ফিফা আন্তর্জাতিক বর্ষপঞ্জি

ফিফা আন্তর্জাতিক বর্ষপঞ্জি (এছাড়াও ফিফা আন্তর্জাতিক খেলা বর্ষপঞ্জি, ফিফা বর্ষপঞ্জি অথবা ফিফা তারিখ হিসেবে পরিচিত) হলো ফিফা, ছয়টি মহাদেশীয় ফুটবল কনফেডারেশন, ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন এবং ফিফপ্রোর মধ্যকার একটি বার্ষিক রূপরেখা চুক্তি,[1] যারা কোন কোন তারিখে "আনুষ্ঠানিক" এবং "আন্তর্জাতিক প্রীতি" ম্যাচ আয়োজন করা যেতে পারে তা নির্ধারণ করে থাকে।

বর্তমান বর্ষপঞ্জিকার তারিখগুলো পাঁচটি ভাগে বিভক্ত রয়েছে: বসন্তের শুরু (মার্চ), বসন্তের শেষ (মে অথবা জুন), গ্রীষ্মের শেষ (আগস্ট অথবা সেপ্টেম্বর), শরৎ (অক্টোবর এবং নভেম্বর)। এই বর্ষপঞ্জি কখন এএফসি এশিয়ান কাপ, আফ্রিকা কাপ অব নেশন্স, কোপা আমেরিকা, কনকাকাফ গোল্ড কাপ, ওএফসি নেশন্স কাপ, উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ফিফা বিশ্বকাপের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলো অনুষ্ঠিত হতে পারে তা নির্ধারণ করে থাকে।

আনুষ্ঠানিক ম্যাচগুলোর জন্য খেলোয়াড়ের জন্য চার দিনের সময়সীমা থাকে, যার অর্থ হচ্ছে যে খেলোয়াড়গণ জাতীয় দলের দায়িত্ব পালনে অংশগ্রহণ করার জন্য ক্লাবের দায়িত্ব থেকে চার দিন পর্যন্ত বিরত থাকতে পারে। যদি কোন খেলোয়াড় তার ক্লাবের থেকে ভিন্ন কোন মহাদেশে কোন আনুষ্ঠানিক ম্যাচে অংশগ্রহণ করে, তাহলে এই সময়সীমা পাঁচ দিন থাকে। প্রীতি খেলাগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয় এবং এর সময়সীমা ৪৮ ঘন্টা থাকে।[2]

ফিফা জোর দিয়ে বলেছে যে আনুষ্ঠানিক এবং প্রীতি খেলাগুলো ঘরোয়া খেলার চেয়ে অগ্রাধিকার পাবে। তবে, তারা আরো বলেছে যে নির্ধারিত তারিখের বাইরে যে সকল আন্তর্জাতিক প্রীতি খেলা অনুষ্ঠিত হয় তা এর আওতাধীন নয়।[2]

ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন বিতর্ক

ইউরোপের অভিজাত ফুটবল ক্লাবগুলোর জন্য ইউনিয়ন ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন আন্তর্জাতিক অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা ক্লাবগুলোকে দেওয়া ক্ষতিপূরণ নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল। ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপে ক্লাবগুলোকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড প্রদান করা হয়েছিল। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে জানিয়েছিল যে ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন বর্তমানে প্রদানকৃত অর্থের চেয়ে ছয় গুণ বেশি অর্থ চায়। অতঃপর ইউরোপীয় ক্লাবগুলো সমস্যার সমাধান না হওয়ার ২০১৪ সালের ফিফা বর্ষপঞ্জির চুক্তির সাথে একমত না হওয়ার কথা জানিয়েছিল।

ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন সভাপতি সাবেক জার্মান ফুটবলার কার্ল-হাইন্ৎস রুমেনিগে জানিয়েছিলেন, "দুর্ভাগ্যবশত, ক্লাবগুলোর দাবির বিষয়ে ফিফা সভাপতির সাথে আলোচনা সন্তোষজনক হয়নি"।[3] ২০১২ সালের মার্চ মাসে, ফিফা একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল যে রুমেনিগেকে একটি শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, কিন্তু তিনি সেখানে উপস্থিত হননি।[4]

তথ্যসূত্র

  1. "International match calendar – major step made towards final agreement"। FIFA.com। ৫ মার্চ ২০১২। ৯ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১২
  2. "Release of players for national association representative matches in accordance with the Coordinated International Match Calendar" (পিডিএফ)। FIFA.com। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১২
  3. Scott, Matt (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Open warfare between Fifa and the European Clubs Association threatens to overshadow 2018 World Cup"। Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১২
  4. Scott, Matt (৫ মার্চ ২০১২)। "Fifa hits back after clubs' chief Karl-Heinz Rummenigge snubs key meeting"। Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১২

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.