বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, সংক্ষেপে বাসদ। বাসদ হচ্ছে বাংলাদেশের একটি কমিউনিস্ট দল। বাসদ ১৯৮০ সালে ৭ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠন টি বর্তমানে বাংলাদেশে বামপন্থীদের জোটবদ্ধ সংগঠন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সাথে একত্রে কাজ করে থাকে। দলটির মাসিক মুখপত্রের নাম ভ্যানগার্ড[1]। বাসদের শ্রমিক সংগঠন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বিভিন্ন শ্রমজীবীদের দাবি নিয়ে কাজ করে।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল
বাসদ
সাধারণ সম্পাদকবজলুর রশীদ ফিরোজ
প্রতিষ্ঠাতাখালেকুজ্জামান ভূঁইয়া
প্রতিষ্ঠা নভেম্বর ১৯৮০ (1980-11-07)
নিবন্ধিতবাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (নিবন্ধন নম্বরঃ ০১৭)
বিভক্তিবাসদ (মার্কসবাদী), বাসদ (মাহবুব), বাসদ (রেজাউর)
পূর্ববর্তীজাসদ
সদর দপ্তর২৩/২ তোপখানা সড়ক (৩য় তলা), ঢাকা, বাংলাদেশ ১০০০
সংবাদপত্রভ্যানগার্ড
ছাত্র শাখাসমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট
মহিলা শাখাসমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম
কৃষক সংগঠনসমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট
শ্রমিক সংগঠনসমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট
মতাদর্শসাম্যবাদ,
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ
রাজনৈতিক অবস্থানকমিউনিস্ট, বামপন্থী
জাতীয় অধিভুক্তিবাম গণতান্ত্রিক জোট
আন্তর্জাতিক অধিভুক্তিইন্টারন্যাশনাল এন্টি ইম্পেরিয়ালিস্ট কোঅর্ডিনেটিং কমিটি
আনুষ্ঠানিক রঙলাল
স্লোগানদুনিয়ার মজদুর, এক হও!
সংগীতকমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল
নির্বাচনী প্রতীক
বাসদের নির্বাচনী প্রতীক
ওয়েবসাইট
spb.org.bd
বাংলাদেশের রাজনীতি
রাজনৈতিক দল
নির্বাচন

ইতিহাস

বাসদ ১৯৮০ সালের ৭ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আত্নপ্রকাশ করে। বাংলাদেশের শোষণমূলক পুঁজিবাদী আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধন করে শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এই দলের উদ্দেশ্য। সাম্যবাদ এই দলের চূড়ান্ত লক্ষ্য।[2]

২০১৩ সালে দলটিতে শিবদাস ঘোষকে আন্তর্জাতিক সাম্যবাদী আন্দোলনের অথরিটি হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়ার কারণে কিছু নেতা দল থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) গঠন করেন।[3][4][5]

প্রথম কংগ্রেস

বাসদের প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠার ৪২ বছর পরে ২০২২ খ্রিস্টাব্দের ৪ মার্চ। কংগ্রেসে বজলুর রশীদ ফিরোজ হন বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং সহ সাধারণ সম্পাদক হন রাজেকুজ্জামান রতন। এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন আব্দুল কুদ্দুস, নিখিল দাস, জনার্দন দত্ত নান্টু, আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যক্ষ ওয়াজেদ পারভেজ, রোশনারা রুশো, সাইফুল ইসলাম পল্টু, জুলফিকার আলী, নব কুমার কর্মকার, শফিউর রহমান শফি, প্রকৌশলী শম্পা বসু, এবং ডাঃ মণিশা চক্রবর্তী।[6]

বাসদের গণসংগঠনসমূহ

বাসদ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে সম্পৃক্ত, তাদের কিছু গণসংগঠন হলো[7]:

  • সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (এসএসএফ)
  • সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট (এসএলএফ)
  • সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম (এসডব্লিউএফ)
  • সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট (এসপিএফ)
  • গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট (জিএফএফ)
  • রি-রোলিং স্টীল মিল শ্রমিক ফ্রন্ট (আরআরএসএমএলএফ)
  • প্রগতিশীল আইনজীবী ফোরাম (এসএলএফ)
  • প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম (এসটিএফ)
  • প্রগতিশীল চিকিৎসক ফোরাম (পিডিএফ)
  • প্রগতিশীল প্রকৌশলী ও স্থপতি ফোরাম (পিইএএফ)
  • প্রগতিশীল কৃষিবিদ কেন্দ্র (পিএএফ)
  • বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন (বিটিডব্লিউএফ)
  • শিশু কিশোর মেলা (এসকেমেলা)
  • বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ (বিএএম)
  • চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (সিসিসি)

বাসদ সংক্রান্ত পুস্তকসমূহ

বাসদ রাজনীতি বিষয়ে আলোচনা সমালোচনামূলক বেশ কিছু গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে,

  • আ. ও. ম. শফিকউল্লা এবং অন্যান্য; জাসদ-বাসদের ভ্রান্ত, দোদুল্যমান ও বিভ্রান্তিকর রাজনীতি প্রসঙ্গে, লক্ষ্মীপুর গ্রুপ; ঢাকা; ১৬ জুলাই, ১৯৮১;
  • জয়নাল আবেদীন, শিবদাস ঘোষ জাসদ-বাসদ রাজনীতি ও ভাঙন প্রসঙ্গ, খড়িমাটি প্রকাশন, চট্টগ্রাম, মে, ২০১৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৯০১-২০৪-৭

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Monthly Vanguard"। ১৫ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৪
  2. গঠনতন্ত্র
  3. বাসদ থেকে পৃথক হওয়া দায়িত্বহীনতার প্রকাশ: খালেকুজ্জামান
  4. খণ্ডিত বাসদ আবার ভাঙনের মুখে
  5. বাসদে ফের ভাঙন
  6. প্রতিবেদক, সমকাল (০৪ মার্চ ২২)। "বাসদের প্রথম কংগ্রেসে বজলুর রশীদ ফিরোজ সাধারণ সম্পাদক"দৈনিক সমকাল। ঢাকা: আবুল কালাম আজাদ। সংগ্রহের তারিখ 2022-03-09 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  7. "SPB ::Party History"। ৩ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৩

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.