ফরেস্ট কোবরা
ফরেস্ট কোবরা (বৈজ্ঞানিক নাম: Naja melanoleuca(Hallowell)) আফ্রিকাজাত এলাপিড পরিবারভুক্ত এক প্রজাতির বিষধর সাপ। এরা ব্ল্যাক কোবরা বা ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট-লিপড কোবরা[3] নামেও পরিচিত। প্রধানত আফ্রিকার মধ্য ও পশ্চিমভাগে এদের দেখা যায়।[4] এই ফরেস্ট কোবরা হল বৃহত্তম ট্রু কোবরা প্রজাতির এবং এদের দৈর্ঘ্য ৩.১মিটার (১০.২৩ ফুট) পর্যন্ত হয়।[5] এরা প্রধানত নিচু জমিযুক্ত বনাঞ্চল এবং আর্দ্র সাভানা প্রান্তরকে বাসস্থান হিসাবে পছন্দ করে। তবে এদের ভৌগোলিক সীমার অন্তর্গত বিভিন্ন প্রকার স্থানে এরা নিজেদেরকে অভিযোজিত করে নেয়। শুষ্কতর আবহাওয়াযুক্ত অঞ্চলেও এদের দেখা যায়। সন্তরণে অতি পারদর্শী এই ফরেস্ট কোবরা এবং সেই কারণেই এদের প্রায়ই আধা-জলচর হিসাবে গণ্য করা হয়।[6] ফরেস্ট কোবরা সাধারন খাদ্যাভ্যাসযুক্ত এবং সেই কারণেই এদের খাদ্য তালিকা বিশাল ও প্রচুর বৈচিত্রপূর্ন- বৃহদাকার পতঙ্গ থেকে ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী প্রাণী সরীসৃপ[3] সবই এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত। এই সর্প প্রজাতি অতি সজাগ, ভীরু এবং অতি ভয়ানক বলে বিবেচিত হয়।[6][7] এদের বিরক্ত বা উত্ত্যক্ত করা হলে অথবা এরা কোণঠাসা হয়ে পড়লে কোবরা বর্গীয়রা ভয় দেখানো বা আক্রমণাত্বক ভঙ্গিমা প্রদর্শন করে। দেহের অগ্রভাগ মাটির উপরে তুলে চ্যাপ্টা ফনা বিস্তার করে এবং উচ্চগ্রামে হিসহিসানীর আওয়াজ চলতে থাকে। অন্যান্য আফ্রিকান কোবরার তুলনায় ফরেস্ট কোবরার দংশনের খবর বা নথিভুক্তকরনের ঘটনা অনেক কম তবে এই প্রজাতির দংশন প্রাণঘাতী।[8]
ফরেস্ট কোবরা (Forest cobra) | |
---|---|
ফরেস্ট কোবরা (Forest cobra) | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Reptilia |
বর্গ: | Squamata |
উপবর্গ: | Serpentes |
পরিবার: | Elapidae |
গণ: | Naja |
প্রজাতি: | N. melanoleuca |
দ্বিপদী নাম | |
Naja melanoleuca Hallowell, 1857[1][2] | |
Forest cobra distribution in green | |
প্রতিশব্দ[1] | |
|
শব্দপ্রকরণ
ফরেস্ট কোবরা এলাপিড পরিবারের নাজা বর্গের অন্তর্ভুক্ত। ফরেস্ট কোবরার বিবরণ প্রথম দেন আমেরিকান সরীসৃপ ও উভয়চরবিদ এডওয়ার্ড হ্যালোওয়েল ১৮৫৭ সালে। [2][9] এদের বর্গীয় নাম নাজা, সংস্কৃত শব্দ nāgá (नाग) অর্থাৎ কোবরার ল্যাটিনরূপ।[10] melanoleuca বিশেষনটি প্রাচীন গ্রীকজাত যার অর্থ সাদা এবং কালো সংক্রান্ত। গ্রীক শব্দ মেলানো (melano) এর অর্থ কালো এবং [11] লিউকা (leuca) শব্দটি প্রাচীন গ্রিক ব্যুৎপত্তি সম্পন্ন যার অর্থ সাদা। [12] এই প্রজাতির অপর নামগুলি হল ব্ল্যাক কোবরা এবং ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট-লিপড কোবরা।[3]
শ্রেণীবিন্যাস এবং অভিযোজন
