বব বারবার

রুথিন স্কুলে অধ্যয়নরত অবস্থায় অসাধারণ ক্ষুদে ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেছেন। ১৯৫৫ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে প্রথম খেলতে নামেন। তবে, শুরুতে তাকে বেশ হোচট খেতে হয়েছিল। ১৯৫৯ সালে প্রথমবারের মতো সহস্রাধিক রান তুলতে সক্ষম হন। এরপর তাকে ল্যাঙ্কাশায়ারের অধিনায়কের দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়েছিল।

কমিটির হস্তক্ষেপ ও আয়োজক দলের দর্শকদের উত্যক্ততার কারণে বারবার তার সেরা খেলা উপহার দিতে পারছিলেন না।[2] বিশেষ করে টেস্টে অংশগ্রহণকারী লেগ স্পিনার টমি গ্রীনহাউ এবং গ্রীভস ও বুথের ন্যায় অল-রাউন্ডারের কারণে লেগ স্পিনার হতে পারেননি। এরফলে, দলে অন্তর্ভূক্তিতে তাকে বেশ কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। ১৯৬২ সালে জো ব্ল্যাকলেজের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।

ওয়ারউইকশায়ারে যোগদানের পর বারবার তার প্রিয় শটগুলো খেলতে থাকেন ও ইংল্যান্ডের পক্ষে নিয়মিতভাবে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ইংল্যান্ড দলের পক্ষে ২৮ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন বব বারবার। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে ব্যক্তিগত সেরা ইনিংসটি উপহার দেন। সিডনিতে অনুষ্ঠিত সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র সেঞ্চুরিটি করেন। ২৫৫ বলে ১৮৫ রান তুলেন তিনি। এ সময় প্রথম উইকেট জুটিতে জিওফ বয়কটের সাথে ২৩৪ রানের জুটি গড়েন। অদ্যাবধি অ্যাশেজ টেস্টের উদ্বোধনী দিনে যে-কোন ইংরেজ ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ রানরূপে স্বীকৃত।

১৯৬৭ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন।

১৯৬৯ সালে কাউন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করেন বব বারবার। তবে, ১৯৭১ সাল পর্যন্ত জন প্লেয়ার লীগে অংশ নেন। জিলেট কাপের শুরুর দিকে দক্ষতা দেখাতে শুরু করলেও ৪০-ওভারের খেলায় খুব কমই সাড়া জাগাতে পেরেছেন। অবসরকালীন ব্যবসায়ে মনোনিবেশ ঘটান ও সুইজারল্যান্ডে বসবাস করতে থাকেন।

• Wisden. Editions for 1961, 62 and 63
• Playfair Cricket Monthly 1965

• ইএসপিএনক্রিকইনফোতে বব বারবার (ইংরেজি)

• ক্রিকেটআর্কাইভে বব বারবার (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)