বশরী শাহ মসজিদ
বশরী শাহ মসজিদ ভারতের কলকাতা শহরের প্রাচীনতম মসজিদ।[1] এই মসজিদটি কলকাতা জেলার চিৎপুর-কাশীপুর অঞ্চলের পঞ্চানন মুখার্জি সড়ক ও শেঠ পুকুর সড়কের মোড়ে অবস্থিত। এটি কলকাতা পৌরসংস্থার ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকার অন্তর্ভুক্ত।[টীকা 1]
বশরী শাহ মসজিদ | |
---|---|
![]() ২০১৫ সালে বশরী শাহ মসজিদ | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
জেলা | কলকাতা |
প্রদেশ | পশ্চিমবঙ্গ |
ধর্মীয় অনুষ্ঠান | সুন্নি হানাফি |
যাজকীয় বা সাংগঠনিক অবস্থা | মসজিদ |
পরিচালনা সংস্থা | সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড |
অবস্থান | |
অবস্থান | ![]() |
পৌরসভা | কলকাতা পৌরসংস্থা |
স্থানাঙ্ক | ২২.৬০৮৪৭০° উত্তর ৮৮.৩৬৯৬৫৫° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইসলামি, মুর্শিদাবাদী |
প্রতিষ্ঠাতা | জাফির আলী |
সম্পূর্ণ হয় | ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দ |
বিনির্দেশ | |
সম্মুখভাগের দিক | পশ্চিম |
গম্বুজসমূহ | ৩ |
মিনার | ৪ |
ইতিহাস

কলকাতা শহর প্রতিষ্ঠার পূর্বে বশরী শাহ মসজিদের স্থানে একটি পুরনো মসজিদ ছিলো। বর্তমান মসজিদটি জাফির আলী নামক এক ব্যক্তি ১২১৯ হিজরি সনে নির্মাণ করেন। বশরী শাহ নামটি এসেছে মসজিদের পাশে অবস্থিত বশরী শাহের মাজার থেকে। বশরী শাহ একজন পীর ছিলেন। আনুমানিক ১৭৬০ থেকে ১৭৯০ সালের মধ্যে তিনি ইরাকের বসরা শহর থেকে কলকাতায় এসে বসবাস করতে শুরু করেন। কলকাতার হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের কাছেই বশরী শাহ জনপ্রিয় ছিলেন। তার মৃত্যুর পর মসজিদের পাশে তার ভক্তরা তার মাজার স্থাপন করে।[2] মসজিদটি অনেক বছর ধরে পরিত্যক্ত ছিলো। পরে কলকাতা পৌরসংস্থা এটিকে তাদের ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।[3]
স্থাপত্য এবং বিবরণী
একতলার উপর নির্মিত সুউচ্চ তিন গম্বুজ-বিশিষ্ট এই মসজিদটি মুর্শিদাবাদ ঘরানার মসজিদ স্থাপত্যে নির্মিত। এই মসজিদে তিনটি গম্বুজ ও চারটি মিনার রয়েছে। মসজিদের প্রবেশ পথে তিনটি খিলান কাঠামোর দিকে বিদ্যমান। এর অভ্যন্তরীণ অংশে ফুলবিশিষ্টি পলেস্টারার নকশা দিয়ে সাজানো হয়েছে।[3]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- জেনিস লেওশকো। কলকাতা থ্রু থ্রি হান্ড্রেড ইয়ার্স (ইংরেজি ভাষায়)।
- পীযুষ কান্তি রায় (২০১২)। মস্কস ইন কলকাতা (ইংরেজি ভাষায়)।
- অম্লান চক্রবর্তী (৫ এপ্রিল ২০২১)। "বশরী শাহ মসজিদ: কলকাতা'স ওল্ডেস্ট মস্ক"। লাইভ হিস্টোরি ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)।
পাদটীকা
- বশরী শাহ মসজিদ কলকাতা পৌরসংস্থার ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় "বশিরী মসজিদ" নামে তালিকাভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন
- কলকাতার মন্দির-মসজিদ : স্থাপত্য-অলংকরণ-রূপান্তর, তারাপদ সাঁতরা, আনন্দ পাবলিশার্শ প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, ২০০২