পিটার মারে-রাস্ত
পিটার মারে রাস্ত (জন্ম ১৯৪১) একজন বিটিশ রসায়নবিদ, যিনি বর্তমানে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। রসায়নে তার কাজের পাশাপাশি, তিনি উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার ও উন্মুক্ত উপাত্ত সমর্থনের জন্যে সুপরিচিত।
পিটার মারে-রাস্ত | |
---|---|
জন্ম | ১৯৪১ (বয়স ৮১–৮২) গিল্ডফোর্ড |
জাতীয়তা | মার্কিন |
মাতৃশিক্ষায়তন | বালিঅল কলেজ, অক্সফোর্ড |
পরিচিতির কারণ |
|
পুরস্কার | হারমান স্কোলনিক পদক |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র |
|
প্রতিষ্ঠানসমূহ |
|
সন্দর্ভসমূহ | A structural investigation of some compounds showing charge-transfer properties (১৯৬৯) |
ওয়েবসাইট | www-pmr |
শিক্ষা
পিটার বুশহ্যাম স্কুল এবং অক্সফোর্ডের বেলিওল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। পিএইচডি অর্জনের পর তিনি স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। সে সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির এবং অ্যান্ড্রু স্টুয়ার্ট আবাসিক হলের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। ১৯৮২ সালে তিনি গ্ল্যাক্সো গ্রুপ রিসার্চে দলে আণবিক গ্রাফিকসের প্রধান হিসেবে যোগ দিতে গ্রীনফোর্ডে চলে যান।[1] এখানে তিনি কম্পিউটেশনাল রসায়ন এবং পরবর্তীকালে প্রোটিনে গঠন নির্ধারণ নিয়ে কাজ করেন।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। এখানেই তিনি আণবিক বিজ্ঞানের ভার্চুয়াল স্কুল গড়ে তোলেন। বর্তমানে তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আণবিক ইনফরমেটিক্সের "রিডার এমিরেটাস" সম্মাননাপ্রাপ্ত এবং ক্যামব্রিজের চার্চিল কলেজের সিনিয়র গবেষক ফেলো।
গবেষণা
তার গবেষণা মূলত বিজ্ঞান গবেষণা প্রকাশিত তথ্যের স্বয়ংক্রিয় বিশ্লেষনধর্মী এবং ভার্চুয়াল কমিউনিটি তৈরি করা নিয়ে আবর্তিত। উদাহরণস্বরূপ গ্লোবালয়েড নেটওয়ার্ক একাডেমির ভার্চুয়াল স্কুল অব নেচারাল সায়েন্সেস এবং সেম্যান্টিক ওয়েব উল্লেখ করা যায়। মার্কআপ ভাষার উন্নয়নে তিনি তার সহকর্মী হেনরি রেপা একসাথে কাজ করেছেন। বিশেষ করে রাসায়নিক মার্কআপ ভাষায় তাদের অবদান অস্বীকার্য।[2] তিনি উন্মুক্ত তথ্যের প্রচারে কাজ করে যাচ্ছেন এবং ওপেন জ্ঞান আন্তর্জাতিকের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য। তিনি উন্মুক্ত বৈজ্ঞানিক উপাত্তের নিয়মাবলী বিষয়ে রচিত প্যান্টন প্রিন্সিপালের একজন সহলেখক।[3] ২০০৫ সালে আরো কিছু রসায়নবিদদের সাথে মিলে তিনি ব্লু ওবেলিস্ক গড়ে তোলেন।[4][5][6]
কর্ম
মারে রাস্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণা বিনামূল্যে সহজলোভ্য করে তোলার কাজে নিয়োজিত থাকায় অধিক পরিচিত। তিনি এলসেভিয়ারের মতো বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা সংস্থার বৈজ্ঞানিক প্রকাশনার সূক্ষ্ম নিয়ম নিয়ে কঠোরভাবে সমালোচনা করেন। এই নিয়মের অধীনে, কোন নিবন্ধ লেখক এলসেভিয়ারকে নিবন্ধ বিনামূল্যে সকলের জন্য প্রকাশে অর্থ দিলে এলসেভিয়ার সেই লেখা পুনরায় প্রকাশে বাধা দিতো। [7] এছাড়াও পিটার মারে রাস্তে প্রিডেটরি বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা নিয়েও বিভিন্ন সময় বক্তব্য রেখেছেন।[8][9]
তথ্যসূত্র
- Murray-Rust, P.; Glusker, J. P. (১৯৮৪)। "Directional hydrogen bonding to sp2- and sp3-hybridized oxygen atoms and its relevance to ligand-macromolecule interactions": 1018–1025। ডিওআই:10.1021/ja00316a034।
- Murray-Rust, P.; Rzepa, H. S. (১৯৯৯)। "Chemical Markup, XML, and the Worldwide Web. 1. Basic Principles": 928–942। ডিওআই:10.1021/ci990052b।
- http://pantonprinciples.org/ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ জুন ২০১৭ তারিখে Panton Principles for Open data in science
- Guha, R.; Howard, M. T. (২০০৬)। "The Blue Obelisk – Interoperability in Chemical Informatics": 991–998। ডিওআই:10.1021/ci050400b। পিএমআইডি 16711717।
- O'Boyle, N. M.; Guha, R. (২০১১)। "Open Data, Open Source and Open Standards in chemistry: The Blue Obelisk five years on": 37। ডিওআই:10.1186/1758-2946-3-37। পিএমআইডি 21999342। পিএমসি 3205042 ।
- The Blue Obelisk, CDK News, 2005, 2, 43–46
- Paul Jump, Elsevier: bumps on road to open access, Times Higher Education, 2014, http://www.timeshighereducation.co.uk/news/elsevier-bumps-on-road-to-open-access/2012238.article
- "Beall's criticism of MDPI lacks evidence and is irresponsible"। cam.ac.uk।
- "MDPI and Beall – further comments from a "brainwashed Brit""। cam.ac.uk।