ফরেস্ট কোবরা এলাপিড পরিবারের নাজা বর্গের অন্তর্ভুক্ত। এই নাজা বর্গটি সর্বপ্রথম বন্ননা করেন জশেফাস নিকোলাস লাউরেন্টি ১৭৬৮ সালে।[13] Naja melanoleuca প্রজাতি প্রথম বর্নিত হয় ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দে সরীসৃপ তথা উভয়চরবিদ এডওয়ার্ড হ্যালোওয়েল-এর দ্বারা।[2] এই নাজা বর্গটি কিছু অন্তঃবর্গে বিভক্ত করা হয়েছে অঙ্গসংস্থানগত ভাবে এবং খাদ্য, বাসস্থান ইত্যাদি নানাবিধ বিষয়ের উপর নির্ভর করে। Naja melanoleuca প্রজাতিটি বৌলেনগেরিনা অন্তঃবর্গের একটি অংশ। বৌলেনগেরিনা উপবর্গের অন্তর্ভুক্ত আরো তিনটি প্রজাতি হল ব্যান্ডেড ওয়াটার কোবরা , কঙ্গো ওয়াটার কোবরা, এবং বরোইং কোবরা। এই বৌলেনগেরিনা উপবর্গভুক্ত উল্লিখিত প্রজাতিগুলি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে কারণ এদের সকলের মধ্যে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকান বনাঞ্চলে সীমাবব্ধ থাকা এবং জঙ্গলের কিনারায় বসবাস করার প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। এরা অধিকতর জলচর এবং খাদ্যের বিষয়ে আরো বেশীভাবে জলজ প্রাণী ও জলজ প্রজাতির উপর নির্ভরশীল। বৌলেনগেরিনা উপবর্গভুক্ত এই উক্ত সর্পপ্রজাতিগুলি আকারে বা দৈর্ঘ্যে বিভিন্ন্রকম হয়, যেমন- ফরেস্ট কোবরার দৈর্ঘ্য ২.৭ মিটার থেকে ৩.১ মিটার (৮.৯ ফুট থেকে ১০.৩২ ফুট) পর্যন্ত হয়, আবার বরোইং কোবরার (Naja multifasciata) দৈর্ঘ্য ০.৮মিটার (২.৬ ফুট) এর বেশি হয় না।
নিম্নে চিত্রিত ক্ল্যাডোগ্রাম বা শাখা বিন্যাস্টি বিভিন্ন নাজা বর্গভুক্ত সর্পপ্রজাতির শ্রেনীবিন্যাস ও সম্প্ররককে বিশ্লেষন এবং প্রকাশ করে।[14]
নাজা |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বর্ণনা
নাজা বর্গভুক্ত আফ্রিকার কোবরা জাতীয় সাপগুলির মধ্যে দীর্ঘতম হল ফরেস্ট কোবরা।[6] সম্ভবত পৃথিবীর সমস্ত ট্রু কোবরা (নাজা) প্রজাতির সাপেদের মধ্যেও এটি দীর্ঘতম সাপ।[5][15] পূর্নবয়স্ক ফরেস্ট কোবরার গড় দৈর্ঘ্য ১.৪ থেকে ২.২মিটার(৪.৬ থেকে ৭.২ ফুট) [6][16] এবং বিশেষ ক্ষেত্রে এরা ২.৭মিটার (৮.৯ফুট) থেকে ৩.১মিটার (১০.৩২ফুট) পর্যন্ত দীর্ঘ্য হতে পারে।[5] এই প্রজাতির স্ত্রী এবং পুরুষেরা একইরকম দৈর্ঘ্যযুক্ত হয় এবং এদের মধ্যে কোন সেক্সচুয়াল ডাইমরফিসম (sexual dimorphism) দেখা যায় না অর্থাৎ লিঙ্গের প্রকারভেদে এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আলাদা হয় না।।[17] এই সর্প প্রজাতির মাথা বৃহদাকার, ছড়ানো, চ্যাপ্টা এবং গলা থেকে সামান্য পৃথক হয়। এদের দেহ মোটামুটি রকম পুরু, ঈষদ চাপা অথবা চ্যাপ্টা এবং লেজের অংশ সরু ও মাঝারি দৈর্ঘ্যের। দেহের পৃষ্ঠদেশ থেকে উদরের দিক চাপা(compressed dorsoventrally) এবং পৃষ্ঠদেশের উপরিবর্তী আঁশগুলি, উদরদেশের নিম্নবর্তী আঁশগুলির সাথে দেহের দুই পাশ দিয়ে এসে মিশেছে। দেহের পশ্চাতদেশ বা পিছনের অংশ উপ-বেলনাকার (sub-cylindrical)। ফরেস্ট কোবরার সারভাইকাল পাঁজরগুলি লম্বা এবং প্রসারনে সক্ষম তাই ভয় পেলে ও আক্রমণাত্বক ভঙ্গি দেখাতে লম্বা এবং কীলাকার (wedge shaped) ফণা ধারণ করে। এদের মাথার চাঁদি এবং দু-চোখের মধ্যস্থ মাথার পাশের দিকের কৌনিক অবস্থান, যাকে বলে ক্যান্থাস সুস্পষ্ট ভাবে প্রতীয়মান। নাসিকা ছিদ্র গোল এবং চোখদুটি বৃহৎ ও গোল তারারন্ধ্রযুক্ত।[16]
আঁশের বিন্যাস
