বর্ণবাদ

বর্ণবাদ সেই দৃষ্টিভঙ্গি, চর্চা এবং ক্রিয়াকলাপ যেখানে বিশ্বাস করা হয় যে মানুষ বৈজ্ঞানিকভাবেই অনেকগুলো গোষ্ঠীতে (races) বিভক্ত এবং একই সাথে বিশ্বাস করা হয় কোন কোন গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর চেয়ে নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্যের জন্য উঁচু অথবা নিচু; কিংবা তার উপর কর্তৃত্ব করার অধিকারী; অথবা বেশি যোগ্য কিংবা অযোগ্য।[1][2][3]

কালো চামড়ার মানুষদের ওয়েটিং কক্ষ, ১৯৪৭ সাল।

বর্ণবাদের সঠিক সংজ্ঞা নির্ধারণ করাটা কঠিন। কারণ, গবেষকদের মধ্যে গোষ্ঠী (race) ধারণাটি নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। এছাড়াও কোনটি বৈষম্য এবং কোনটি বৈষম্য নয় সেটি নিয়েও সবাই একমত নয়। বর্ণবাদ কখোনো গায়ের চামড়ার রং দিয়ে হতে পারে, কখোনো আঞ্চলিকতা দিয়ে হতে পারে, কখোনো গোত্র দিয়ে হতে পারে, কখোনো বর্ণ (caste) দিয়ে হতে পারে।[4] কিছু কিছু সংজ্ঞা অনুসারে, কোনো মানুষের আচরণ যদি কখোনো তার জাতি বা বর্ণ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়, সেটি অন্য কারো জন্য ক্ষতিকর না হলেও তাকে বর্ণবাদ বলা হবে। অন্যান্য সংজ্ঞায় শুধুমাত্র বর্ণবাদ দিয়ে প্রভাবিত হয়ে শোষণ এবং অত্যাচার করাই বর্ণবাদ।[5]

তথ্যসূত্র

  1. বর্ণবাদ Encyclopædia Britannica
  2. বর্ণবাদ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে Oxford Dictionaries
  3. "Racism" in R. Schaefer. 2008 Encyclopedia of Race, Ethnicity and Society. SAGE. p. 1113
  4. Reilly, Kevin; Kaufman, Stephen; Bodino, Angela (২০০৩)। Racism : a global reader। Armonk, N.Y: M.E. Sharpe। পৃষ্ঠা 5–6। আইএসবিএন 978-0-7656-1060-7।
  5. Reilly, Kevin; Kaufman, Stephen; Bodino, Angela (২০০৩)। Racism : a global reader। Armonk, N.Y: M.E. Sharpe। পৃষ্ঠা 15–16। আইএসবিএন 978-0-7656-1060-7।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.