ফ্রান্সিস (ভাইকিং)
ফ্রান্সিস হল বাংলা কিশোরসাহিত্যের জনপ্রিয় একটি কাল্পনিক চরিত্র। এটির স্রষ্টা শিশুসাহিত্যিক অনিল ভৌমিক।
চরিত্রচিত্রণ
ফ্রান্সিস জাতিতে ভাইকিং এবং সমুদ্র অভিযাত্রী। সে সারা পৃথিবীর সাগর - মহাসাগরে ঘুরে বেড়ায় বন্ধুদের নিয়ে গুপ্তধন উদ্ধারের নেশায়। ভাইকিংরা মূলত জলদস্যু ও যোদ্ধা জাতি হিসেবে পরিচিত হলেও ফ্রান্সিস ও তার বন্ধুদের জলদস্যুতা করতে দেখা যায়না। সোনাদানা বা গুপ্তধনের প্রতি লোভও নেই। তারা যা উদ্ধার করে সেদেশের রাজা বা স্থানীয়দের দিয়ে দেয়। অজানাকে জানার নেশায় দেশে দেশান্তরে ফ্রান্সিস ঘুরে বেড়ায়। সে অত্যন্ত বুদ্ধিমান একজন নাবিক, একাধিক ভাষা জানে। তার স্ত্রীর নাম রাজকুমারী মারিয়া। নিকট বন্ধুরা ফ্রান্সিসকে দলপতি বলে মানে এবং ফ্রান্সিসও ভীষণ বন্ধুবৎসল। অন্যান্য ভাইকিং বন্ধুদের মধ্যে ফ্রান্সিসের সংগে সর্বদা দেখা যায় বিস্কো, শাঙ্কো, নজরদার পেড্রো ও হ্যারি কে। বহুবার তারা বিভিন্ন দেশের কারাগারে বন্দী হয়েছে কিন্তু জেল ভেঙ্গে বা প্রহরীর চোখ এড়িয়ে ফ্রান্সিসেরা পালাতে দক্ষ।[1]
কাহিনী
অনিল ভৌমিকের লেখা ফ্রান্সিসের অভিযান কাহিনীগুলি শিশু কিশোরদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত লেখক অজস্র ফ্রান্সিসের রোমাঞ্চকর কাহিনী লিখে গিয়েছেন। পুজোসংখ্যা শুকতারা ও আনন্দমেলায় ফ্রান্সিসের গল্প নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে। শুকতারা পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ফ্রান্সিসের প্রথম কাহিনী 'সোনার ঘণ্টা' বের হয়। পরে দেব সাহিত্য কুটির থেকে বই আকারে প্রকাশিত হলে সাড়া ফেলে বাংলা কিশোর পাঠক মহলে। এর পর হীরের পাহাড়, মুক্তোর সমুদ্র, মনিমানিক্যের জাহাজ, বিষাক্ত উপত্যকা, চিমাকার দেবরক্ষী, কাউন্ট রজারের গুপ্তধন, সম্রাটের রাজকোষ, যীশুর কাঠের মুর্তি, রাজা ওভিড্ডোর তরবারি, স্বর্নখনির রহস্য, রাজা আলফ্রেডের স্বর্নখনি, সিয়োভরের রত্ন ভান্ডার, মৃত্যুসায়রে ফ্রান্সিস, ইত্যাদি উপন্যাসগুলি বই আকারে বের হয়েছে। অধিকাংশ বই এর প্রচ্ছদ ও অন্যান্য ছবি একেছেন বিখ্যাত কার্টুনিস্ট ও কমিক্স শিল্পী নারায়ণ দেবনাথ।[1]
ফ্রান্সিস কাহিনীর তালিকা[2]
|
|
|
তথ্যসূত্র
- প্রথম খন্ড, অনিল ভৌমিক (১৯৯০)। ফ্রান্সিস সমগ্র। কলকাতা: উজ্জ্বল সাহিত্য মন্দির।
- ফ্রান্সিস সমগ্র - অনিল ভৌমিক - উজ্জ্বল সাহিত্য মন্দির কলিকাতা