বাংলাদেশ–মরিশাস সম্পর্ক
বাংলাদেশ–মরিশাস সম্পর্ক হল বাংলাদেশ এবং মরিশাস রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।
বাংলাদেশ |
মরিশাস |
---|
স্বীকৃতি
১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মরিশাস বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।[1]
উচ্চ পর্যায়ের সফর
১৯৭৮ সালে মরিশাসের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্যার সিওয়াসাগুর রামগুলাম ঢাকাতে আনুষ্ঠানিক সফর করেন। ২০০৫ সালে মরিশাসের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয় কৃষ্ণ কাটারে ঢাকায় সফর করেন।[2] ২০০৯ সালে বাংলাদেশের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি পোর্ট লুইসে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী নবীনচন্দ্র রামগুলাম, উপপ্রধানমন্ত্রী রামকৃষ্ণ সিঠানেন, ফিন্যান্স ও অর্থনীতি উন্নয়ন মন্ত্রী জিয়ান ফ্রাঁসোয়া চাউমিয়েরে, শ্রমমন্ত্রী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কর্মমন্ত্রী ধরমবীর গোকুল প্রমুখ ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করেন।[3]
শিক্ষাখাতে সহযোগিতা
শিক্ষাখাতে মরিশাস বাংলাদেশের সহায়তা কামনা করেছে। মরিশাস বাংলাদেশে তাদের শিক্ষার্থীদেরকে উচ্চশিক্ষায় প্রবেশের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।[2]
অর্থনৈতিক সহযোগিতা
বাংলাদেশ এবং মরিশাস নিজেদের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়েছে। ২০১৩ সালে প্রাক্তন বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদেরের নেতৃত্বে পাঁচ-সদস্যের একটি দল মরিশাসে গিয়ে তাদের সাথে বাণিজ্যিক চুক্তি করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আলোচনা করে। বাংলাদেশি বস্ত্র এবং হস্তশিল্পনির্মিত সামগ্রী মরিশাসের বাজারে কদর পাচ্ছে। মরিশাস বাংলাদেশের মানবসম্পদ নিয়োগ করারও একটি ভালো গন্তব্য।[4] ২০০৫ সালে বাংলাদেশ মানবসম্পদ রপ্তানিখাতে মরিশাসের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।[2]
বাংলাদেশি প্রবাসী
২০১৩ সাল অনুযায়ী মরিশাসে প্রায় ১০,০০০ বাংলাদেশি প্রবাসী বসবাস করছেন।[4]
তথ্যসূত্র
- এশিয়ান রেকর্ডার। ১৮। ১৯৭২। পৃষ্ঠা ৫।
- "Mauritius keen to recruit manpower from Bangladesh"। দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট। মার্চ ১৫, ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৪।
- "Mauritius lifts order against B'desh workers"। বিডিনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৫।
- "Bangladesh plans Preferential Trade Agreement with Mauritius"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
টেমপ্লেট:মরিশাসের বৈদেশিক সম্পর্ক