পিট্সবার্গ
পিট্সবার্গ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেন্সিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি শহর এবং আলেঘেনি কাউন্টির একটি কাউন্টি আসন। ২০১৯ সালের হিসাব মোতাবেক, এই শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৩০০,২৮৬ জন, ফলে এটি জনসংখ্যার দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬৬তম বৃহত্তম শহর এবং ফিলাডেলফিয়ার পর পেন্সিলভেনিয়ার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল শহর। পিট্সবার্গ মেট্রোপলিটন এলাকা পশ্চিম পেন্সিলভেনিয়ার নঙ্গর ফেলার স্থান। ২,৩২৪,৭৪৩ জন বাসিন্দা নিয়ে এটি ওহাইও উপত্যকা ও অ্যাপালাচিয়ার বৃহত্তম, পেন্সিলভেনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৭তম বৃহত্তম শহর।
পিট্সবার্গ | |
---|---|
শহর | |
সিটি অব পিট্সবার্গ | |
পতাকা প্রতীক | |
ডাকনাম: সেতুর শহর, ইস্পাত নগরী, বিজয়ীদের শহর, দ্য 'বার্গ | |
নীতিবাক্য: বেনিনিও ন্যুমাঁ | |
পিট্সবার্গের মানচিত্র | |
স্থানাঙ্ক: ৪০°২৬′২৩″ উত্তর ৭৯°৫৮′৩৫″ পশ্চিম | |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
রাজ্য | পেনসিলভেনিয়া |
কাউন্টি | আলেঘেনি
|
ঐতিহাসিক সাম্রাজ্য |
|
ঐতিহাসিক উপনিবেশ |
|
প্রতিষ্ঠিত | ২৭ নভেম্বর, ১৭৫৮ |
পৌরসভা |
|
প্রতিষ্ঠাতা |
|
নামকরণের কারণ | "দ্য গ্রেট কমনার": প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম পিট |
সরকার | |
• ধরন | মেয়র-পরিষদ |
• নগরপাল | বিল পেডুটো (ডেমোক্র্যাটিক) |
• সিটি কাউন্সিল | কাউন্সিল সদস্য
|
আয়তন[1] | |
• শহর | ৫৮.৩৪ বর্গমাইল (১৫১.১১ বর্গকিমি) |
• স্থলভাগ | ৫৫.৩৮ বর্গমাইল (১৪৩.৪২ বর্গকিমি) |
• জলভাগ | ২.৯৭ বর্গমাইল (৭.৬৯ বর্গকিমি) ৪.৮% |
• মহানগর | ৫,৩৪৩ বর্গমাইল (১৩,৮৪০ বর্গকিমি) |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ১,৩৭০ ফুট (৪২০ মিটার) |
সর্বনিন্ম উচ্চতা | ৭১০ ফুট (২২০ মিটার) |
জনসংখ্যা (২০১০) | |
• শহর | ৩,০৫,৭০৪ |
• আনুমানিক (২০১৯)[2] | ৩,০০,২৮৬ |
• ক্রম | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ৬৬তম |
• জনঘনত্ব | ৫,৪২২.৬৭/বর্গমাইল (২,০৯৩.৭০/বর্গকিমি) |
• পৌর এলাকা | ১৭,৭৫,৬৩৪ (US: ২৫তম) |
• মহানগর | ২৩,৬২,৪৫৩ (US: ২২তম) |
• সিএসএ | ২৬,৫৯,৯৩৭ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ২৪তম) |
• জিএমপি | $১৩১.৩ billion (২৩তম) |
বিশেষণ | পিট্সবার্গার, ইনজার |
সময় অঞ্চল | পূর্বাঞ্চলীয় মান সময় (ইউটিসি−৫) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | পূর্বাঞ্চলীয় দিবাকালীন সময় (ইউটিসি−৪) |
জিপ কোড | মোট ৩৪টি জিপ কোড:
|
এফআইপিএস কোড | ৪২-৬১০০০ |
জিএনআইএস আইডি | ১২১৩৬৪৪ |
ওয়েবসাইট | pittsburghpa |
Pennsylvania Historical Marker | |
অন্তর্ভুক্তির তারিখ | ১৯৪৬[3] |
পিট্সবার্গ পেন্সিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমে আলেঘেনি, মনোঙ্গাহেলা ও ওহাইও নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত।[4] পিট্সবার্গ তিন শতাধিক ইস্পাতের সাথে জড়িত ব্যবসায়ের জন্য "ইস্পাত নগরী" এবং ৪৪৬ সেতুর জন্য "সেতুর নগরী" নামে পরিচিত। শহরটিতে ৩০টি গগনচুম্বী অট্টালিকা, দুটি বাঁকানো রেলপথ, একটি প্রাক-স্বাধীনতার পরিখাপ্রাচীর এবং নদীর সঙ্গমস্থলে একটি পয়েন্ট স্টেট পার্ক রয়েছে। শহরটি আটলান্টিক উপকূলের সাথে মিডওয়েস্টের সংযোগের জন্য গড়ে ওঠেছিল।
ইতিহাস