অন্যান্য সর্পপ্রজাতির মত, ফরেস্ট কোবরার দেহত্বক আঁশে ঢাকা। সাপেদের সম্পূর্ণ দেহত্বক বিভিন্ন আকার এবং আকৃতির আঁশে আবৃত থাকে- সব মিলিয়ে বলা হয় স্নেক স্কিন । এই আঁশগুলি তাদের দেহকে রক্ষা করে, গমনে সহায়তা করে, দেহের অভ্যন্তরীণ আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং দেহত্বকের বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট যথা খসখসে ভাব পরিব্ররতন ঘটিয়ে লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করে। ফরেস্ট কোবরার পৃষ্ঠদেশীয় আঁশগুলি মসৃণ, চকচকে এবং ভীষন্রকম তীর্যক প্রকৃতির।[3] এই প্রজাতির বর্ন বৈচিত্রপূর্ন- তিন প্রকার প্রধান বর্নবিন্যাস দেখা যায়। সিয়েরা লিওনের পূর্ব অংশ থেকে পশ্চিম কেনিয়া এবং দক্ষিণ অ্যাংগোলা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে যে সমস্ত ফরেস্ট কোবরা জঙ্গল বা জঙ্গলের সীমান্তবর্তী অঞ্চল জুড়ে বসবাস করে তাদের বর্ন চকচকে কালো; চিবুক, গলা ও পেটের অভ্যন্তরীন ভাগ দুধের সর এর মতো রঙ বা সাদা এবং মোটা কালো আড়াআড়ি দাগ এবং কালো ছিটছিট দাগ যুক্ত। এদের মাথার পাশের দিক আকর্শনীয় ভাবে সাদা-কালো দাগযুক্ত; দেখে মনে হয় ঠোঁটের উপর উলম্বভাবে সাদা-কালো ডোরা কাটা। দ্বিতীয় প্রকার বর্ন বিন্যাস যা পশ্চিম আফ্রিকার সাভানা অঞ্চলে বসবাসকারী ফরেস্ট কোবরাদের মধ্যে দেখা যায়- তা হল কালো এবং হলুদ বন্ধনী(banded) যুক্ত দেহ, লেজ কালো এবং মাথার উপরিভাগ বাদামী-হলুদ,ঠোঁট, চিবুক ও গলা হলুদ বর্নের হয়। তৃতীয় প্রকার বর্ন বিন্যাসটি পূর্ব আফ্রিকার উপকূলবর্তী সমতল, দক্ষিণ কোয়াজুলু-নাটাল, জাম্বিয়া ও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর দক্ষিণ ভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে বসবাসকারী ফরেস্ট কোবরাদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়, এদের দেহের বর্ন বাদামী বা কালচে- বাদামী; তবে দেহের নিম্নভাগে কালচে-বাদামী রঙ খানিকটা হালকা হয়ে যায়। পেট হলুদ বা দুধের সর এর মতো রঙের; ঘনভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বাদামী বা কালো ছিটছিট দাগ বা ফুটকি লক্ষ্য করা যায় এবং লেজের রঙ কালো। এই প্রজাতির সম্পূর্ণ কালো (Melanistic) নমুনাগুলি পশ্চিম আফ্রিকায় দেখা যায়।[18]
ফরেস্ট কোবরার মাথা, দেহ এবং লেজের আঁশবিন্যাস নিম্ন্রূপঃ-[18]
|
|
বিষ
এই প্রজাতির বিষ হল পোস্ট-সাইন্যাপ্টিক নিউরোটক্সিনস এবং এদের দংশনে ভয়ানক স্নায়ুতন্ত্রের বিষক্রিয়া দেখা যায়।[8] আরন্সট এবং যুজ ও অন্যান্যরা মিলে ১৯৯৬ সালে এই বিষের মূল্যায়ন করে মান নির্ধারন করেন, সাবকিউটেনিয়াস এলডি50 হল ০.২২৫মিগ্রা/কেজি।[19] অস্ট্রেলিয়া ভেনম এবং টক্সিন ডেটাবেস এর ব্রাউন ও ফ্রাই এর মতে, মুরিন ইন্ট্রাপেরিটোনিয়াল এলডি50 হল ০.৩২৪মিগ্রা/কেজি।[20][21] দংশনে প্রতি নির্গত বিষের পরিমাণ গড়ে ৫৭১মিগ্রা এবং সর্বাধিক ১১০২মিগ্রা।