পালনি

পালানি (তামিলে பழனி) হল একটি শহর যা তামিল নাদুর দক্ষীণ ভারতীয় দিন্দিগুল জেলায় অবস্থিত। তামিল ভাষায় ‘পালানি’ উচ্চারণ করার সময় একটি বিশেষ ‘L’ ব্যবহার করা হয়। এটি দিন্দিগুল শহর থেকে ৬০ কিমি দূরে অবস্থিত। এটি একটি খুবই পরিচিত তীর্থযাত্রার স্থান যেখানে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ নিয়গী পালানি মুরুগার মন্দির দর্শন করে এবং মুরুগা দেবতার পূজা করে। এই মন্দির তামিল নাদুর যেকোন স্থান থেকে বেশি সংখ্যক লোক আকৃষ্ট করে।

পালনি মন্টেজ

ইতিহাস

তামিলের প্রাচীন লেখায় পালানির উল্লেখ রয়েছে। এক স্থানীয় সংস্কারে উল্লেখ রয়েছে যে এক বায়উন নামক উপজাতীয় সর্দার বনে এক ময়ূরের দেখা পায় যা ঠান্ডায় কাপতে থাকে এবং তাকে বাচানোর জন্য নিজের পড়নের বস্ত্র খুলে সেই ময়ূরের গায় দিয়ে দেয়। যদিও এই লোককাহিনীতে সত্যতার খোঁজ পাওয়া যায় না, এটি যে বিষয় তুলে ধরে তা হল - যে সে কালে এ স্থানটিতে এতই সংখ্যক লোক বাস করতো যে তাদের এক উপজাতীয় সর্দারও ছিল। ময়ূরেরো সংখ্যা বৃহৎ ছিল। ময়ূরদের সেকালের মানুষ অত্যন্ত স্রদ্ধা করতো এবং প্রাণিগুলোকে দেবতা শুব্রহ্মান্যানের সংবর্ধনা দিত। আর জানা যায় যে প্রাচীন পালানিরা প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে মোটা বস্ত্র ব্যবহার করতো।

১৮ম শতাদ্বী ১৮ম শতাদ্বীর সকল তথ্য আসে হায়দার আলী ও তার সন্তান, টিপু সুলতানের ইতিহাস থেকে, যা ১৭৮৯-১৭৯১ এর মিসউরি যুদ্ধে ইংরেজদের হাতে চলে যায়। সেখান থেকে জানা যায় যে সে সময় পালানি বালাসমুদ্রামের পালায়াক্কারদের দ্বারা শসীত ছিল।

জনসংখ্যাতাত্ত্বিক

২০০১ সালের ভারতীও আদমশুমারি অনুযায়ী, পালানির জনসংখ্যা হল ৬৭,১৭৫, যার মাঝে ৫১% পুরুষ এবং ৪৯% স্ত্রী। পালানির গড়ে শিক্ষার হাড় হল ৭৫% যা হল জাতীয় শিক্ষার হার থেকে অধীক। পুরুষদের শিক্ষার হাড় হল ৮১% এবং মহিলাদের হল ৬৯%। পালানিতে প্রায় ১০% জনসংখ্যার বয়স ৬ বছরের নিচে। উল্লেখযোগ্য উৎসবের মধ্যে রয়েছে “থাইপুসাম” এবং পাঙ্গুনি “উত্থিরাম”। সেথুরামান হল পালানির প্রথম স্বায়ত্তশাসক।

পালানির বৃহৎ অংশই হল পান্দারাম এবং পিল্লি গোত্তের। তাছাড়া অসংখ্যক নায়াকাররাও (নাইদু) রয়েছে।

পালানিতে তামিল ভাষা এবং মাদুরাই ভাষার মিশ্রণে তৈরি ভাষা বেশির ভাগ মানুষ ব্যবহার করে।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.