১৭৫৮ সালে জেনারেল জন ফোর্বস ব্রিটিশ রাষ্ট্রপরিচালক উইলিয়াম পিট, চাথামের প্রথম আর্লের সম্মানার্থে শহরটির নামকরণ করেন পিট্সবার্গ। ফোর্বস স্কট ছিলেন, তিনি সম্ভবত এর উচ্চারণ করতেন "পিট্সবরা" ("এডিনবরা"'র মত)।[5][6] ১৯৭৪ সালের ২২শে এপ্রিল পিট্সবার্গ বরা হিসেবে উত্তীর্ণ হয়।[7] ১৮৯১ থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত শহরটি "পিট্সবার্গ" ("Pittsburg") নামে পরিচিতি লাভ করে, এই সময়ে শহরের সরকার ও অন্যান্য স্থানীয় সংগঠন নামটির শেষে h বর্ণটি তখন ব্যবহৃত করত না।[5][8] একটি জনসংযোগের পর নামের শেষের h বর্ণটি সংরক্ষিত হয়।[5] দ্য পিট্সবার্গ প্রেস ১৯২১ সালের ১লা আগস্ট পর্যন্ত তাদের নামের ফলকে h বর্ণটি ব্যবহার করত না।[9]
ভূগোল
পিট্সবার্গের আয়তন ৫৮.৩ বর্গ মাইল (১৫১ কিমি২), তন্মধ্যে ৫৫.৬ বর্গ মাইল (১৪৪ কিমি২) ভূ-ভাগ এবং ২.৮ বর্গ মাইল (৭.৩ কিমি২) জলভাগ। ৮০তম মেরিডিয়ান ওয়েস্ট শহরটির মধ্য দিয়ে গিয়েছে।
শহরটি পশ্চিম আলেঘেনি প্লাতোর ইকো-অঞ্চলের আলেঘেনি প্লাতোর তীরে অবস্থিত[10] এবং ডাউনটাউন এলাকা (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল নামেও পরিচিত) আলেঘেনি নদী উত্তর-পূর্ব থেকে প্রবাহিত হয়ে এসেছে এবং মনোঙ্গাহেলা নদী দক্ষিণ-পূর্ব থেকে প্রবাহিত হয়ে এসে ওহাইও নদীতে পরিণত হয়েছে। এই সঙ্গমস্থল পয়েন্ট স্টেট পার্কে অবস্থিত, যা "দ্য পয়েন্ট" নামেও পরিচিত। শহরটি পূর্ব বর্ধিত হয়ে ওকল্যাণ্ড ও শ্যাডিসাইড শাখাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যেখানে পিট্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়, চাথাম বিশ্ববিদ্যালয়, কার্নেগি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার এবং আরও অনেক শিক্ষা, চিকিৎসা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শহরটির দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তর দিক মূলত আবাসিক এলাকা।
অর্থনীতি
পিট্সবার্গ শতাব্দীব্যাপী ইস্পাত ও ইলেকট্রনিক্স শিল্পের সাথে জড়িত ছিল। এই দুটি শিল্পের পতনের পর এলাকাটি উন্নত প্রযুক্তি, রোবটিক্স, স্বাস্থ্য সেবা, পারমাণবিক প্রকৌশল, পর্যটন, জৈবচিকিৎসা প্রযুক্তি, অর্থায়ন, শিক্ষা ও সেবা খাতে ধাবমান হয়েছে। অঞ্চলটির প্রযুক্তি খাতে বার্ষিক পেরোল ২০০৭ সালে $১০.৮ বিলিয়ন পেরিয়ে যায়[11] এবং ২০১০ সালে এখানে ১,৬০০ প্রযুক্তি কোম্পানি ছিল।[12] ২০১৪ সালের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের প্রতিবেদনে পিট্সবার্গকে আন্তঃপ্রজন্ম অর্থনৈতিক সচলতার দিক থেকে দ্বিতীয় সেরা মার্কিন শহর বলে উল্লেখ করেছে।[13] শহর জুড়ে শিল্প প্রযুক্তির দিকে ধাবমান হয়েছে এবং প্রাক্তন ফ্যাক্টরিগুলো আধুনিক অফিসে নতুনভাবে সজ্জিত করা হয়েছ। বেকারি স্কয়ার নামে পরিচিত ১৯১৮-১৯৯৮ নাবিস্কো ফ্যাক্টরিতে গুগল তাদের গবেষণা ও প্রযুক্তি অফিসগুলো স্থাপন করেছে।[14] বৃহৎ ডগ মিশ্রণ-সহ ফ্যাক্টরিটির কিছু মূল উপকরণ এই স্থানটির শৈল্পিক শিকড় হিসেবে রেখে দেওয়া হয়েছে।[15]
শিক্ষা
পিট্সবার্গে একাধিক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। সর্বাধিক প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হল কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়, পিট্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও দুকেস্ন বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া এই শহরে কার্লো বিশ্ববিদ্যালয়, চাথাম বিশ্ববিদ্যালয়, পয়েন্ট পার্ক বিশ্ববিদ্যালয়, কমিউনিটি কলেজ অব আলেঘেনি কাউন্টি, পিট্সবার্গ থিওলজিক্যাল সেমিনারি, রিফর্মড প্রেসবাইটেরিয়ান থিওলজিক্যাল সেমিনারি ও পিট্সবার্গ ইনস্টিটিউট অব মর্চারি সায়েন্স রয়েছে।