[22] একবার দংশনে এই প্রজাতির সাপেরা এত বেশি পরিমান বিষ আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে ঢুকিয়ে দেয়, সেই কারণে এরা ভীষন বিপজ্জনক। আত্মরক্ষার্থে ফরেস্ট কোবরা ভীষন আক্রমণাত্বক ও মরিয়া হয়ে ওঠে। এদের কামড়ে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে বিষক্রিয়ায় ৩০ থেকে ১২০মিনিটের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে। বিষক্রিয়ার লক্ষণগুলি হল, ঝিমুনি ভাব, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অসারতা, শ্রবনশক্তি লোপ পাওয়া, বাকশক্তি লোপ পাওয়া, মাথা ঘোরা, শক, রক্তের চাপ কমে যাওয়া, পেট ব্যাথা, জ্বর, ফ্যাকাশে ভাব বা বিবর্নতা এবং অন্যান্য স্নায়ুগত এবং শবাস্প্রশবাস সংক্রান্ত লক্কন দেখা যায়।[8]
আফ্রিকান কোবরাগুলির মধ্যে ফরেস্ট কোবরা হল অন্যতম সর্বাপেক্ষা কম দংশনকারী সাপ। [8] এর দংশনের হার ও ঘটনা খুবই কম হওয়ার প্রধান কারণ হল এরা জঙ্গল্বাসী সাপ; লোকালয়ে এদের আগমনের সম্ভাবনা খুব কম। এই প্রজাতির লক্ষন সমূহ মিশরীয় কোবরা (Naja haje)র অতি সদৃশ্য বা অনুরূপ বলে মনে করা হয়।[23] চিকিৎসাশাস্ত্রে এই প্রজাতির সর্প সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা খুবই অপ্রতুল এবং নথিভুক্ত দংশনের ঘটনা বা নিদর্শন কদাচিৎ শোনা যায়। নিউরোটক্সিনের চরম বিষক্রিয়ার কারণে ফরেস্ট কোবরার কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তির শবাসকার্য বন্ধ হয়ে মৃত্যুর নজির রয়েছে। তবে বিশক্রিয়ার লক্ষঙ্গুলি দেখা যাওয়ার সাথে সাথেই দ্রুত অ্যান্টিভেনাম প্রয়োগ করা গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তি বেঁচে যায়। বিশেষ অ্যান্টিভেনামের প্রয়োগ ছাড়াই সবতঃস্ফূর্ত ভাবে বা নিজে নিজেই বিষক্রিয়া থেকে সেরে ওঠার নিদর্শনো কদাচিৎ দেখা গেছে, যদিও প্র্যোজনীয় চিকিৎসা ও অ্যান্টিভেনাম এর প্রয়োগে অবহেলা করার অর্থ হল চরম অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকি নেওয়া। এই প্রজাতির সাপ উত্ত্যক্ত হলে বা কোন্ঠাসা হয়ে পড়লে দ্রুত প্রতি-আক্রমণ করতে পারে এবং যেহেতু দংশঙ্কালে প্রচুর পরিমানে বিষ ঢালতে পারে, তাই দ্রুত মারাত্বক ফলাফলের সম্ভাবনা প্রবল। অধিকাংশ কোবরার ন্যায় এরাও চরম প্রতি-আক্রমণাত্বক; পলায়নপর নয়। চিকিৎসা না করানো দংশনের ক্ষেত্রে মৃত্যু হার যদিও সঠিক ভাবে বলা যায় না, তবুও খুব উচ্চমাত্রায় বলেই মনে করা হয়। ফরেস্ট কোবরারা কখনো বিষ ছোড়েনা বা স্প্রে করে না। সরিসৃপ ও উভয়চরবিদ দের মতানুসারে, আফ্রিকান এলাপিডদের মধ্যে এই প্রজাতির সর্পকে অন্যতম সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান প্রজাতি হিসাবে গন্য করা হয়।[23]
লিবেরিয়াতে ফরেস্ট কোবরার দংশনের দুটি ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে যাতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে মারাত্বক রকম স্নায়বিক লক্ষন দেখা যায়, যথা, বমির ভাব, হৃদ-স্পন্দন বেড়ে যাওয়া এবং শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। ঘানাতে একটি শিশু সর্পদংশনের ২০মিনিটের মধ্যে মারা যায় এবং সন্দেহ করা হয়েছে যে ঘাতক সর্প্টি ফরেস্ট কোবরা প্রজাতিভুক্ত।[24]
