পিটার মার্টিন
পিটার জেমস মার্টিন (ইংরেজি: Peter Martin; জন্ম: ১৫ নভেম্বর, ১৯৬৮) ল্যাঙ্কাশায়ারের অ্যাক্রিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পিটার জেমস মার্টিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | অ্যাক্রিংটন, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড | ১৫ নভেম্বর ১৯৬৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ডিগার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৭১) | ৮ জুন ১৯৯৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২১ আগস্ট ১৯৯৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৩১) | ২৬ মে ১৯৯৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৫ অক্টোবর ১৯৯৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৯–২০০৪ | ল্যাঙ্কাশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৬ মার্চ ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ‘ডিগার’ ডাকনামে পরিচিত পিটার মার্টিন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৮৯ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত পিটার মার্টিনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের সবটুকু সময়ই ল্যাঙ্কাশায়ার দলে খেলেছেন। বেশ কয়েকবছর ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে কার্যকরী উদ্বোধনী বোলার হিসেবে খেলেছেন।
ব্যাটসম্যান হিসেবে নিচেরসারিতে খেলে কার্যকর ভূমিকা রাখতেন। তাসত্ত্বেও, ল্যাঙ্কাশায়ারের সদস্যরূপে দুইটি প্রথম-শ্রেণীর সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন। পরিসংখ্যানগতভাবে ১৯৯৬ সালে ব্যাটিং গড়ে লিস্ট এ ক্রিকেটে শীর্ষ স্থানে আরোহণ করেন। ১২ ইনিংসে মাত্র ৭৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, এগারোবারই অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করেন। ফলশ্রুতিতে, ঐ মৌসুমে ৭৮.০০ গড়ে রান তুলে শীর্ষে আরোহণ করেন। সর্বোচ্চ করেন অপরাজিত ৩৫। ২০০৪ সালে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আটটিমাত্র টেস্ট ও বিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন পিটার মার্টিন। ৮ জুন, ১৯৯৫ তারিখে লিডসে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২১ আগস্ট, ১৯৯৭ তারিখে ওভালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৯৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ইংল্যান্ড গমন করে। সফরকারীদের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজ খেলার জন্যে তাকে ইংল্যান্ড দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাৎক্ষণিক সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। তন্মধ্যে, ব্যাটিং তারকা ব্রায়ান লারাকে বোল্ড করেছিলেন তিনি। অভিষেক খেলাতেই ৪/৪৪ লাভ করেন।[1] ঐ সিরিজে বেশ সফল হয়েছিলেন তিনি। ফলশ্রুতিতে, ঐ বছরে একই দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলায় দলের সদস্যরূপে পিটার মার্টিনকে রাখা হয়। ঐ বছরের শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনার্থে ইংল্যান্ড দলের সদস্য করা হয়। ডারবানে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ৪/৬০ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান।
এছাড়াও, ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের পক্ষে সবগুলো খেলায় অংশ নেন। দূর্দান্ত বোলিং করলেও বেশ উইকেট লাভ করতে পারেননি। ১৯৯৬ সালের পর ইংল্যান্ডের পক্ষে তাকে অনিয়মিতভাবে অংশ নিতে দেখা যায়। ১৯৯৮ সালের আইসিসি নক আউট প্রতিযোগিতায় সর্বশেষ অংশগ্রহণ করেছিলেন পিটার মার্টিন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেও ঘরোয়া আসরের ক্রিকেটে কার্যকরী বোলার হিসেবেই রয়ে যান। ক্রমবর্ধমান হাঁটুর আঘাতের কারণে অবসর গ্রহণ করতে বাধ্য হন। ছবি আঁকা ও মদ্যপান তার প্রধান স্ফূর্তির বিষয়।
তথ্যসূত্র
- "Two legends make their entrance"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৮।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে পিটার মার্টিন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে পিটার মার্টিন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)