পিটার কার্লস্টেইন

পিটার রুডল্ফ কার্লস্টেইন (ইংরেজি: Peter Carlstein; জন্ম: ২৮ অক্টোবর, ১৯৩৮) ট্রান্সভালের ক্লার্কসডর্প এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকের শেষদিক থেকে শুরু করে ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

পিটার কার্লস্টেইন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামপিটার রুডল্ফ কার্লস্টেইন
জন্ম (1938-10-28) ২৮ অক্টোবর ১৯৩৮
ক্লার্কসডর্প, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগ স্পিন
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৯৮)
২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট২৪ জানুয়ারি ১৯৬৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৫৪ - ১৯৫৮অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট
১৯৫৮ - ১৯৭২ট্রান্সভাল
১৯৬৪ - ১৯৬৭নাটাল
১৯৬৭ - ১৯৮০রোডেশিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৪৮ ১৪
রানের সংখ্যা ১৯০ ৭,৫৫৪ ৩৬৯
ব্যাটিং গড় ১৪.৬১ ৩১.৬০ ৩৬.৯০
১০০/৫০ ৯/৪৬ ১/০
সর্বোচ্চ রান ৪২ ২২৯ ১৬৭*
বল করেছে ৭৮৮
উইকেট
বোলিং গড় ৫৩.৩৩
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/৩৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/– ৮২/– ০/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ আগস্ট ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে রোডেশিয়া, নাটাল, অরেঞ্জ ফ্রি স্টে ও ট্রান্সভাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, লেগ স্পিন বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন পিটার কার্লস্টেইন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

১৯৫৪-৫৫ মৌসুম থেকে ১৯৭৯-৮০ মৌসুম পর্যন্ত পিটার কার্লস্টেইনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৬ বছর বয়সে পিটার কার্লস্টেইনের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে ব্লুমফন্তেইনে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের সদস্যরূপে নাটালের মুখোমুখি হন তিনি। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৪ রান সংগ্রহ করেন। এ পর্যায়ে দলীয় অধিনায়ক স্টিফেন হ্যানসনের সাথে সপ্তম উইকেট জুটিতে ১৬১ রান যুক্ত করেছিলেন।[1]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আটটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন পিটার কার্লস্টেইন। ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৮ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৪ জানুয়ারি, ১৯৬৪ তারিখে অ্যাডিলেডে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেকের তিন বছর পর যুবক অবস্থায় ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে পোর্ট এলিজাবেথে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম টেস্টে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। প্রথম ইনিংসে আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩২ রান সংগ্রহ করেছিলেন।[2]

ইংল্যান্ড গমন

১৯৬০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২৩টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ২৯.৬৯ গড়ে ৯৮০ রান তুলেন। হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন ১৫১ রান।[3] পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের প্রত্যেক টেস্টেই তার অংশগ্রহণ ছিল। কিন্তু, মাত্র ১১৯ রান তুলতে সক্ষম হন। ওভালে সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪২ রান তুলেন।[4]

১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। সিরিজের প্রথম ও চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। তন্মধ্যে, অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত চতুর্থ টেস্টে ৩৭ রান তুলে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন।[5] ১৯৭৯-৮০ মৌসুম পর্যন্ত পিটার কার্লস্টেইন প্রথম-শ্রেণীর খেলা চালিয়ে যান। এ পর্যায়ে তার বয়স ছিল ৪১। প্রথম খেলায় অংশ নেয়ার পর ২৫ মৌসুম অতিবাহিত করেন। গটেংয়ের পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন ২২৯ রান। ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাভেলিয়ার্সের বিপক্ষে এ সংগ্রহটি দাঁড় করান। এ মৌসুমেই তিনি তার স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেছিলেন। আরও দুইটি সেঞ্চুরিসহ ৭১.০০ গড়ে ৮৫২ রান তুলেন। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে বর্ষসেরা রোডেশীয় খেলোয়াড়ের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন।

অবসর

প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন শেষ করার পর ১৯৮০-এর দশকের সূচনালগ্নে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থে চলে যান। সেখানে তিনি প্রথমে মিডল্যান্ড-গিল্ডফোর্ড ক্লাবের খেলোয়াড় ও পরবর্তীতে কোচ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ওয়ালি গ্রাউটের কাছ থেকে জানা যায় যে, ইউরোপীয় রাজকীয় পরিবারের সাথে তার রক্তের সম্পর্ক রয়েছে।[6]

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন তিনি। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। সেখানে অবস্থানকালে ১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারির শেষদিকে সংবাদ পান যে, স্ত্রী ও তিন সন্তান মোটর দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি মুষড়ে পড়েন ও দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রত্যাবর্তন করেন।[7]

তথ্যসূত্র

  1. "Orange Free State v Natal 1954-55"অর্থের বিনিময়ে সদস্যতা প্রয়োজন। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৮
  2. "South Africa v Australia, Port Elizabeth 1957-58"অর্থের বিনিময়ে সদস্যতা প্রয়োজন। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৮
  3. Wisden 1961, pp. 269, 285.
  4. Wisden 1961, pp. 302-3.
  5. Wisden 1965, pp. 836-37.
  6. Wally Grout, My Country's Keeper, Pelham, London, 1965, p. 110.
  7. Trevor Goddard, Caught in the Deep, Vision Media, East London, 1988, p. 18.

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.