ফারুয়া ইউনিয়ন
ফারুয়া বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার অন্তর্গত বিলাইছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন।
ফারুয়া | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
![]() | |
![]() ![]() ফারুয়া ![]() ![]() ফারুয়া | |
স্থানাঙ্ক: ২২°১৮′৫৩″ উত্তর ৯২°২৯′৫″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | রাঙ্গামাটি জেলা |
উপজেলা | বিলাইছড়ি উপজেলা ![]() |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা |
আয়তন | |
• মোট | ৫৫৬.৮৫ বর্গকিমি (২১৫.০০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৪,১৭৫ |
• জনঘনত্ব | ২৫/বর্গকিমি (৬৬/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ১৫.০৭% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৪৫৫০ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
আয়তন
ফারুয়া ইউনিয়নের আয়তন ১৩৭,৬০০ একর (৫৫৬.৮৫ বর্গ কিলোমিটার)।[1]
জনসংখ্যা
২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফারুয়া ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ১৪,১৭৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭,৪৪৬ জন এবং মহিলা ৬,৭২৯ জন।[2]
অবস্থান ও সীমানা
বিলাইছড়ি উপজেলার উত্তর-মধ্যাংশ জুড়ে ফারুয়া ইউনিয়নের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে এ ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। এ ইউনিয়নের দক্ষিণে বড়থলি ইউনিয়ন, দক্ষিণ-পশ্চিমে বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন ও নোয়াপতং ইউনিয়ন, পশ্চিমে রাজস্থলী উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন, উত্তর-পশ্চিমে বিলাইছড়ি ইউনিয়ন ও জুরাছড়ি উপজেলার মৈদং ইউনিয়ন, উত্তরে জুরাছড়ি উপজেলার জুরাছড়ি ইউনিয়ন ও দুমদুম্যা ইউনিয়ন এবং পূর্বে ভারতের মিজোরাম প্রদেশ অবস্থিত।
ইতিহাস
বিলাইছড়ি উপজেলায় এক সময় প্রায়ই উপজাতীয় বিদ্রোহ দেখা দিত। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের পরাজয়ের পর প্রায় দু'হাজার পাহাড়ি রাজাকার বিদ্রোহী মিজোদের সঙ্গে যোগ দেয়। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা তাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং শান্তিবাহিনীর গোড়াপত্তন করেন। শান্তিবাহিনী দমনের জন্য সীমান্ত অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয় ফারুয়া থানা। পরে শান্তিবাহিনী ও জনসংহতি সমিতি তাদের মূল ঘাঁটি ত্রিপুরায় স্থানান্তর করে। ফলে ফারুয়া থানার গুরুত্ব কমে যায় এবং থানাটি বিলাইছড়ির অন্তর্ভুক্ত হয়।[1]
প্রশাসনিক কাঠামো
ফারুয়া ইউনিয়ন বিলাইছড়ি উপজেলার আওতাধীন ৩নং ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম বিলাইছড়ি থানার আওতাধীন। এ ইউনিয়ন জাতীয় সংসদের ২৯৯নং নির্বাচনী এলাকা পার্বত্য রাঙ্গামাটি এর অংশ। এটি ফারুয়া মৌজা নিয়ে গঠিত।[3] এ ইউনিয়নের গ্রামগুলো হল:
- গো-ছড়া
- ছাবাতলী
- জামুছড়া
- তক্তানালা
- মন্দিরাছড়া
- ফারুয়া
শিক্ষা ব্যবস্থা
ফারুয়া ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ১৫.০৭%।[1] এ ইউনিয়নে ২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[3]
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- তক্তানালা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- ফারুয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- প্রাথমিক বিদ্যালয়
- গো-ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ছাবাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- জামুছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- তক্তানালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- পশ্চিম মন্দিরাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ফারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
যোগাযোগ ব্যবস্থা
ফারুয়া ইউনিয়নে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ইঞ্জিন চালিত নৌকা অথবা পায়ে হেঁটে।[6]
খাল ও নদী
ফারুয়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে রাইংখ্যং নদী।[7]
হাট-বাজার
ফারুয়া ইউনিয়নের প্রধান হাট-বাজার হল ফারুয়া বাজার।[8]
দর্শনীয় স্থান
- রাইংখ্যং পুকুর[9]
জনপ্রতিনিধি
- বর্তমান চেয়ারম্যান: বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা[10]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "বিলাইছড়ি উপজেলা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org।
- "গ্রাম ভিত্তিক লোকসংখ্যা - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন"। faruaup.rangamati.gov.bd।
- "এক নজরে ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন"। faruaup.rangamati.gov.bd।
- "নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন"। faruaup.rangamati.gov.bd।
- http://180.211.137.51:321/DashboardunionN.aspx?div=4&dis=414&thana=41410&union=03%5B%5D
- "যোগাযোগ ব্যবস্থা - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন"। faruaup.rangamati.gov.bd।
- "খাল ও নদী - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন"। faruaup.rangamati.gov.bd।
- "হাট বাজারের তালিকা - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন"। faruaup.rangamati.gov.bd।
- "দর্শনীয়স্থান - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন"। faruaup.rangamati.gov.bd।
- "নির্মাণের ৬ বছরেই ধসে পড়েছে ফারুয়া ইউপি ভবন - এস এন এন ২৪"।