পূর্ণিমা
পূর্ণিমা চন্দ্রের একটি কলা। এটি তখনই ঘটে যখন চাঁদ, পৃথিবীর যে পাশে সূর্য অবস্থিত তার ঠিক উল্টো পাশে অবস্থান করে। পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান চাঁদ এসময় সূর্য দ্বারা পূর্ণভাবে আলোকিত হয় যার ফলে একে একটি পূর্ণ গোলাকার চাকতি রুপে দেখা যায়। তবে এসময়ও প্রকৃতপক্ষে চাঁদের অর্ধেক অংশই আলোকিত হয় কারণ উল্টো দিকটি অনালোকিতই থেকে যায়।[1]
গ্রহণসমূহ
যখন সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ অবস্থান নেয়, তখন পৃথিবীপৃষ্ঠের পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে সূর্য চাঁদের পেছনে আড়ালে চলে যায় এবং সূর্যের গ্রহণ ঘটে। আবার পৃথিবী যখন চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে আসে তখন পৃথিবীর আড়ালে চাঁদ ঢাকা পড়ে এবং চন্দ্রগ্রহণ হয়। চন্দ্রগ্রহণ সূর্যে অবস্থিত কাল্পনিক পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে ঘটলেও, চাঁদের দিকে মুখ করে থাকা পৃথিবীপৃষ্ঠের মানুষেরাও এই চন্দ্রগ্রহণের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, কেননা সূর্য একটি তারা বলে তার আলো পৃথিবীতে বাধা পায় এবং চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় ঢাকা পড়ে যায়। সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হল একটি তারা ও দুইটি অন্য ধরনের জ্যোতিষ্ক নিয়ে গঠিত ব্যবস্থায় সংঘটিত গ্রহণ।[2][3]
লোকসংস্কৃতি
'লোক'-এর অর্থ হল মুলত গ্রামীণ, যার অধিকাংশই কৃষিকেন্দ্রিক জীবিকানির্ভর জনগোষ্টী। ঐতিহ্যনুসারী বৃহত্তর গ্রামীণ জনগোষ্টীর ধর্মীয় ও সামাজিক বিশ্বাস, আচার-আচরণ ও অনুষ্ঠান, জীবন-যাপন প্রণালী, শিল্প ও বিনোদন ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা সংস্কৃতিকে সহজ ভাষায় লোকসংস্কৃতি বা জনসংস্কৃতি বলা হয়।
পঞ্জিকা
পঞ্জিকা বছরের প্রতিদিনের তারিখ, তিথি, শুভাশুভ ক্ষণ, লগ্ন, যোগ, রাশিফল, বিভিন্ন পর্বদিন ইত্যাদি সংবলিত গ্রন্থ। একে পঞ্জী বা পাঁজিও বলা হয়। প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যে একে বলা হয়েছে ‘পঞ্চাঙ্গ’। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও এটি এই নামে পরিচিত। এর কারণ এতে বার, তিথি, নক্ষত্র, যোগ ও করণ প্রধানত এই পাঁচটি অঙ্গ থাকে। বাংলায় অবশ্য এটি পঞ্জিকা নামেই সুপরিচিত।
পূর্ণিমার নামসমূহ
মাস | নাম |
---|---|
জানুয়ারি | পৌষী পূর্ণিমা |
ফেব্রুয়ারি | মাঘী পূর্ণিমা |
মার্চ | দোলপূর্ণিমা,গৌর পূর্ণিমা,ফাল্গুনী পূর্ণিমা |
এপ্রিল | চৈত্র পূর্ণিমা |
মে | বুদ্ধপূর্ণিমা বা বৈশাখী পুর্ণিমা |
জুন | জ্যৈষ্ঠী পূর্ণিমা |
জুলাই | গুরু পূর্ণিমা |
আগস্ট | নারালি পূর্ণিমা, রাখী পূর্ণিমা |
সেপ্টেম্বর | ভাদ্রপদ পূর্ণিমা, মধু পূর্ণিমা |
অক্টোবর | কোজাগরী অথবা শারদ পূর্ণিমা |
নভেম্বর | কার্তিকী পূর্ণিমা অথবা রাসপূর্ণিমা |
ডিসেম্বর | অগ্রহায়ণ পূর্ণিমা |
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- [P. Kenneth Seidelmann (ed.), [https://archive.org/details/131123ExplanatorySupplementAstronomicalAlmanac/page/n253 "Phases of the Moon"], Explanatory Supplement to the Astronomical Almanac: A Revision to the Explanatory Supplement to the Astronomical Ephemeris and the American Ephemeris and Nautical Almanac, (Mill Valley: University Science Books, 1992), p. 478.
- Meeus, Jean (১৯৯৮)। "Phases of the Moon"। Astronomical Algorithms (2nd সংস্করণ)। Richmond, Virginia: Willmann-Bell। পৃষ্ঠা 349–354। আইএসবিএন 0-943396-61-1।
- Meeus, Jean (২০০২)। "The Duration of the Lunation"। More Mathematical Astronomy Morsels। Richmond, Virginia: Willmann-Bell। পৃষ্ঠা 19–31। আইএসবিএন 0-943396-74-3।