বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্রের তালিকা

বর্তমানে বাংলাদেশে ৩৪টি প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছিলো ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে এবং সর্বশেষ গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছিলো ২০২১ সালে সিলেটের জকিগঞ্জে।[1][2]

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র হলো তিতাস গ্যাসক্ষেত্র। এটি ১৯৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি কর্তৃক আবিস্কৃত হয়। প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় ১৯৫৭ সালে।

সর্বশেষ গ্যাসক্ষেত্র

সিলেটের জকিগঞ্জে আবিষ্কার হওয়া গ্যাসক্ষেত্রে ৪৮ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আছে বলে পরীক্ষায় পাওয়া গিয়েছে। অর্থের হিসেবে ১২৭৬ কোটি টাকার গ্যাস আছে বলে মত দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

তালিকা

প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্রসমূহ
ক্রম নাম আবিষ্কার অবস্থান আবিষ্কারক সংস্থা মোট মজুদ
(ট্রিলিয়ন ঘনফুট)
উত্তোলনযোগ্য মজুদ উত্তোলন সূত্র
হরিপুর গ্যাসক্ষেত্র১৯৫৫সিলেটবার্মাওয়েল০.৪৪৪০.২৬৬০.১৫৮
ছাতক গ্যাসক্ষেত্র১৯৫৯সুনামগঞ্জবার্মাওয়েল১.৯০০১.১৪০০.০২৯
রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্র১৯৬০হবিগঞ্জপাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি২.২৪২১.৩০৯০.০৮০
কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্র১৯৬২সিলেটপাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি৩.৬৫৭২.৫২৯০.১০৮
৫।তিতাস গ্যাসক্ষেত্র১৯৬২ব্রাহ্মণবাড়িয়াপাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি৪.১৩২২.১০০০.৩৫৩
হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র১৯৬৩হবিগঞ্জপাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি৩.৬৬৯১.৮৯৫০.৫৬৭
সেমুতাং গ্যাসক্ষেত্র১৯৬৯খাগড়াছড়িওজিডিসি০.১৬৪০.০৯৮
বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্র১৯৬৯কুমিল্লাপাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি১.৪৩২০.৮৬৭০.৫০১
কুতুবদিয়া গ্যাসক্ষেত্র১৯৭৭কক্সবাজারইউনিয়ন ওয়েল০.৭৮০০.৪৬৮
১০বেগমগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র১৯৭৭নোয়াখালীপেট্রোবাংলা০.০২৫০.০১৪
১১বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্র১৯৮১সিলেটপেট্রোবাংলা০.২৪৩০.১১৩
১২ফেনী গ্যাসক্ষেত্র১৯৮১ফেনীপেট্রোবাংলা০.১৩২০.০৮০০.০৩৬
১৩কামতা গ্যাসক্ষেত্র১৯৮১গাজীপুরপেট্রোবাংলা০.৩২৫০.১৯৫০.০২১
১৪জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্র১৯৮৯সিলেটসিমিটার১.৫০০০.৯০০
১৫ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র১৯৮৯সিলেটপেট্রোবাংলা০.৩৫০০.২১০
১৬মেঘনা গ্যাসক্ষেত্র১৯৯০নরসিংদীপেট্রোবাংলা০.১৯৪০.১২৬০.০০৪
১৭নরসিংদী গ্যাসক্ষেত্র১৯৯০নরসিংদীপেট্রোবাংলা১৫৯১১১২৯.০৩
১৮শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র১৯৯৫ভোলাবাপেক্স০.৫০৪০.৩৩৩
১৯সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র১৯৯৬চট্টগ্রামকেয়ার্ল এনার্জি১.০৩১০.৮৪৮
২০সালদা গ্যাসক্ষেত্র১৯৯৬ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাপেক্স০.২০০০.১৪০
২১মৌলভীবাজার গ্যাসক্ষেত্র১৯৯৭মৌলভীবাজারইউনিকল০.১৪৭০.১১০
২২বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র১৯৯৮হবিগঞ্জইউনিকল২.৪১.৭৭১.৭৭
২৩লালমাই গ্যাসক্ষেত্র২০০৫কুমিল্লাট্যাল্লো
২৪বাঙ্গুরা গ্যাসক্ষেত্র২০০৫কুমিল্লাবাপেক্স০.৪৫৭
২৫সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্র২০১১নোয়াখালীবাপেক্স
২৬সুনেত্র গ্যাসক্ষেত্র২০১১সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণাবাপেক্স
২৭শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্র২০১২কুমিল্লাবাপেক্স
২৮ পাবনা গ্যাসক্ষেত্র ২০১৭ মোবারকপুর, সাঁথিয়া, পাবনা বাপেক্স [3]
২৯ ভোলা উত্তর-১ গ্যাসক্ষেত্র ২০১৭ শাহবাজপুর, ভোলা বাপেক্স ১.৫ [4]
৩০ শ্রীকাইল পূর্ব-১ ২০২০ কুমিল্লা বাপেক্স ০.০৭১ [5]
৩১ জকিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র ২০২১ আনন্দপুর, জকিগঞ্জ, সিলেট বাপেক্স ০.০৪৮ [6][7] [1][8][9]
৩২ইলিশা-১২০২২ভোলাবাপেক্স[10]
৩৩ভোলা উত্তর-২২০২২ভোলাবাপেক্স[10]
৩৪টবগি-১২০২২ভোলাবাপেক্স০.২৩৯[11]

তথ্যসূত্র

  1. "জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান!"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৫
  2. https://www.kalerkantho.com/online/national/2021/08/09/1061687
  3. "পাবনায় দেশের ২৭তম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার"প্রথম আলো। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০২২
  4. ভোলার শাহবাজপুরে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান। বণিকবার্তা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৮
  5. "পিছিয়ে পড়েছে শ্রীকাইল ইস্ট থেকে গ্যাস উত্তোলন"বণিক বার্তা। ৭ নভেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০২২
  6. "সিলেটে মিলেছে নতুন গ্যাসক্ষেত্র, ছয় মাসের মধ্যে উত্তোলনের আশা"বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১০
  7. "সিলেটের জকিগঞ্জে ২৮তম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১০
  8. "নতুন গ্যাসক্ষেত্র হতে পারে জকিগঞ্জ"বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৫
  9. "সিলেটের জকিগঞ্জে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান"ইত্তেফাক। ২০২১-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৫
  10. "ভোলায় আরও তিনটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স"ঢাকা ট্রিবিউন। ৯ অক্টোবর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০২২
  11. "ভোলায় ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান"দৈনিক ইত্তেফাক। ৪ নভেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০২২
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.