প্রমথনাথ বিশী
প্রমথনাথ বিশী (১১ জুন ১৯০১ - ১০ মে ১৯৮৫) একজন লেখক, শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপক। তিনি ১৯৬২-৬৮ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য ছিলেন এবং ১৯৭২ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন।
প্রমথনাথ বিশী | |
---|---|
জন্ম | ১১ জুন, ১৯০১ জোয়াড়ি গ্রাম, নাটোর জেলা, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ১০ মে, ১৯৮৫ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | শান্তিনিকেতন, রাজশাহী কলেজ |
পরিচিতির কারণ | বাঙ্গালি সাহিত্যিক |
পুরস্কার | রবীন্দ্র পুরস্কার(১৯৬০) জগত্তারিণী স্বর্ণপদক (১৯৮৩) |
প্রাথমিক জীবন
১৯০১ খ্রীষ্টাব্দের ১১ই জুন নাটোর জেলার জোয়াড়ি গ্রামে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা নলিনীনাথ বিশী ও মাতা সরোজবাসিনী দেবী, স্ত্রী সুরুচি দেবী।
শিক্ষা জীবন
১৯১০ সালে শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মবিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। সেখানে তিনি অভিভাবক, শিক্ষক ও প্রেরণাদাতারূপে পান রবীন্দ্রনাথকে। সেখানে এক নাগাড়ে সতের বছর অধ্যয়ন করেন। ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে রাজশাহী কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতক পাস করেন। মেধা, প্রখর বুদ্ধি, অধ্যয়ননিষ্ঠা, কবি-প্রতিভা ইত্যাদি গুণাবলির জন্য রবীন্দ্রনাথের স্নেহ লাভ করেন। পরে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসাবে ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে বাংলায় এম.এ পাশ করেন।
সাহিত্যকীর্তি
১৯২৪ সালে শান্তিনিকেতনের ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি প্রথম উপন্যাস লিখেন "দেশের শত্রু"। এরপর পদ্মা (১৯৩৫), জোড়াদিঘীর চৌধুরী পরিবার (১৯৩৮), কেশবতী (১৯৪১), নীলমণির স্বর্গ (১৯৫৪), সিন্ধুদেশের প্রহরী (১৯৫৫) উপন্যাসগুলো রচনা করেন। তবে তার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস "কেরী সাহেবের মুন্সি" (১৯৫৮)। এই উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৬০ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। তার আরেকটি বিখ্যাত উপন্যাস "লাল কেল্লা" (১৯৬৩)। এছাড়া তিনি একজন ছোটগল্পকার ও নাট্যকারও ছিলেন।
নাটক
- পূর্ণাঙ্গ নাটক
- ঋণং কৃত্যা
- ঘৃতং পিবেৎ (সানিভিলা)
- ডিনামাইট
- সাবিত্রীর স্বয়ম্বর
- দক্ষিণপাড়ার মেয়েরা
- মৌচাকে ঢিল
- গভর্মেন্ট-ইন্সপেক্টর (নিকোলাই গোগোল রচিত একই নামের একটি নাটকের অনুবাদ[1])
- পারমিট
- ভূতপূর্ব স্বামী
- হিন্দী উইদাউট টিয়ার্স
- জাতীয় উন্মাদাশ্রম
- একাঙ্ক নাটক
- পশ্চাতের আমি
- পরিহাস-বিজল্পিতম্
- বেনিফিট অব ডাউট
- কে লিখিল মেঘনাদবধ কাব্য
- অসম্পূর্ণ নাটক
- স্বর্গ
- আফিঙের ফুল
সম্মাননা
১৯৬০ সালে কেরী সাহেবের মুন্সী উপন্যাসের জন্য প্রমথনাথ বিশী রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি বিদ্যাসাগর স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮২) ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত জগত্তারিণী স্বর্ণপদকও (১৯৮৩) লাভ করেছিলেন।
মৃত্যু
১০মে, ১৯৮৫ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।[2]
তথ্যসূত্র
- ‘নাটক পরিচিতি’, নাটক সমগ্র, প্রমথনাথ বিশী, সম্পাদনা: বিজিতকুমার দত্ত, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা, ১৪০৫ সংস্করণ, পৃ. ৮৩১
- সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান; দ্বিতীয় সংস্করণ: ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা: ২৩১, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৩৫৪-৬