পালিকির

পালিকির পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত মাইক্রোনেশিয়া যুক্তরাজ্যের রাজধানী শহর। এখানে প্রায় ৪৬০০ লোক বাস করে।[2][3][4]

পালিকির
পোনপেই দ্বীপের মধ্যে পালিকিরের অবস্থান (উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে)
পোনপেই দ্বীপের মধ্যে পালিকিরের অবস্থান (উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে)
স্থানাঙ্ক: ৬°৫৫′২″ উত্তর ১৫৮°৯′৩২″ পূর্ব
দেশ (রাষ্ট্র) মাইক্রোনেশিয়া যুক্তরাজ্য
অঙ্গরাজ্য পোনপেই অঙ্গরাজ্য
পৌরসভাসোকেহস
জনসংখ্যা (2009)
  মোট৪,৬৪৫
সময় অঞ্চলUTC+11[1]
জলবায়ুAf

পালিকির শহরটি বৃহত্তর সোকেহস পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত, যার জনসংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। শহরটি পোনপেই দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত। পোনপেই দ্বীপে প্রায় ৩৩ হাজার এবং সমগ্র মাইক্রোনেশিয়া যুক্তরাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ লোক বাস করে। পোনপেই দ্বীপটি একটি সুউচ্চ আগ্নেয় দ্বীপ যাকে একটি প্রবালপ্রাচীর ঘিরে রেখেছে। তবে পালিকির নয়, পালিকিরের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত উপকূলীয় শহর কোলোনিয়া পোনপেই দ্বীপের বৃহত্তম শহর।[5]

ইতিহাস

পোনপেই প্রাচীন যুগ থেকেই বিভিন্ন গোত্রের অধীনে ছিল। পালিকির আদিতে একটি গুরুত্বহীন ও ক্ষুদ্র গ্রাম ছিল। পর্তুগিজ ও স্পেনীয়রা ১৫শ শতকে পোনপেই আবিষ্কার করে, কিন্তু তারা তখন এখানে বসতি স্থাপন করেনি। ১৮৮৬ সালে এসে স্পেনীয়রা এখানে একটি উপনিবেশ স্থাপন করে। এরপরে ১৮৯৮ সালে স্পেনীয়-মার্কিন যুদ্ধশেষে জার্মান দ্বীপটিকে স্পেনের কাছ থেকে কিনে নেয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় দ্বীপটি জাপানিদের দখলে চলে আসে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানিরা কোলোনিয়ার কাছে একটি বিমানবন্দর নির্মাণ করে।[6] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে দ্বীপটি মার্কিন সরকার কর্তৃক পরিচালিত হয়। ১৯৭৯ সালে মাইক্রোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা লাভ করে।[7] মাইক্রোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে পালিকির এলাকাটিকে একটি শহরে রূপান্তরিত করে এখানে পরিকল্পিতভাবে রাজধানী শহর বানানো হবে যাতে এখানে রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রশাসনগুলি স্থাপন করা যায়। ১৯৮৯ সালে পালিকিরকে রাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষণা করা হয়।[8] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এলাকাটিকে একটি আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে ১ কোটি ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার অর্থ দিয়ে সাহায্য করে ।[9] সমস্ত সরকারী কার্যালয়, কিছু আবাসিক ভবন, এবং মাইক্রোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির বাসভবন এখানে নির্মাণ করা হয়। তা সত্ত্বেও বর্তমানে এটি একটি গ্রামীণ এলাকাই রয়ে গেছে, যার জনসংখ্যা মাত্র ৪৬৪৫।[7][10]

ভূগোল

পালিকির পোনপেই দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমভাগে সাগর থেকে অভ্যন্তরে অবস্থিত। দ্বীপের অভ্যন্তরে আছে সুউচ্চ কিছু পর্বত আর উপকূলে আছে প্রবালপ্রাচীর।[11]

জলবায়ু

কোপ্পেন শ্রেণীকরণ অনুযায়ী পালিকিরের জলবায়ু ক্রান্তীয় অতিবৃষ্টি অরণ্য প্রকৃতির। শহরের তাপমাত্রায় তেমন বৈচিত্র্য নেই, প্রতিদিন গড়ে সারা বছর ধরেই তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। তবে এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়; গড়ে প্রতি বছর ৪৮০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।[11]

পালিকির, পোনপেই-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য
মাস জানু ফেব্রু মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টে অক্টো নভে ডিসে বছর
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) ৩০
(৮৬)
৩০
(৮৬)
৩১
(৮৭)
৩১
(৮৭)
৩১
(৮৭)
৩১
(৮৭)
৩১
(৮৮)
৩১
(৮৮)
৩১
(৮৮)
৩১
(৮৮)
৩১
(৮৮)
৩১
(৮৭)
৩১
(৮৭)
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) ২৪
(৭৫)
২৪
(৭৬)
২৪
(৭৫)
২৪
(৭৫)
২৪
(৭৫)
২৩
(৭৪)
২৩
(৭৩)
২৩
(৭৩)
২৩
(৭৩)
২৩
(৭৩)
২৩
(৭৩)
২৪
(৭৫)
২৩
(৭৪)
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) ৩০০
(১১.৮)
২৬৪
(১০.৪)
৩৬১
(১৪.২)
৪৪৭
(১৭.৬)
৪৯৩
(১৯.৪)
৪৩৪
(১৭.১)
৪৪৫
(১৭.৫)
৪২২
(১৬.৬)
৪১০
(১৬.১)
৪১১
(১৬.২)
৪০১
(১৫.৮)
৪১০
(১৬.১)
৪,৭৯৮
(১৮৮.৮)
উৎস: Weatherbase[12]

তথ্যসূত্র

  1. "Current local time in Palikir"। Time and Date। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৩
  2. "Micronesia, Federated States of" (পিডিএফ)। Federal Aviation Administration। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (pdf) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৩
  3. "Pohnpei: underwater reef"। Kids.britannica.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৩
  4. "National Government"। FSM Government। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৩
  5. "Palikir"। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৩
  6. "Pohnpei"। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৩
  7. "Micronesia, Federated States of"। Ducksters.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৩
  8. "Palikir, capital of Micronesia"
  9. "Weatherbase: Historical Weather for Palikir Federated States of Micronesia"। Weatherbase। ২০১৩। Retrieved on 7 May 2013

টেমপ্লেট:Federated States of Micronesia topics

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.