ফ্রাংক রাইকার্ড
ফ্রাংকলিন এডমুন্ডো রাইকার্ড (ওলন্দাজ উচ্চারণ: [ˈfrɑŋk ˈɛdmuːn.doː ˈrɛi̯kaːrt] (শুনুন), ইংরেজি: Frank Rijkaard; জন্ম: ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৬২; ফ্রাংক রাইকার্ড নামে সুপরিচিত) হলেন একজন ওলন্দাজ পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় এবং ম্যানেজার। তিনি ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় এবং তার প্রজন্মের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত।[2][3] তিনি তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় আয়াক্সের হয়ে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি মূলত একজন রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় অথবা কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ফ্রাংকলিন এডমুন্ডো রাইকার্ড[1] | ||||||||||||
জন্ম | ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৬২ | ||||||||||||
জন্ম স্থান | আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস | ||||||||||||
উচ্চতা | ১.৯০ মিটার (৬ ফুট ৩ ইঞ্চি) | ||||||||||||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | ||||||||||
১৯৮০–১৯৮৭ | আয়াক্স | ২০৫ | (৪৭) | ||||||||||
১৯৮৭–১৯৮৮ | স্পোর্টিং সিপি | ০ | (০) | ||||||||||
১৯৮৭–১৯৮৮ | → রিয়াল সারাগোসা (ধার) | ১১ | (০) | ||||||||||
১৯৮৮–১৯৯৩ | এসি মিলান | ১৪২ | (১৬) | ||||||||||
১৯৯৩–১৯৯৫ | আয়াক্স | ৫৬ | (১২) | ||||||||||
মোট | ৪১৪ | (৭৫) | |||||||||||
জাতীয় দল | |||||||||||||
১৯৮১–১৯৯৪ | নেদারল্যান্ডস | ৭৩ | (১০) | ||||||||||
পরিচালিত দল | |||||||||||||
১৯৯৮–২০০০ | নেদারল্যান্ডস | ||||||||||||
২০০১–২০০২ | স্পার্টা রটার্ডাম | ||||||||||||
২০০৩–২০০৮ | বার্সেলোনা | ||||||||||||
২০০৯–২০১০ | গালাতাসারায় | ||||||||||||
২০১১–২০১৩ | সৌদি আরব | ||||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| |||||||||||||
* শুধুমাত্র ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
১৯৮০–১৯৮১ মৌসুমে, ওলন্দাজ ক্লাব আয়াক্সের হয়ে খেলার মাধ্যমে রাইকার্ড তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। আয়াক্সের হয়ে তিনি ৭ মৌসুম খেলেছেন, যেখানে তিনি ২০৫ ম্যাচে ৪৭টি গোল করেছেন। ১৯৮৭–৮৮ মৌসুমে, তিনি ২.২৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিং সিপিতে যোগদান করেন, কিন্তু উক্ত দলের হয়ে একটিও ম্যাচ না খেলে তিনি ধারে স্পেনীয় ক্লাব রিয়াল সারাগোসায় যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ইতালীয় ক্লাব এসি মিলানের হয়েও খেলেছেন। সর্বশেষ ১৯৯৩–৯৪ মৌসুমে, তিনি এসি মিলান হতে তার খেলোয়াড়ি জীবনের প্রথম ক্লাব আয়াক্সে যোগদান করেছিলেন, যেখানে তিনি ২ মৌসুম অতিবাহিত করে অবসর গ্রহণ করেছেন।
১৯৮১ সালে, রাইকার্ড নেদারল্যান্ডসের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন, যেখানে তিনি ৭৩ ম্যাচে ১০টি গোল করেছেন। তিনি খেলোয়াড় হিসেবে নেদারল্যান্ডসের হয়ে ২টি ফিফা বিশ্বকাপ (১৯৯০ এবং ১৯৯৪) এবং ২টি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে (১৯৮৮ এবং ১৯৯২) অংশগ্রহণ করেছেন।
খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর ১৯৯৮ সালে, রাইকার্ড নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে ম্যানেজার হিসেবে ফুটবল জগতে অভিষেক করেন। তিনি উয়েফা ইউরো ২০০০-এ নেদারল্যান্ডসের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, যেখানে তার দল সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল। পরবর্তীতে তিনি স্পার্টা রটার্ডাম, বার্সেলোনা এবং গালাতাসারায়ের মতো ক্লাবের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। সর্বশেষ ২০১১ সালে, তিনি সৌদি আরব ফুটবল দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যেখানে তিনি প্রায় দেড় বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।
ব্যক্তিগতভাবে, রাইকার্ড বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ১৯৮৫ ও ১৯৮৭ সালে ওলন্দাজ গোল্ডেন শু, ১৯৮৮ ও ১৯৮৯ সালে বালোঁ দরে তৃতীয় স্থান অর্জন এবং ২০০৫ সালে উয়েফা সভাপতির পুরস্কার পুরস্কার জয় অন্যতম। দলগতভাবে, ঘরোয়া ফুটবলে, রাইকার্ড সর্বমোট ২২টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ১৩টি আয়াক্সের হয়ে এবং ৯টি এসি মিলানের হয়ে জয়লাভ করেছেন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, তিনি ১টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন; যা হচ্ছে উয়েফা ইউরো ১৯৮৮ শিরোপা। এর পাশাপাশি ঘরোয়া ফুটবলে ম্যানেজার হিসেবে তিনি সর্বমোট ৫টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার সবগুলো তিনি বার্সেলোনার হয়ে জয়লাভ করেছেন।
তথ্যসূত্র
- "Acta del Partido celebrado el 17 de mayo de 2008, en Murcia" [Minutes of the Match held on 17 May 2008, in Murcia] (Spanish ভাষায়)। Royal Spanish Football Federation। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৯।
- "Dutchman who ruled Europe in three shirts"। FIFA। ১৭ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫।
- "Frank Rijkaard Biography"। history-of-soccer.org। ৭ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫।