ফুকুই প্রশাসনিক অঞ্চল

ফুকুই প্রশাসনিক অঞ্চল (福井県? ফুকুই কেন্‌) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর চুউবু অঞ্চলের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল[1] এর রাজধানী ফুকুই নগর।[2]

ফুকুই প্রশাসনিক অঞ্চল
福井県
প্রশাসনিক অঞ্চল
জাপানি প্রতিলিপি
  জাপানি福井県
  রোমাজিFukui-ken
ফুকুই প্রশাসনিক অঞ্চল পতাকা
পতাকা
ফুকুই প্রশাসনিক অঞ্চল অবস্থান
দেশজাপান
অঞ্চলচুউবু
দ্বীপহোনশু
রাজধানীফুকুই
আয়তন
  মোট৪,১৮৮.৯৯ বর্গকিমি (১,৬১৭.৩৮ বর্গমাইল)
এলাকার ক্রম৩৪ তম
জনসংখ্যা (১লা জুন, ২০১৩)
  মোট৭,৯৫,৪৩৭
  ক্রম৪৩ তম
  জনঘনত্ব১৮৯.৯৩/বর্গকিমি (৪৯১.৯/বর্গমাইল)
আইএসও ৩১৬৬ কোডJP-18
জেলা
পৌরসভা১৭
ফুলনার্সিসাস (নার্সিসাস ট্যাযেটা)
গাছপাইন (পাইনাস)
পাখিধূসর থ্রাশ (টার্ডাস নৌমানি)
ওয়েবসাইটwww.pref.fukui.jp/english/

প্রাগৈতিহাস

কাৎসুয়্যামা নগরের সুগিয়ামা নদী উপত্যকায় অবস্থিত কিতাদানি ডাইনোসর খাত থেকে বেশ কিছু ডাইনোসরের জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে। এদের মধ্যে আছে মেগার‍্যাপ্টোরান ফুকুইর‍্যাপ্টর কিতাদানিয়েন্সিস, হ্যাড্রোসরিড ফুকুইসরাস তেতোরিয়েন্সিস, সিলুরোসরিয়ান ফুকুইভেনাটর প্যারাডক্সাস, টাইটানোসরিফর্ম ফুকুইটাইটান নিপ্পনেন্সিস এবং একটি অজানা ড্রোমওসরিড।

ইতিহাস

১৮৭১ খ্রিঃ মেইজি পুনর্গঠনের সময় ওয়াকাসা ও এচিযেন প্রদেশের সংযুক্তির মাধ্যমে ফুকুই প্রশাসনিক অঞ্চল গঠিত হয়।[3]

এদো যুগে এখানকার দাইমিয়ো মাৎসুদাইরা পরিবার শোগুন তোকুগাওয়া ইয়েআসুর বংশধর ছিল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফুকুই নগরে প্রবল বোমাবর্ষণ হয় এবং পরিখাবেষ্টিত ফুকুই দুর্গ ধূলিসাৎ হয়ে যায়। বর্তমানে দুর্গের স্থানে ফুকুই প্রশাসনিক অঞ্চলের সরকারী কার্যালয় অবস্থিত।

ভূগোল

ফুকুই প্রশাসনিক অঞ্চল জাপান সাগরের উপকূলে অবস্থিত, এবং অতীতে ওয়াকাসা নামে পরিচিত এর পশ্চিমাংশে আছে এক সংকীর্ণ সমভূমি যার দক্ষিণে পর্বত ও উত্তরে সমুদ্র। পূর্বাংশ অর্থাৎ পূর্বতন এচিযেনের সমভূমি অপেক্ষাকৃত চওড়া; এখানেই রাজধানী নগর ও অধিকাংশ জনবসতি অবস্থিত। শীতকালে এচিযেনের পার্বত্য অঞ্চলে প্রবল তুষারপাত হয়।

২০০৮ এর ৩১শে মার্চের হিসেব অনুযায়ী ফুকুই প্রশাসনিক অঞ্চলের ১৫ শতাংশ সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে হাকুসান জাতীয় উদ্যান, এচিযেন-কাওয়া কাইগান ও ওয়াকাসা ওয়ান উপ-জাতীয় উদ্যান এবং ওকেৎসু কোওগেন প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[4]

অর্থনীতি

সাবায়ে নগরে জাপানের কাঁচ কুটিরশিল্পের ৯০% প্রস্তুত হয়। ৎসুগুরা নগর সন্নিহিত ওয়াকাসা উপসাগর বরাবর অনেকগুলি পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আছে। এগুলি থেকে কেইহান্‌শিন মহানগর অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ফুকুই প্রশাসনিক অঞ্চলে মোট ১৪ টি নিউক্লীয় রিয়্যাক্টর আছে; এই সংখ্যা জাপানের সমস্ত প্রশাসনিক অঞ্চলের মধ্যে সর্বাধিক।

জনপরিসংখ্যান

ফুকুই জাপানের অপেক্ষাকৃত কম বসতিপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চলগুলির মধ্যে অন্যতম। ২০১৫ এর সেপ্টেম্বরের হিসেব অনুযায়ী এখানে ২,৮১,৩৯৪ টি বাড়িতে মোট ৭,৮৫,৫০৮ জন বাসিন্দা ছিলেন। জাপানের অবশিষ্টাংশের মত ফুকুইও ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যা ও ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনসংখ্যা নিয়ে সমস্যায় ভুগছে। ২০১৫ এর জুলাই মাসে ২৮.৬% মানুষের বয়স ছিল ৬৫ এর বেশি। এছাড়া ২০১০ এর অক্টোবরের ৮,০৬,০০০ জনের নিরিখে ২০১৫ এর জনসংখ্যা ছিল ২.৬% কম।

সংস্কৃতি

ইচিজোওদানি আসাকুরা পরিবারের ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ জাপানে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অন্যতম সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান। ১২৪৪ খ্রিঃ প্রতিষ্ঠিত এইহেই-জি মন্দির অন্যতম প্রাচীনতম বৌদ্ধ শিক্ষাঙ্গন ও সন্ন্যাসী প্রশিক্ষণকেন্দ্র। ১৫৭৬ খ্রিঃ নির্মিত মারুওকা দুর্গ জাপানের অন্যতম প্রাচীনতম দুর্গ।

তথ্যসূত্র

  1. Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Fukui-ken" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 217, পৃ. 217,; "Chūbu" গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 126, পৃ. 126,.
  2. Nussbaum, "Fukui" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 217, পৃ. 217,.
  3. Nussbaum, "Provinces and prefectures" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 780, পৃ. 780,.
  4. "General overview of area figures for Natural Parks by prefecture" (পিডিএফ)Ministry of the Environment। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.