বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন

বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।[1][2]

বংশীকুন্ডা দক্ষিণ
ইউনিয়ন
বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ।
বংশীকুন্ডা দক্ষিণ
বংশীকুন্ডা দক্ষিণ
বাংলাদেশে বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৫°৭′২৬.০০০″ উত্তর ৯১°১′৩.০০০″ পূর্ব
দেশবাংলাদেশ
বিভাগসিলেট বিভাগ
জেলাসুনামগঞ্জ জেলা
উপজেলামধ্যনগর উপজেলা 
আয়তন
  মোট৭,৩০০ হেক্টর (১৮,০৩৯ একর)
জনসংখ্যা (২০১১ আদমশুমারী অনুযায়ী)
  মোট২৮,৬৮৯
  জনঘনত্ব৩৯০/বর্গকিমি (১,০০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৬০ ৯০ ৩২ ৩৫
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

ইতিহাস

বংশীকুন্ডা নামটি এসেছে অত্র অঞ্চলের একসময়ের জমিদার বংশী বদন চৌধুরীর “কুন্ড” বা “জলাধার” নামানুসারে।এটি অবশ্য অনুমান নির্ভর তথ্য। এখানকার মৃত্তিকা গবেষণালব্দ তথ্য হলো;বংশীকুন্ডার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মনাই নদীর তীরে প্রায় ১২০০ বছর পূর্বে জনবসতি গড়ে উঠেছিল। তখন এ অঞ্চল গারো, কুচ,হাজং ইত্যাদি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির বসবাস ছিল বলে মনে করা হয়। বংশীকুন্ডার ইতিহাস বলতে গেলে সুলতানী আমলে এ অঞ্চল 'ইকলিমে মোয়াজ্জেমাবাদ'নামীয় স্বাধীন রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। মুঘল আমলে প্রশাসনিক সুবিধার্থে পরগনা সৃজন করা হলে বংশীকুন্ডা পরগণা সৃষ্টি হয়। বংশীকুন্ডা পরগণার বিস্তৃতি ছিল পূর্বে স্বাধীন লাউড় রাজ্য বা পরগণা।পশ্চিমে সুসুং রাজ্য দক্ষিনে রনদীঘা ও সেলবরষ পরগণা। উল্লেখ্য যে, বর্তমান মধ্যনগর উপজেলা সদর বংশীকুন্ডা পরগণার অন্তর্ভূক্ত ছিল। (সূত্র- শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত)। বংশীকুন্ডা জনপদটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্ত্বপূর্ণ।মোঘল শাসনামলে বংশীকুন্ডায় একটি শক্তিশালী নৌঘাটি ছিল।পার্শ্ববর্তী চামারদানী গ্রামের অদূরে জলপথের নিশানা হিসেবে 'ছামাদানি'নামে বাতিঘর ছিল,এ থেকেই চামারদানী নামকরন করা হয়েছে।(সূত্র- ডঃ গোলাম কাদির এঁর রচনাবলী)। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে অবিভক্ত বংশীকুন্ডার মোহনপুর গ্রামে( বর্তমানে বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়ন) ইপিআর এর গুলিতে নিহত হন বিপ্লবী রবিদাম। গত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বংশীকুন্ডায় সংঘটিত জমিদার বিরোধী তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠে। যা ঐতিহাসিক বংশীকুন্ডা কৃষক আন্দোলন নামে পরিচিত।( সূত্র- অজয় ভট্টাচার্য রচনাবলী) মুক্তিযুদ্ধে অবিভক্ত বংশীকুন্ডার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস। মহিষখলা সাব সেক্টর মহান মুক্তিসংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সম্প্রতি কালে জেলে-কৃষকদের অধিকার আদায়ে বিভিন্ন আন্দোলন- সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছে। তার মধ্যে ঘাসী নদী উন্মুক্ত আন্দোলন অন্যতম। পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে, বংশীকুন্ডা উত্তর ও বংশীকুন্ডা দক্ষিণ এই দুটি ইউনিয়ন একত্রে বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন ছিল। পরবর্তীতে ইউনিয়নটির সীমানা বড় বিধায় একস্থানে বসে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভবনা বিধায় এটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। একটি হলো ০১ নং বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়ন আর অপরটি ০২ নং বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন।

আয়তন ও জনসংখ্যা

আয়তন- ৭৩ বগ কি.মি জনসংখ্যা মোট নারী ও পুরুষ- ৩০৩০৩

শিক্ষা

শিক্ষার হার :

 ৬০%

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

০ গড়াকাটা আব্দুল খালেক মডেল উচ্চ বিদ্যালয়

০ বংশীকুন্ডা মমিন উচ্চ বিদালয়

০ বংশীকুন্ডা কলেজ

০ লায়েছ ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ

দর্শনীয় স্থান

০ টাংগুয়ার হাওর

তথ্যসূত্র

  1. "বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১১ জুন ২০১৪। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০
  2. "ধর্মপাশা উপজেলা"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.