বিতরন এবং বাসস্থান
মূলত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকাতে ফরেস্ট কোবরা দেখা যায়।[3] এছাড়া এদের দেখা মেলে সেনেগাল, গিনি-বিসসান, গিনি, দক্ষিণ-পশ্চিম মালি, সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া, কোত দিভোয়ার, বুরকিনা ফাসো, ঘানা, টোগো, বেনিন, নাইজেরিয়া, নিরক্ষীয় গিনি,ক্যামেরুন এবং পশ্চিম আফ্রিকার গাবন থেকে রিপাবলিক অফ কঙ্গো, কঙ্গো, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, মধ্য আফ্রিকার উত্তর অ্যাংগোলা থেকে পশ্চিম কেনিয়া পর্যন্ত, উগান্ডা, আরওয়ান্ডা; প্ররব আফ্রিকার বুরুন্ডি এবং নাটাসহ দক্ষিণ আফ্রিকার খন্ডিত ভূখন্ডে।[18]
জঙ্গলের সাপ হিসাবে, এই ফরেস্ট কোবরা আফ্রিকান কোবরাগুলির মধ্যে একমাত্র সাপ যাহা উচ্চ বনভূমিতে বাস করে।[25] এই সার্প প্রজাতি বিভিন্ন পরিবেশে সহজেই ভালভাবে অভিযোজিত হতে পারে। এই কারণে ফরেস্ট কোবরার বাসস্থান বা বাসভূমি ভীষনভাবে নির্ভর করে আফ্রিকান ভৌগোলিক পরিধি বা সীমানার ঠিক কোন অংশে সাপটি জন্মগ্রহণ করেছে তার উপর। দক্ষিণ আফ্রিকাজাত ফরেস্ট কোবরাদের সাধারনত সাভানা অঞ্চলে এবং তৃনভূমিতে বাস করতে দেখা যায়; যদিও এদেরকে ভাঙ্গাচোরা পাথুরে অঞ্চলেও বাস করতে দেখা যায়। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার ক্রান্তীয় এবং নাতি-ক্রান্তীয় রেইন ফরেস্ট এই প্রজাতির সাপের মূল বাসভূমি।[4] আবার পশ্চিম আফ্রিকার ম্যানগ্রোভএর জঙ্গলেও এদের বসবাস রয়েছে। ফরেস্ট কোবরা প্রজাতির যে সাপগুলি ব্যান্ড বা যুক্ত, তাদের পশ্চিম আফ্রিকার সাভানা ও তৃনভূমি অঞ্চলে(সাধারনত নদীর ধারে),ঘন গাছপালাযুক্ত অঞ্চলে, বিশেষতঃ নদীতীরবর্তী জঙ্গলে দেখা যায় (ল্যাটিচুড ১৪ নর্থ পর্যন্ত)। এই প্রজাতি অতি পছন্দের বাসভূমি হল নিম্নভূমিবর্তী জঙ্গল এবং আর্দ্র্য সাভানা ভূমি যেখানে এরা পছন্দের উপকূলবর্তী ঘন ঝোপঝাড়।[18] ফরেস্ট কোবরাকে উচ্চ অভিযোজন ক্ষমতা সম্পন্ন সাপ বলে মনে করা হয় এবং তাই প্রয়োজন হলে অধিকতর শুষ্ক অঞ্চলে এরা অনায়াসেই নিজেদের অভিযোজিত করতে পারে। পশ্চিম কেনিয়াতে প্রসস্থ তৃনভূমিযুক্ত অঞ্চলে এই সর্প প্রজাতির দেখা যায়।[25] উগান্ডা্র জলভূমিতে এদের প্রায় সর্বদাই দেখা যায়। ফরেস্ট কোবরার বাদামী বর্ন বন্যাস দেখা যায় উপকূলবর্তী ও উচ্চভূমির জঙ্গলে, ঘন ঝোপঝাড়ে এবং তৃনভূমিযুক্তযুক্ত অঞ্চলে (যেমন-ন্যাঙ্গা, জিম্বাবোয়ে)। এদের গুপ্ত অভ্যাস এবং গর্তে বাস করার পছন্দের দরুন, এদের প্রায়শই ঘন বসতি অঞ্চলে দেখা যায়। মধ্য আফ্রিকার অনেক শহরে ও আশেপাশের অঞ্চলে এদের দর্শন পাওয়া যায়। এমনকি এই শহরগুলি থেকে গাছপালা ঝোপঝাড় অধিকাংশই লুপ্ত হয়ে যাওয়ার পরও এখানে এরা দৃশ্যমান। ফলের বাগানে বা ফলের চাষ যেখানে হয় সেখানেও এরা বসবাস করে, তবে এক্ষেত্রে এরা বৃক্ষবাসী। এদের উচ্চক্ষমতার অভিযোজনের কারণে এরা বিভিন্ন উচ্চতায় বাস করতে সক্ষম, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮০০মিটার বা ৯২০০ফুট উচ্চ পর্বতত্য জঙ্গলেও এদের বসবাস করতে দেখা যায়। [25]
