পি কে বাসু
পি কে বাসু হলেন বাঙালি সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের একটি কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র। কাঁটা সিরিজের কাহিনীগুলি পি কে বাসুকে কেন্দ্র করে রচিত।
চরিত্র
পি কে বাসু ওরফে প্রসন্নকুমার বসু, কলকাতা উচ্চ আদালতের খ্যাতনামা ক্রিমিনাল সাইড ব্যারিস্টার। তিনি, এ কে রে বা অতুলকৃষ্ণ রায়ের জুনিয়র ছিলেন। ফৌজদারি মামলায় তিনি অপ্রতিরোধ্য ও তুখোড় বুদ্ধিসম্পন্ন আইনজীবীর ভূমিকা পালন করেন। তিনি আদর্শগত ভাবে অপরাধীর কেস হাতে নেননা এবং নিরপরাধ ব্যক্তিকে মিথ্যা মামলার জাল থেকে খালাস করেন। নির্দোষ অথচ ফাঁসির আসামীকে বাঁচিয়ে দেন প্রখর বুদ্ধিতে। নারায়ণ সান্যাল এই চরিত্রটি স্ট্যানলি গার্ডেনার এর প্যারি ম্যাসনের অনুকরনে এঁকেছেন। কোর্টরুম ট্রায়াল ও নিজস্ব তদন্তের মাধ্যমে পিকে বসু রহস্য উদ্ঘাটন করে থাকেন। কাঁটা সিরিজের অধিকাংশ গল্পই স্ট্যানলি গার্ডেনারের গল্পের ছায়ায় যদিও আগাথা ক্রিস্টি ও কয়েকজন বিদেশী লেখকের কাহিনী অনুসারেও কিছু গল্প রচিত হয়েছে। পিকে বাসুর বাড়িতে তার পঙ্গু স্ত্রী এবং দুই যুবক যুবতী কৌশিক ও সুজাতা থাকে। শেষোক্ত দুই ব্যক্তি তাদের অনাত্মীয় হওয়া সত্বেও কাছের মানুষ। তাদের তৈরী গোয়েন্দা সংস্থা সুকৌশলী মাঝে মাঝে বাসুর নিজস্ব তদন্তে সহায়তা করে থাকে।
কাহিনী
পি কে বাসুর কাহিনীগুলি বাঙালি পাঠকের কাছে কাঁটা সিরিজ নামে জনপ্রিয়। কাঁটা সিরিজের প্রথম গল্প, সোনার কাঁটা (১৯৭৪) আগাথা ক্রিস্টির মাউস ট্র্যাপ গল্পের ছায়ায়। কাঁটা সিরিজের আগেও একটি গল্পে পি কে বাসু এসেছেন। গল্পটির নাম নাগচম্পা। নারায়ন সান্যালের ভাষায় সেটি ছিল কাঁটা সিরিজের ট্রায়াল বল।[1] পিকে বাসুর অর্থাৎ কাঁটা সিরিজের শেষ গল্প হরিপদ কেরানীর কাঁটা প্রকাশিত হয় ২০০১ সালে।[2]
চলচ্চিত্র
নাগচম্পা উপন্যাসটি যদি জানতেম নাম নিয়ে চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে ১৯৭৪ সালে। অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সুপ্রিয়া দেবী, রুমা গুহঠাকুরতা, কমল মিত্র, তরুণ কুমার প্রমুখ। ব্যারিস্টার পি কে বাসুর চরিত্রে অভিনয় করেন উত্তম কুমার।[3]
তথ্যসূত্র
- প্রথম খন্ড, নারায়ণ সান্যাল (১৯৯১)। কাঁটায় কাঁটায়। কলকাতা: দেজ পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ৮।
- ৬ষ্ঠ খন্ড, নারায়ণ সান্যাল (২০০৯)। কাঁটায় কাঁটায়। কলকাতা: দেজ পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ২৬৫। আইএসবিএন 81-295-0038-8।
- "Jadi Jantem (1974 - Bengali)"। gomolo.com। ২১ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৭।