এই শহরের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ওকল্যাণ্ডে কার্লো, কার্নেগি মেলন ও পিট্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনগুলো একে অপরের কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। অ্যান্ড্রু কার্নেগি ও অ্যান্ড্রু মেলনের প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৩তম স্থান অধিকার করেছে।[16] এটি সারা বিশ্বে এর কম্পিউটার বিজ্ঞান শাখা, প্রকৌশল কলেজ, ব্যবসা শাখা, হাইঞ্জ কলেজ, চারুকলা কলেজ, লেখনী, সামাজিক বিজ্ঞান, তথ্য ব্যবস্থা, পরিসংখ্যান ও মনোবিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের জন্য সম্মানিত বিশ্ববিদ্যালয়।
তথ্যসূত্র
- "2019 U.S. Gazetteer Files"। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারি ব্যুরো। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- "Approved Markers"। পেন্সিলভেনিয়া হিস্ট্রিক্যাল অ্যান্ড মিউজিয়াম কমিশন। কমনওয়েলথ অব পেন্সিলভেনিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- "Pittsburgh"। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- "How to Spell Pittsburgh"। কার্নেগি লাইব্রেরি অব পিট্সবার্গ। অক্টোবর ১, ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- কনরাট, স্টেসি (১ অক্টোবর ২০১৩)। "How Pittsburgh Got Its "H" Back"। মেন্টাল ফ্লস। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- "Pittsburgh Facts"। পিট্সবার্গ পোস্ট-গেজেট। ১ জানুয়ারি ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- স্টুয়ার্ট, জর্জ আর. (১৯৬৭) [১৯৪৫]। Names on the Land: A Historical Account of Place-Naming in the United States (Sentry edition (3rd) সংস্করণ)। হৌটন মিফলিন। পৃষ্ঠা ৩৪২–৩৪৪।
- "THE PITTSBURGH PRESS."। ২১ আগস্ট ১৯২১। পৃষ্ঠা ১।
- "Level III Ecoregions of Pennsylvania"। U.S. Environmental Protection Agency। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- About Our Region Pittsburgh Technology Council ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত মার্চ ২৭, ২০১৪ তারিখে
- ববকফ, ড্যান (ডিসেম্বর ১৬, ২০১০)। "From Steel To Tech, Pittsburgh Transforms Itself"। এনপিআর। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- চেতি, রাজ; হেনড্রেন, নাথানিয়েল; ক্লাইন, প্যাট্রিক; সায়েজ, এমানুয়েল (জানুয়ারি ২০১৪)। "Where Is The Land of Opportunity? The Geography of Intergenerational Mobility in the United States" (পিডিএফ)। NBER Working Paper Series। National Bureau of Economic Research Working Paper (Working Paper 19843): ৬৭। ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- "Bakery Square at Eastside, Pittsburgh :: Commercial, Residential Hotel Development"। Walnut Capital and RCG Longview Fund। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- মুর, অ্যান্ড্রু (ডিসেম্বর ৮, ২০১০)। "It's a beautiful day in this neighborhood: growing in Pittsburgh"। দাপ্তরিক গুগল ব্লগ।
- "National Universities: Top Schools"। ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০।
বহিঃসংযোগ
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
- Pittsburgh Convention and Visitors Bureau – Tourism
- Historic Pittsburgh Maps Collection
- PittsburghTODAY Regional benchmarks and statistics
- Pittsburgh Daily Gazette, Google news archive. —PDFs of 5,794 issues, dating primarily 1834–1841 and 1850–1863.
- মার্কিন ভৌগোলিক জরিপ ভূগোল তথ্য ব্যবস্থার নাম: City of Pittsburgh