আচরণ
ফরেস্ট কোবরাদের সাধারনত দিনের বেলায় সক্রিয় দেখা যায়। এরা চটপটে এবং ক্ষিপ্র এবং ভাল আরোহণকারীও। নাজা বর্গের আদর্শ কোবরাদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ জলচর সর্প।[6] এই সর্পপ্রজাতি স্থলজ, দ্রুতগামী, চমৎকার আরোহণকারী। ১০মিটার বা ৩৩ ফুটেরও বেশি উঁচু গাছে এরা চড়তে পারে বলে জানা গেছে। এরা অতি সজাগ ও তৎপর। এরা জলে সাঁতার কাটতে পারে এবং দরকার হলেই জলে নামে পড়ে। কোনো কোনো অঞ্চলে এদের প্রধান খাদ্য হল মাছ। মাছ শিকারে এরা প্রায়শই জলে নামে এবং তাই এদের অর্ধ-জলচর হিসাবেও গণ্য করা হয়। যদিও জনমানবহীন অঞ্চলে দিনের বেলায় মূলত এদের দেখা পাওয়া যায়, তথাপি জনবসতি অঞ্চলে নৈশ অভিযানে এদের সক্রিয় হতেও দেখা যায়। যখন এরা সক্রিয় থাকে না, তখন এরা জঙ্গলের অথবা জঙ্গলের সীমানার গর্তে, গাছের ফাঁপা গুঁড়িতে বা কোটরে, উদ্ভিদের গুচ্ছমূলে, পাথরের ফাটলে, পরিত্যক্ত উইপোকার ঢিপিতেও বসবাস করে। কোনো কোনো অঞ্চলে এই স্ররপ প্রজাতিদের নদীর পাড়ের গর্তে বা ফাটলে, গাছের ঝুলে থাকে মূল গুচ্ছে, পাখির বাসার কোটরে এবং শহরাঞ্চলে আবর্জনার গাদা অথবা পুরনো অব্যবহৃত বাড়ীতে বাস করতে দেখা যায়। উত্তেজিত হলে এবং কোণঠাসা হলে চ্যাপ্টা লম্বা ফনা মেলে দেহের অগ্রভাগ অনেকটা উচ্চতা পর্যন্ত তুলে ধরে। ফরেস্ট কোবরা ক্ষিপ্র এবং বিরক্ত করলে অথবা কোনঠাসা হলে দ্রুত ছোবল মারতে পারে অনেকটা দূর থেকে। এরা আক্রমণাত্বক হয়ে সামনের দিকে তেড়ে আসে এবং দৃঢ়প্রতিঞ্জ হয়ে ছোবল দেয়।[23] কোনো কোনো বিশেষঞ্জ্রা বিশ্বাস করেন আফ্রিকার সাপেদের মধ্যে অন্যতম সর্বাপেক্ষা ভয়ঙ্কর এই ফরেস্ট কোবরা। খাঁচাবন্দী অনেক ফরেস্ট কোবরার ক্ষেত্রেই দেখা গেছে এরা বিশেষরকম ক্ষিপ্ত এবং আক্রমণাত্বক।[6][7] তবে এই সর্প প্রজাতি বিষ ছেটাতে("spit") পারে না।[18]
খাদ্য
ফরেস্ট কোবরার খাদ্য তালিকা বিচিত্র-প্রচুর রকমের শিকার ধরে [3] এরা-উভচর, মাছ, অন্যান্য সাপ, গোধিকা বা গুই সাপ,অন্যান্য টিকটিকি, পাখীর ডিম, ইঁদুর জাতীয় তীক্ষ্ণদন্ত প্রাণী, মাডস্কিপার এবং অন্যান্য ক্ষুদ্রাকার স্তন্যপায়ী প্রাণী। পশ্চিম আফ্রিকাতে, এই প্রজাতির একটি সাপ গিফ্ররডস জায়েন্ট স্রিউ (Gifford's giant shrew) নামক অতি দুর্গন্ধময় একটি পতঙ্গভুক প্রাণীকে খেয়েছিল বলে জানা যায়। বলাবাহুল্য, এই পতঙ্গভুক প্রাণীটি এমনই দুর্গন্ধযুক্ত যে অধিকাংশ সাপই এদেরকে স্প্ররশ করে না। [23]
প্রজনন
এই প্রজাতির সাপেরা অন্ডজ বা ডিম্বনালীজাত।[6] গ্রীষ্মকালে স্ত্রী সাপেরা ১১ থেকে ২৬টির মত ডিম পাড়ে। ডিমগুলি সাদা বর্নের এবং মশৃন প্রকৃতির। প্রতিটি ডিম আনুমানিক ৩০ থেকে ৬০মিলিমিটার (১.২ থেকে ২.৪ ইঞ্চি) হয়। ডিমগুলি থোকা হয়ে একসাথে আটকে থাকে।