প্রান্তিক উপযোগ

অর্থশাস্ত্রে কোনো পণ্য বা সেবার প্রান্তিক উপযোগ (ইংরেজি: Marginal Utility) বলতে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে ঐ দ্রব্য বা সেবার অতিরিক্ত এক একক ভোগের দরুন মোট উপযোগের যে বৃদ্ধি হয় তা বোঝানো হয়ে থাকে। প্রান্তিক উপযোগ বিধি অনুসারে, কোন পণ্য বা সেবা সেই পরিমাণ ভোগ করাই মানুষের পক্ষে যৌক্তিক যখন প্রান্তিক উপযোগের মান প্রান্তিক ব্যয়ের সমান হয়।[1]

চিত্রে X অক্ষে দ্রব্যের পরিমাণ এবং Y অক্ষে এর উপযোগ স্থাপন করা হয়েছে। যা নির্দেশ করছে মোট উপযোগ (লাল রং) যখন সর্বোচ্চ মানে পৌঁছায় প্রান্তিক উপযোগ (নীল রং) তখন শূন্য হয়।

ফিলিপ উইক্সটিডের মতে, প্রান্তীয় বিবেচনা হল এমন বিবেচনাসমূহ যা আমাদের ব্যয়, মূলধন উপযোগ ইত্যাদির অতি ক্ষুদ্র বৃদ্ধি বা হ্রাস সম্পর্কিত আলোচনা। [2] উপযোগ হল কোন দ্রব্য বা সেবার অভাব পূরণের ক্ষমতা।

উদাহরণ

কোন ব্যক্তি যদি একটি কমলা কিনে তা থেকে ৫ টাকার সমান উপযোগ লাভ করে এবং দ্বিতীয় কমলা কিনে তা থেকে ৮ টাকার সমান উপযোগ লাভ করে তাহলে প্রান্তিক উপযোগ হবে ৮-৫=৩ টাকার সমান উপযোগ।

প্রান্তিক উপযোগ এর প্রকারভেদ

। ধ্বনাত্বক প্রান্তিক উপযোগ : যখন কোনো একটি দ্রব্য ভোগের মাধ্যমে মোট উপযোগ বৃদ্ধি পায়, তখন প্রান্তিক উপযোগ ধ্বনাত্বক হয়।

। শূন্য প্রান্তিক উপযোগ :যখন কোনো একটি দ্রব্যের অতিরিক্ত একক ভোগের মাধ্যমে যদি মোট উপযোগ এর কোনো পরিবর্তন না ঘটে বা স্থির থাকে, তখন প্রান্তিক উপযোগ হবে শূন্য।

।ঋণাত্মক প্রান্তিক উপযোগ : যখন ভোক্তা কোনো দ্রব্য ভোগের মাধ্যমে সর্বোচ্চ উপযোগ বা সন্তুষ্টি লাভের পরও অধিক একক উক্ত দ্রব্য ক্রমাগত ভোগ করতে থাকে তখন প্রান্তিক উপযোগ ঋণাত্মক হয়।

তথ্যসূত্র

  1. http://www.saylor.org/site/wp-content/uploads/2012/06/ECON101-3.1.pdf
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৪ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.