প্রকাশ ঝা
প্রকাশ ঝা (ইংরেজি: Prakash Jha) (জন্ম: ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, প্রযোজক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। রাজনৈতিক ও সামাজিক বার্তাবাহক চলচ্চিত্র নির্মান ও প্রযোজনার জন্যে তিনি বলিউডে বিশেষ পরিচিত। তার নির্মিত তথ্যচিত্র জাতীয় পুরস্কার পায়। তিনি নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা 'প্রকাশ ঝা প্রোডাকশন' এর মালিক। তার পরিচালিত সুপরিচিত চলচ্চিত্র গুলির মধ্যে রয়েছে গঙ্গাজল, রাজনীতি, মৃত্যুদণ্ড, অপহরণ, চক্রব্যূহ, সত্যাগ্রহ, জয় গঙ্গাজল ইত্যাদি।
প্রকাশ ঝা | |
---|---|
জন্ম | |
পেশা | পরিচালক, প্রযোজক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৭৬ - বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | দিপ্তী নাভাল(১৯৮৫ - ২০০২) বিচ্ছেদপ্রাপ্ত |
সন্তান | দিশা |
ওয়েবসাইট | Prakash Jha Productions |
প্রারম্ভিক জীবন
বিহারের কোডার্মা জেলার তিলাইয়া সৈনিক স্কুলে পড়াশুনা শুরু করেন প্রকাশ ঝা। প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ হওয়ার পর অধুনা ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বোকারো স্টিল সিটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের রামজস কলেজ থেকে পদার্থ বিদ্যায় অনার্স সহ পাশ করেন। এর মধ্যে এক বছরের জন্যে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে মুম্বইতে চলে যান ও জে.জে. স্কুল অফ আর্টসে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এসময় ধর্মা সিনেমার চিত্রগ্রহণ প্রত্যক্ষ করবার পর চলচ্চিত্র জগতে আগ্রহ জন্মায়। ১৯৭৩ সালে পুনা ফিল্ম ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন তিনি। ছাত্র বিক্ষোভের জেরে একবার এই প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে তিনি মুম্বাই ফিরে যান এবং আর পরে কখোনো কোর্স সমাপ্ত করতে ফিরে আসেননি শিক্ষাকেন্দ্রে।[1]
চলচ্চিত্র জীবন
১৯৭৪ সালে স্বাধীনভাব সিনেমা পরিচালনার কাজে হাত দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালে প্রথম তথ্যচিত্র 'আন্ডার দ্য ব্লু' নির্মান করেন। পরের টানা আটবছর রাজনৈতিক তথ্যচিত্র নির্মান করে গেছেন ঝা। তার পরিচালিত ও নির্মিত যে তথ্যচিত্রগুলি বিভিন্ন মহলে সাড়া ফেলে তার মধ্যে আছে 'বিহার শরিফ রায়ট', টাইটেলড, ফেসড আফটার দ্য স্টর্ম (১৯৮৪) ইত্যাদি। শেষের কাহিনীটি প্রকাশ হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই নিষিদ্ধ হয়ে যায়। যদিও পরে এটি জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিল।
তার পরিচালিত সিনেমা হিপ হিপ হুররে ১৯৮৪ সালে মুক্তি পায়। এই ছবির স্ক্রিপ্ট লেখক ছিলেন গীতিকার গুলজার। ১৯৮৫ সালে তার ছবি দামুল জাতীয় পুরস্কার জেতে ও প্রকাশ ঝা খ্যাতি পান। এই ছবিটি বিহারের ক্রীতদাস প্রথার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছিল।
ব্যক্তিগত জীবন
প্রকাশ ঝা অভিনেত্রী, পরিচালক ও বুদ্ধিজীবী দীপ্তি নাভালকে বিবাহ করেছিলেন। তাদের একটি দত্তক কন্যা আছে যার নাম দিশা। পরবর্তীতে এদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
রাজনীতি ও সামাজিক কর্ম
২০০৪ সালে প্রথম চম্পারণ থেকে লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়ে পরাজিত হন প্রকাশ ঝা। ২০০৯ সালে পুনরায় লোকজনশক্তি দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন পশ্চিম চম্পারণ কেন্দ্র হতে ও পরাজিত হন। ২০১৪ সালে বেত্তিশ লোকসভা থেকে জেডি(ইউ) দলের হয়ে ভোটে দাঁড়ান এবং পরাজিত হয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।
অনুভূতি
তিনি অনুভূতি নামক সমাজকল্যাণ সংস্থার প্রধান। এই সংস্থাটি সামাজিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সচেতনতা, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা ও কৃষকদের উন্নতিকল্পে কাজ করে। আর্থ সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা শ্রেনীর কল্যাণে অনুভূতি কাজ করে থাকে। ২০০৮ সালে কোশি নদীর বন্যায় দুর্গতদের ভেতর ত্রানের কাজ ও পূনর্বাসনের কাজ করেছে অনুভূতি।
তথ্যসূত্র
- Yves Thoraval (2000.)। Prakash Jha The Cinemas of India। Macmillan India। পৃষ্ঠা ১৯১, ১৯২। আইএসবিএন 978-0-333-93410-4। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে প্রকাশ ঝা (ইংরেজি)