বাংলাদেশের থানা
থানা একটি পুলিশি প্রশাসনিক ইউনিট। ১৭৯২ সালের ৭ নভেম্বর বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি সরকার কর্তৃক জারিকৃত একটি প্রবিধানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের নিজ নিজ জেলাকে কয়েকটি পুলিশি এখতিয়ারভুক্ত এলাকা বা থানায় বিভক্ত করার আদেশ দেওয়া হয়।
একটি থানার সর্বোচ্চ পরিধি নির্ধারণ করা হয় ১০ বর্গ ক্রোশ। প্রাথমিক পর্যায়ে ‘থানা’ বলতে সম্পূর্ণরূপে পুলিশি এখতিয়ারভুক্ত এলাকা বোঝানো হতো। থানার প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন অফিসার ইন চার্জ (ওসি) পদবির একজন অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তা।
সার্কেল ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে বিশেষ করে ১৯৬১ সালের পর থানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়। প্রাদেশিক সরকারের উন্নয়ন বিষয়ক সকল বিভাগ থানার অধীনে ন্যস্ত হয় এবং থানা পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করা হয়। ১৯৮২ সালে এরশাদ সরকার কর্তৃক গঠিত প্রশাসনিক সংস্কার ও পুনর্গঠন কমিটির সুপারিশক্রমে প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে মহকুমা বিলুপ্ত করা হয় এবং ১৯৮২ সালের পর থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। উপজেলার প্রধান কর্মকর্তা হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
১৯৯২ সালে উপজেলা ব্যবস্থা বাতিল করা হয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদটি থানা নির্বাহী অফিসার পদে পরিবর্তিত হয়। উপজেলা ব্যবস্থায় ওসির পদকে ইনস্পেক্টরের পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়। ১৯৯৯ সাল থেকে উপজেলা ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হয়। বাংলাদেশের মোট থানার সংখ্যা ৬৫২ টি।
নতুন দুটি থানা যথাক্রমে ২০২১ সালের ১৯শে জানুয়ারি এবং ২০শে জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয়।৬৫১ তম নোয়াখালী জেলার ভাসানচর থানা এবং ৬৫২ তম কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও থানা।
ইতিহাস
১৭৯২ সালের ৭ নভেম্বর বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি সরকার কর্তৃক জারিকৃত একটি প্রবিধানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের নিজ নিজ জেলাকে কয়েকটি পুলিশি এখতিয়ারভুক্ত এলাকায় (থানা) বিভক্ত করার আদেশ দেওয়া হয়। থানার সর্বোচ্চ পরিধি নির্ধারণ করা হয় ১০ বর্গ ক্রোশ বা ৪০ বর্গমাইল। [1]