্রবিন্দুগণমাধ্যম
প্রধান ব্যক্তিমোহাম্মদ আজহারুল হক
(প্রধান নির্বাহী)
স্বত্বাধিকারীতথ্য মন্ত্রণালয়
অবস্থান
দারুস সালাম রোড, কল্যানপুর
, ,
ওয়েবসাইটhttp://bcti.portal.gov.bd/

ইতিহাস

চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন সম্প্রচার বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান; সেমিনার, সম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ আয়োজন করা; সংশ্লিষ্টদের সম্মাননা প্রদান; ডিপ্লোমা, স্নাতক ডিগ্রি প্রদান এবং এ সংক্রান্ত গবেষণা করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ২০১৩ সালের ২৩ নং আইন হিসাবে ‘‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র টেলিভিশন ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৩’’ পাশ হয় যা ২০ জুন ২০১৩ তারিখের বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ০১ নভেম্বর ২০১৩ তারিখ থেকে কার্যকর বলে গন্য করা হয়।[2] আইনটির কতিপয় ধারা সংশোধন করে সংশোধিত আইনটি ২০১৯ সালের ১১ জুলাই সংসদে পাস হয় ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) বিল-২০১৯’ শিরোনামে।[4][5]

অবস্থান

তুলনামূলকভাবে নতুন এই প্রতিষ্ঠানটি এখনও নিজেস্ব ভাবনে স্থানান্তরিত হয়নি; বর্তমানে এটি ঢাকার কল্যাণপুরের দারুস সালাম রোপে অবস্থিত জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটএর চতুর্থ ও পঞ্চম তলা নিয়ে অবস্থিত।[2] সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য অনুসারে প্রতিষ্ঠানটির জন্য স্বয়ং-সম্পূর্ণ অবকাঠামো নির্মানের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হবে যথাশিঘ্রই।[6]

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসাবে বলা হয়েছে[1] -

চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণে দক্ষ ও যোগ্য নির্মাতা এবং কলাকুশলী সৃষ্টির নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর ডিগ্রি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানসহ এতদ্‌সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ক্ষেত্রে গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করিবার উদ্দেশ্যে।

কার্যক্রম

এই প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েফে বিভিন্ন বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স; প্রতিষ্ঠাটি নিজেস্ব একটি গবেষণাধর্মী পত্রিকাও রয়েছে যা ‘‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট পত্রিকা’’ নামে পরিচিত।[7]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "বাংলাদেশ চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৩"। আইন ও সংসদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৯ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৯
  2. "বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৯ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৯
  3. "টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশোনা"আলোকিত বাংলাদেশ। ১৯ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৯
  4. "বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট বিল সংসদে পাস"দৈনিক কালেরকন্ঠ। ১২ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৯
  5. "বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) বিল পাস"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ১১ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৯
  6. "বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন"সময় টিভি। ১ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৯
  7. "বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট পত্রিকা (৮ম সংখ্যা)"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২০ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৯

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.