[18] এরা ডিম পাড়ে গাছের ফাঁপা কুঠুরিতে, উইপোকার ঢিপিতে, মাটির গর্তে অথবা স্ত্রী সাপের করা বাসায়। মিলনের পূর্বে, স্ত্রী এবং পুরুষ জোড়া নাচের ছন্দে এবং ভঙ্গিমায় তাদের মাথা মাটি থেকে ১ফুট বা তারও বেশি উঁচুতে তুলে এদিক ওদিক দুলে দুলে নড়াচড়া করতে থাকে। এই ব্যাপারটি সর্প এবং সর্পিনীর মিলন হওয়ার পূর্বে একঘণ্টা ধরে চলতে পারে। সেইসময় পুরুষ সাপটি তার ক্লোকা অর্থাৎ যে স্থানে জনননালী, মূত্রনালী ও অন্ত্র উন্মুক্ত হয়, সেই স্থানটি স্ত্রী সাপটির ক্লোকার উপর চেপে ধরে। প্রজনন কালে স্ত্রী ফরেস্ট কোবরাটি অত্যন্ত বিরক্ত, অসহিষনু এবং আক্রমণাত্বক হয়ে ওঠে। এই সময় স্ত্রী সাপ কোনোরকম উত্তক্ত্য করা বা বিপন্ন হওয়ার কারণ ছাড়াই আক্রমণ করে এবং অনেক সময় পথচারীর চলার পথে ফরেস্ট কোবরার বাসা পরে গেলে, তার ফলাফল মারাত্বক হতে পারে। [5] ডিম থেকে বাচ্চা সাপগুলি স্বতন্ত্র ভাবেই বড় হয়ে ওঠে এবং দৈর্ঘ্য ২২-২৫সেন্টিমিটার(৮.৭ থেকে ৯.৮ ইঞ্চি) হয়।[16] যদিও কোনো কোনো সূত্র থেকে এই দাবি করা হয়েছে যে ডিম ফুটে বেরোনো বাচ্চাগুলি ৪৭সেন্টিমিটার(১৯ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।[18] ডিম ফোটার সময়কাল (Incubation period) মোটামুটি ৫৫ থেকে ৭০ দিন এবং প্রয়োজনীয় উষ্ণতা ২৭-৩০°C(৮১-৮৬°F)। একটি বন্দী ফরেস্ট কোবরার ক্ষেত্রে সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ডিম ফুটতে ৮০দিনের বেশি সময় লেগেছিল।[26] এই ফরেস্ট কোবরা প্রগাতির সাপগুলি দীর্ঘায়ু হিসাবে পরিচিত। একটি অনুরূপ সাপ বন্দীদশায় ২৮ বছর বেঁচেছিল এবং এটি বিষধর সাপদের মধ্যে বন্দীদশায় সবচেয়ে বেশীদিন বাঁচার, এটাই রেকর্ড।[25] অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন-এর চিড়িয়াখানার একটি ফরেস্ট কোবরার বয়স পয়লা সেপ্টেম্বর ২০১৪ সাল অনুযায়ী ৩৫ বছর।[27]
তথ্যসূত্র
- "Naja melanoleuca"। Encyclopedia of Life (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৩-২২।
- "Naja melanoleuca"। ইন্টিগ্রেটেড ট্যাক্সোনোমিক ইনফরমেশন সিস্টেম।
- "Naja melanoleuca"। Clinical Toxinology Resource (ইংরেজি ভাষায়)। University of Adelaide। ৫ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৩।
- Mattison, C. (২০০৭)। The New Encyclopedia of Snakes (ইংরেজি ভাষায়)। New York City: Princeton University Press। পৃষ্ঠা 272। আইএসবিএন 0-691-13295-X।
- Burton, M. (২০০২)। International Wildlife Encyclopedia (ইংরেজি ভাষায়)। United States: Marshall Cavendish Corp; 3rd edition। পৃষ্ঠা 481–482। আইএসবিএন 0-7614-7270-3।
- O'Shea, M. (২০০৫)। Venomous Snakes of the World (ইংরেজি ভাষায়)। United Kingdom: New Holland Publishers। পৃষ্ঠা 71। আইএসবিএন 0-691-12436-1।
- Haji, R.। "Venomous snakes and snake bite" (পিডিএফ)। Zoocheck Canada Inc. (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 14। ২৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৫।
- "Immediate First Aid for bites by the Forest cobra (Naja melanoleuca)"। Toxicology (ইংরেজি ভাষায়)। University of California, San Diego।
Clinical experience with Naja melanoleuca has been very sparse, and few recorded bites have been documented.
