পুলক গগৈ
পুলক গগৈ (অসমীয়া: পুলক গগৈ) অসমের একজন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৭৪ সালে তিনি খোজ নামক অসমীয়া চলচ্চিত্র পরিচালনা করে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেছিলেন। তিন ই সর্বমোট ৮টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। রেলর আলির দুবরি বন নামক চলচ্চিত্র পরিচালনা করে তিনি শ্রেষ্ঠ আঞ্চলিক চলচ্চিত্রের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার লাভ করেছেন[1]।[2]। চলচ্চিত্র জগতে জড়িত হওয়ার পূর্বে তিনি চিত্রশিল্পী তথা কার্টুনিস্ট ছিলেন।
পুলক গগৈ | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১২ নবেম্বৰ ২০২২ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | চলচ্চিত্ৰ পরিচালক |
সন্তান | অমিতাভ গগৈ, গীতিমা |
পিতা-মাতা | সোণেশ্বর গগৈ গুণমালা গগৈ |
পুরস্কার | জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার |
কর্মজীবন
একজন চিত্রশিল্পীরূপে পুলক গগৈয়ের কর্মজীবন আরম্ভ হয়েছিল। তিনি বোম্বের বান্দ্রা স্কুল অফ আর্টস থেকে চিত্রাঙ্কন শিখেছিলেন[3][4] । বোম্বের জাহাঙ্গীর আর্ট গ্যালারি এবং ওয়াশিংটন ও অন্যান্য বিভিন্ন স্থানে তাঁর আঁকা চিত্রগুলি প্রদর্শিত হয়েছিল। আসাম ট্রিবুইন নামক অসমীয়া দৈনিক সংবাদ কাগজে তিনি কার্টুনিস্টের পদে চাকুরি করেছিলেন। বীরেন্দ্র কুমার ভট্টাচার্যের নবযুগ নামক আলোচনা পত্রিকায় তিনি কিছুকাল কাজ করেছিলেন, কিন্তু পত্রিকাটি বন্ধ হওয়ায় তিনি কলকাতায় গমন করেন ও সেখান থেকে কার্টুনের পত্রিকা প্রকাশ করেন। তাঁর আর্থিক অনটনের সংবাদ শুনে ভূপেন হাজরিকা ভাগ্য নামক চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ করে দেন[3][4] । ১৯৭১-৭২ সালে তিনি আমেরিকার ওয়াশিংটনের এক চিত্র প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন। প্রদর্শনীতে চল্লিশটি চিত্র বিক্রয় করে তিনি অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন। বোম্বে এসে তিনি বিজয় চৌধুরী, ভূপেন হাজরিকা ও পিযুষ কান্তি রায়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের প্রস্তানে তিনি খোজ নামক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশতঃ চলচ্চিত্রটি ফ্লপ হয়েছিল[3][4]। তিনি সর্বমোট ৯টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তারমধ্যে ৬টি প্রযোজনা করেছেন। শ্রীমতি মহিমাময়ী চলচ্চিত্রে তিনি যথেষ্ট আয় করেছিলেন। সেন্দুর ও সুরুয সুপারহিট চলচ্চিত্র রূপে পরিগনিত হয়েছে। রেলর আলির দুবরি বন নামক চলচ্চিত্র শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করেছে। তথ্যমতে তিনি পাঁচ লক্ষ টাকা আয় করেছিলেন[3][4]। তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা ছাড়াও ছোট চলচ্চিত্র ও টেলিফিল্ম নির্মাণ করেছেন[3]।
পরিচালিত চলচ্চিত্ৰ
পুলক গগৈ মর্বমোট ৯টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন[1]
ক্ৰমিক নং | চলচ্চিত্রের নাম | বৰ্ষ | উদ্ধৃতি |
---|---|---|---|
১ | খোজ | ১৯৭৫ | |
২ | শ্ৰীমতী মহিমাময়ী | ১৯৭৯ | |
৩ | সাদরী | ১৯৮২ | |
৪ | সেন্দুর | ১৯৮৪ | |
৫ | সূরূজ | ১৯৮৫ | |
৬ | রেলর আলির দুবরি বন | ১৯৯২ | |
৭ | মরম নদীর গাভরু ঘাট | ১৯৯৯ | |
৮ | পত্নী | ২০০৩ | |
৯ | মমতাজ | ২০১৩ |
সম্মান
রেলর আলির দুবরি বন নামক চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ৮০তম রাষ্ট্রীয় চলচ্চিত্র মহোৎসবে রজতমল পুরস্কার লাভ করেছেন[5] ।
- ১৯১৪ সালে মমতাজ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করেছিল[6]
।
তথ্যসূত্র
- "Film Directors"। enajori.com। ২০১৩-০১-২২। ২০১৫-০৯-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-৩০।
- "Pulak Gogoi"। nthwall.com। অক্টোবর ৮, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৩।
- অতনু ভট্টাচাৰ্য (২০১৮)। "মোৰ ইচ্ছামৃত্যু হ'ব যেন লাগে"। সাতসৰী। অজানা প্যারামিটার
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - চন্দন কুমাৰ। "পুলক গগৈৰ সৈতে মুক্তচিন্তাৰ সাক্ষাৎকাৰ"। http://muktosinta.org/। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২০।
|প্রকাশক=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - "40th National Film Festival, PDF Page 58, 156" (পিডিএফ)। ২১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- "The winners of Vivel Filmfare Awards East."। Filmfare। ৩১ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৪।