পশ্চিম ইন্দিরা টোল
পশ্চিম ইন্দিরা কল (উচ্চতা ৫,৭৬৪ মিটার (১৮,৯১১ ফু)) কারাকোরাম পর্বতশ্রেণীর সিয়াচেন মুজতাঘের ইন্দিরা শৈলশিরায় অবস্থিত টোল বা কল। এই স্থানটি ভারত, পাকিস্তান, ও চীন সীমান্তের সংযোগস্থলের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত।
পশ্চিম ইন্দিরা টোল | |
---|---|
উচ্চতা | ৫,৭৬৪ মিটার (১৮,৯১১ ফুট) |
অবস্থান | ভারত |
পর্বতশ্রেণী | কারাকোরাম |
পশ্চিম ইন্দিরা টোল পশ্চিম ইন্দিরা টোলের অবস্থান |
অবস্থান
পশ্চিম ইন্দিরা টোল উত্তরে উর্দোক হিমবাহ ও দক্ষিণে সিয়াচেন হিমবাহের মধ্যে অবস্থিত একটি অবতল স্থান বিশেষ। এই স্থানটি সিন্ধু নদ ও তারিম নদীর মধ্যে অবস্থিত এক জলবিভাজিকা। সিয়া কাংরি শৃঙ্গটি এখান থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।[1]
নামকরণ
এই টোলের ২.৪ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ইন্দিরা শৈলশিরায় ৫,৯৮৮ মিটার (১৯,৬৪৬ ফু)) উচ্চতায় অবস্থিত অপর একটি টোল অবস্থিত। ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন মহিলা পর্বতারোহী ফ্যানি বুলক ওয়ার্কম্যান এই টোলের নাম ইন্দিরা কল বা ইন্দিরা টোল রাখেন। [2] কর্ণেল নরেন্দ্র কুমার ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিম দিকে অবস্থিত প্রথমোক্ত টোলে পৌঁছন। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে হরিশ কাপাডিয়া ঐ টোলে পৌঁছন এবং তিনি এর নাম দেন মূল ইন্দিরা টোল বা পশ্চিম ইন্দিরা টোল এবং ফ্যানি বুলক ওয়ার্কম্যানের নামকরণ করা টোলের নতুন নাম দেন পূর্ব ইন্দিরা টোল।[3]
বিতর্কিত অঞ্চল
এই টোল ভারত, পাকিস্তান, ও চীন সীমান্তের সংযোগস্থলের কয়েক কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত যেখানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অবস্থিত প্রকৃত ভূমি অবস্থান রেখা চীন সীমান্তের সাথে মিলিত হয়েছে। [3] এই টোলের দক্ষিণ দিকের অঞ্চলগুলি ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই দাবী করলেও ভারতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর উত্তর দিকে ট্রান্স কারাকোরাম ট্র্যাক্টের অংশ যা ভারত দাবী করলেও ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই অঞ্চলটি পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে সীমান্ত চুক্তির ফলে চীনের নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে।
তথ্যসূত্র
- কাপাডিয়া, হরিশ (১৯৯৮)। "On the Siachen Glacier, Part 4"। Indian Mountaineering Federation। ২৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২৩।
- কাপাডিয়া, হরিশ (১৯৯৮)। "On the Siachen Glacier, Part 2"। Indian Mountaineering Federation। ২৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২৩।
- কাপাডিয়া, হরিশ (১৯৯৯)। Across Peaks & Passes in Ladakh, Zanskar & East Karakoram। New Delhi, India: Indus Publishing Company। পৃষ্ঠা ৯৪; ১৮৬–১৮৯; ১৯৫। আইএসবিএন 81-7387-100-0।