- Hallowell, E. (১৮৫৭)। Notes of a collection of reptiles from the Gaboon country, West Africa (ইংরেজি ভাষায়)। Philadelphia: Academy of Natural Sciences of Philadelphia, by Dr. Herny A. Ford। পৃষ্ঠা 48–72।
- "Naja"। The Free Dictionary (ইংরেজি ভাষায়)। Princeton University।
- "melano" (ইংরেজি ভাষায়)। Merriam-Webster Medical Dictionary।
- "leuc-" (ইংরেজি ভাষায়)। Merriam-Webster Medical Dictionary।
- "Naja"। ইন্টিগ্রেটেড ট্যাক্সোনোমিক ইনফরমেশন সিস্টেম।
- Wallach, V.; Wüster, W.; Broadley DG. (২০০৯)। "In praise of subgenera: taxonomic status of cobras of the genus Naja Laurenti (Serpentes: Elapidae)" (পিডিএফ)। Zootaxa (ইংরেজি ভাষায়)। 2236: 26–36।
- Broadley, DG. (১৯৮৩)। Fitzsimons' Snakes of Southern Africa (ইংরেজি ভাষায়)। Johannesburg: Delta Books। আইএসবিএন 0-947464-30-1।
- Spawls, Branch, S., B. (১৯৯৫)। The Dangerous Snakes of Africa (ইংরেজি ভাষায়)। Ralph Curtis; Revised Edition। পৃষ্ঠা 71। আইএসবিএন 978-0-88359-029-4।
- Shine, R.; Branch WR., Webb JK., Harlow PS., Shine T., Keogh JS. (জুন ২০০৭)। "Ecology of cobras from southern Africa"। Journal of Zoology (ইংরেজি ভাষায়)। 272 (2): 183–193। ডিওআই:10.1111/j.1469-7998.2006.00252.x।
- Marais, J. (১৯৯২)। A Complete Guide to Snakes of Southern Africa (Republished 2004) (ইংরেজি ভাষায়)। South Africa: Struik Publishers। পৃষ্ঠা 312। আইএসবিএন 1-86872-932-X।
- Zug, R.; Ernst, CH (১৯৯৬)। Snakes in Question: The Smithsonian Answer Book (ইংরেজি ভাষায়)। Washington D.C., USA: Smithsonian Institution Scholarly Press। পৃষ্ঠা 112। আইএসবিএন 1-56098-648-4।
- Brown, JH (১৯৭৩)। Toxicology and Pharmacology of Venoms from Poisonous Snakes (ইংরেজি ভাষায়)। Springfield, IL: Thomas। পৃষ্ঠা 184। আইএসবিএন 0-398-02808-7। এলসিসিএন 73000229।
- Fry, BG.। "LD50 menu (Archived)" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৪-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-২৪।
- Mirtschin, PJ.; Dunstan N., Hough B., Hamilto., Klein S., Lucas J., Millar D., Madaras F., Nias, T. (২৬ আগস্ট ২০০৬)। "Venom yields from Australian and some other species of snakes" (পিডিএফ)। Ecotoxicology (ইংরেজি ভাষায়)। 15 (6): 531–538। ডিওআই:10.1007/s10646-006-0089-x। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৩।
- Spawls, Branch, S., B. (১৯৯৫)। The Dangerous Snakes of Africa (ইংরেজি ভাষায়)। Ralph Curtis; Revised Edition। পৃষ্ঠা 73। আইএসবিএন 978-0-88359-029-4।
- Spawls, S.; Ashe, J.; Howell, K.; Drewes, R. (২০০২)। A Field Guide To The Reptiles Of East Africa (ইংরেজি ভাষায়)। London: Academic Press। পৃষ্ঠা 543। আইএসবিএন 978-0-12-656470-9।
- Spawls, Branch, S., B. (১৯৯৫)। The Dangerous Snakes of Africa (ইংরেজি ভাষায়)। Ralph Curtis; Revised Edition। পৃষ্ঠা 72। আইএসবিএন 978-0-88359-029-4।
- Tryon, BW. (১৫ নভেম্বর ১৯৭৯)। "Reproduction in Captive Forest Cobras, Naja melanoleuca (Serpentes: Elapidae)"। Journal of Herpetology (ইংরেজি ভাষায়)। Society for the Study of Amphibians and Reptiles। 13 (4): 499। জেস্টোর 1563487। ডিওআই:10.2307/1563487।
- "Rare Reptile Reaches Milestone" (ইংরেজি ভাষায়)। Zoos Victoria। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪। ২৭ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
- Immediate First Aid for bites by Forest cobra (Naja melanoleuca)
- Clinical Toxinology Resource
- Forest cobra (N. melanoleuca)