প্রশাসনিক আইন

প্রশাসনিক আইন বা Administrative law হলো আইনের একটি অঙ্গ যা সরকারের প্রশাশনিক সংস্থাগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা করে। নিয়ম-কানুন তৈরি করা, বিচার কার্য পরিচালনা করা এবং তা প্রয়োগ করাই এই বিভাগের প্রধান কাজ। পাবলিক আইনের একটি শাখা হিসেবে প্রশাসনিক আইন বিবেচিত হয়।

প্রশাসনিক আইনে সাধারণত পুলিশ আইন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য,  উৎপাদন করারোপণ, সম্প্রচার, অভিবাসন ও পরিবহণের ক্ষেত্রে নানাবিধ নিয়ম তৈরি ও তা প্রয়োগের জন্য প্রশাসনিক আইনের আওতায় সরকারের বিভিন্ন ট্রাইবুনাল, বোর্ড বা কমিশন সব সরকারের প্রশাসনিক ইউনিটগুলো কাজ করে থাকে।

বিংশ শতাব্দীতে প্রশাসনিক আইন ব্যাপক ভাবে প্রসার লাভ করে এর পেছনে মূল কারণ ছিলো দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশে ব্যাপকভাবে বিভিন্ন সংস্থা গঠন হতে থাকা এবং এইগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য নানা আইনসংস্থার সৃষ্টি।

সিভিল আইন যেসব দেশে বিদ্যমান সে সকল দেশে প্রশাসনিক আদালত দ্বারা সিদ্ধান্তগুলো পর্যালোচিত হয়।

ব্রাজিল

ব্রাজিলে সাধারণত প্রশাসনিক মামলাগুলো ফেডারেল কোর্ট অথবা রাষ্ট্রীয় কোর্টের পাবলিক ট্রেজারি শাখার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। ১৯৯৮ সালে রাষ্ট্রপতি ফার্নান্দো হেনরিক কার্ডোসোর নেতৃত্বে সাংবিধানিক সংস্করণের মাধ্যমে কার্যনির্বাহি শাখার অংশ হিসেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রবর্তন করেন। ১৯৮৮ সাল থেকে ব্রাজিলিয়ান প্রশাসনিক আইন দেশের সংবিধানে বিদ্যমান জন প্রশাসনিক নীতিগুলো দ্বারা দৃঢ়ভাবে প্রভাবিত হয়েছে (আর্টিকেল-৩৭, ফেডারেল সংবিধান)।

ফ্রান্স

ফ্রান্সে জাতীয় বা স্থানীয় সরকার এবং সরকারী সেবা দানকারী বেসরকারি সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে যেকোনো দাবি বা মামলার নিস্পত্তি করে প্রশাসনিক আদালত যা কাউন্সিল অফ স্টেট বা Council d'État নামে পরিচিত। ১

ফ্রান্সের প্রধান প্রশাসনিক আদালতগুলো হলো:

  • ট্রাইবুনাক্স প্রশাসক
  • আপিল আদালত বা d'appel

বিশেষ প্রশাসনিক আদালতের মধ্যে রয়েছে :

  • জাতীয় আশ্রয় অধিকার আদালত
  • সামরিক, চিকিৎসা ও বিচার বিভাগীয় আদালত

ফ্রান্সের প্রশাসনিক আইন "Droit administratif" নামে পরিচিত। ২

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.