পাহাড়ি তরুণাস্থি কাছিম
পাহাড়ি তরুণাস্থি কাছিম (বৈজ্ঞানিক নাম: Amyda cartilaginea) Trionychidae (ট্রায়োনিকিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Amyda (অ্যামিডা) গণের অন্তর্গত এক প্রজাতির নরম খোলের মাঝারি আকারের কাছিম। এর ইংরেজি নাম Asiatic Softshell Turtle। ১৭৭০ খ্রিষ্টাব্দে পিটের বোদ্যারত এ প্রজাতির প্রথম বৈজ্ঞানিক নামকরণ করেন Testudo cartilaginea। স্বভাবে এটি নিশাচর।[3] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা ক্রমেই আশঙ্কাজনক হারে কমছে। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে সংকটাপন্ন বলে ঘোষণা করেছে।[1]
পাহাড়ি তরুণাস্থি কাছিম | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
উপপর্ব: | Vertebrata |
শ্রেণী: | Reptilia |
বর্গ: | Testudines |
পরিবার: | Trionychidae |
গণ: | Amyda |
প্রজাতি: | A. cartilaginea |
দ্বিপদী নাম | |
Amyda cartilaginea (Boddaert, 1770) | |
প্রতিশব্দ[2] | |
|
বিস্তৃতি
পাহাড়ি তরুণাস্থি কাছিম ভারতের মিজোরাম ও মায়ানমার থেকে শুরু করে থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া (সুমাত্রা, জাভা ও বোর্নিও), সিঙ্গাপুর ও ব্রুনাই পর্যন্ত বিস্তৃত।[1][3] ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার রেমাক্রি খালে প্রথমবারের মত এটির সন্ধান পাওয়া যায়।[4]
বিবরণ
বাংলাদেশের মিঠাপানিজাত ধুম কচ্ছপ এবং কালুয়া কচ্ছপের মতো দেখতে হলেও পাহাড়ি তরুণাস্থি কাছিম আকারে বেশ ছোট ও চ্যাপ্টা আকৃতির। এর দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৮৩ সেন্টিমিটার। খোলসের ওপরের অংশের সামনের প্রান্তে অবস্থিত এক সারি গোলাকার গুটিকা (টিউবারকল) এবং সরু ও লম্বা নাক দেখে সহজেই অন্য সব কাছিম প্রজাতি থেকে একে আলাদা করে চেনা সম্ভব। পাহাড়ি তরুণাস্থি কাছিমের ওপরের অংশ ধূসর থেকে জলপাই রং হয়ে থাকে; নিচের অংশ সাদা অথবা হালকা ধূসর হয়ে থাকে। কম বয়সী কাছিমের ওপরের অংশে অনেক কালো ও হলদে ফোটা এবং উঁচু উঁচু লম্বাটে দাগ থাকে। এই দাগ কালক্রমে ধীরে ধীরে খোলসের ওপরের ত্বকের সঙ্গে মিশে যায়।[4] পুরুষ কাছিমের খোলকের নিচের অংশ সাদা, স্ত্রী কাছিমের ধূসর।[3]
স্বভাব
পাহাড়ি তরুণাস্থি কাছিমের প্রধান খাদ্য পাহাড়ি নদী ও জলাশয়ের মাছ, ব্যাঙ, ব্যাঙাচি, চিংড়ি ও বিভিন্ন প্রকার জলজ পোকামাকড়।[3] এরা নদী বা জলাশয়ের ধারে গর্ত খুঁড়ে বছরে তিন-চারবার ডিম পাড়ে। ডিমের সংখ্যা ৫ থেকে ৩০টি। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে সময় লাগে ১৩০ দিনে থেকে১৪০ দিন পর্যন্ত অর্থাৎ ৪ থেকে ৫ মাস।[4]
তথ্যসূত্র
- "Amyda cartilaginea"। The IUCN Red List of Threatened Species। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-১০।
- Fritz, Uwe (২০০৭)। "Checklist of Chelonians of the World" (পিডিএফ)। Vertebrate Zoology। 57 (2): 303–305। ISSN 18640-5755। ১৭ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১২। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - Das, Indraneil. 2006. A Photographic Guide to Snakes and Other Reptiles of Borneo. Ralph Curtis Books. Sanibel Island, Florida. 144 pp. আইএসবিএন ০-৮৮৩৫৯-০৬১-১. (Amyda cartilaginea, p. 135.)
- মনিরুল খান (২৩-১২-২০১১)। "নতুন প্রজাতির কাছিম"। ঢাকা। দৈনিক প্রথম আলো। ২০১৯-১০-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)
বহিঃসংযোগ
- Asian Turtle Trade Working Group 2000. Amyda cartilaginea. 2006 IUCN Red List of Threatened Species. Downloaded on 9 July 2007.
- Amyda cartilaginea in the Reptile Database.