ফারাও
ফারাও (/ˈfeɪ.roʊ/, /fɛr.oʊ/[1][2] বা /fær.oʊ/[2]) হলো গ্রিক-রোমান কর্তৃক বিজয়ের পূর্ব পর্যন্ত প্রাচীন মিশরীয় রাজবংশের রাজাদের প্রচলিত উপাধি।[3] ফারাও (Pharaoh) আদি মিশরীয় সভ্যতা। মিশরে নগর সভ্যতা গড়ে উঠেছিল খ্রীস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দে।নীল নদকে কেন্দ্র করে মিশরের এ সভ্যতা গড়ে উঠেছিল বলে গ্রিক ইতিহাসবিদ হেরোডোটাস মিশরকে বলেছেন “নীল নদের দান”(Gift of the Nile)। ৫০০০-৩২০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সময়ের মিশরকে প্রাক-রাজবংশীয় যুগ বলা হয়।এ সময় মিশর কতগুলো ছোট ছোট নগর রাষ্ট্রে বিভক্ত ছিল। এগুলোকে বলা হয় নোম।৩২০০ খ্রীষ্টপুর্বাব্দে “মেনেস” নামের এক রাজা সমগ্র মিশরকে একত্রিত করে একটি নগর রাষ্ট্র গড়ে তোলেন। দক্ষিণ মিশরের “মেস্ফিস” হয় এর রাজধানী। এভাবে মিশরে রাজবংশের সূচনা হয়।
nesu-bit "King of Upper and Lower Egypt" চিত্রলিপিতে |
---|
pr-aa "গ্রেট ঘর" চিত্রলিপিতে |
---|
প্রাচীন মিশরের নতুন রাজ্যের সময় ফারাওরা ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক নেতা ছিল। "বড় বাড়ি" বলতে তখন রাজাদের বাড়িকে বোঝানো হত কিন্তু মিশরীয় ইতিহাসের গতিপথের সাথে সাথে তা হারাতে বসে ছিল এমনকি রাজা, nswt এর জন্য ঐতিহ্যবাহী মিশরীয় শব্দের পরস্পরিক পরিবর্তনে মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছিল। যদিও মিশরের শাসকরা সাধারণত পুরুষ ছিল, ফারাও শব্দটা বিরলভাবে মহিলা শাসকদের হ্মেত্রেও ব্যবহার করা হত। ফারাওরা বিশ্বাস করত যে তাদের মরণের পর তাদের আত্মা দেবতা হরুসের সাথে মিলে যাবে।
এরা নিজেদেরকে সূর্যের বংশধর মনে করত। নিজেদেরকে দেবতা বলে মনে করায় তারা বংশের বাইরে কাউকে বিবাহ করত না। ফলে ভাইবোনেদের মধ্যেই বিবাহ সম্পন্ন হত। ফারাওয়ের মৃত্যুর পরও জীবন আছে বলে বিশ্বাস করত। তাই তাদের মৃত্যুর পর পিরামিড বানিয়ে তার নিচে সমাধিকক্ষে এদের দৈনন্দিন জীবনের ভোগ-বাসনার সমস্ত সরঞ্জাম রক্ষিত করত। মৃতদেহকে পচন থেকে বাঁচাবার জন্য তারা দেহকে মমি বানিয়ে রাখত এবং স্বর্ণালঙ্কারে মুড়ে সমাধিকক্ষের শবাধারে রাখা হত।
নামের উৎপত্তি
এই উপাধি বা নামের উৎপত্তি ঘটেছে মিশরীয় শব্দ pr ˤ3 থেকে, আক্ষরিক অর্থে "মহান নিবাস", যা রাজকীয় প্রাসাদের বর্ণনা দিয়ে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে, যদিও, "ফারাও" নামটি শুধুমাত্র নতুন রাজ্যের সময়কালে রাজদের জন্য একটি নাম হিসেবে ব্যবহৃত হতো, বিশেষভাবে অষ্টাদশ রাজবংশের মধ্যবর্তী সময়ে, হাতশেপসুত রাজত্বের পরবর্তীকালে।<sph>2ghi
মুকুট এবং প্রধান পোশাক
ফারাওদের পোশাক অতি বৈচিত্রময় ছিল।তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল তাদের পরিহিত মুকুট। তারা সাদা এবং লাল রঙের মুকুট পরত।মিশর হতে উদ্ধারকৃত নার্মার প্যালেট থেকে এ তথ্য মেলে।
সাদা মুকুট পরিহিত নার্মার | লাল মুকুট পরিহিত নার্মার |
স্থাপত্য ও ভাস্কর্য
মিশরীয়রা মৃত্যুর পর আরেকটি জীবনে বিস্বাসী ছিলো।সে জীবনেও রাজা হবেন ফারাও।তাই তারা মৃতদেহ সংরক্ষনের জন্য তৈরী করল পিরামিড।মিশরের সবচেয়ে বড় পিরামিড হল ফারাও খুফুর পিরামিড।খুফুর পিরামিড গড়ে উঠেছিলো ১৩ একর যায়গা জুড়ে।এর উচ্চতা ছিলো প্রায় সাড়ে চারশত ফুট।মিশরীয় ভাস্কর্যের সবচেয়ে বড় গৌরব স্ফিংস তৈরিতে ।বহুখন্ড পাথরের গায়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিলো এ ভাস্কর্য।স্ফিংসের দেহ সিংহাকৃতির,আর মাথা ছিলো ফারাওএর।ফারাও অভিজাত্যের প্রতীক ছিলো এ মূর্তি।
বিজ্ঞান
মিশরীয়রা সর্বপ্রথম ১২ মাসে ১ বছর, ৩০ দিনে ১ মাস-এই গণনা রীতি চালু করে। যেহেতু ফারাও মৃত্যুর পরে রাজা হবেন সেহেতু তাঁর মৃতদেহকে সংরক্ষনের জন্য তারা মমি তৈরি করতে শেখেন।
তথ্যসূত্র
- Merriam-Webster's Collegiate Dictionary, Eleventh Edition. Merriam-Webster, 2007. p. 928
- Dictionary Reference: pharaoh
- Beck, Roger B. (১৯৯৯)। World History: Patterns of Interaction। Evanston, IL: McDougal Littell। আইএসবিএন 0-395-87274-X। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
গ্রন্থতালিকা
- Shaw, Garry J. The Pharaoh, Life at Court and on Campaign, Thames and Hudson, 2012.
- Sir Alan Gardiner Egyptian Grammar: Being an Introduction to the Study of Hieroglyphs, Third Edition, Revised. London: Oxford University Press, 1964. Excursus A, pp. 71–76.
- Jan Assmann, "Der Mythos des Gottkönigs im Alten Ägypten," in Christine Schmitz und Anja Bettenworth (hg.), Menschen - Heros - Gott: Weltentwürfe und Lebensmodelle im Mythos der Vormoderne (Stuttgart, Franz Steiner Verlag, 2009), 11-26.
বহিঃসংযোগ
- ফারাও এর চুরুট(Cigars of the Pharaoh)-Tintin comics ₵
- বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ডিজিটাল মিশর
- ফারাওদের মমি ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে