পল ম্যাকইউয়ান
পল আর্নেস্ট ম্যাকইউয়ান (ইংরেজি: Paul McEwan; জন্ম: ১৯ ডিসেম্বর, ১৯৫৩) ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের শুরুরদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পল আর্নেস্ট ম্যাকইউয়ান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড | ১৯ ডিসেম্বর ১৯৫৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ম্যাট ম্যাকইউয়ান (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৪৬) | ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৪ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৩৫) | ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৫ মার্চ ১৯৮৫ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৬/৭৭ - ১৯৯০/৯১ | ক্যান্টারবারি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৬ অক্টোবর ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন পল ম্যাকইউয়ান।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
ক্রাইস্টচার্চের ওল্ড কলেজিয়ান্সের পক্ষে খেলেন। ইয়ান ক্রম্ব তাকে ক্লাবের তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে উজ্জ্বীবিত করেন। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুম থেকে ১৯৯০-৯১ মৌসুম পর্যন্ত পল ম্যাকইউয়ানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে ক্যান্টারবারির পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন তিনি।[1] গ্রাহাম ডাউলিংয়ের সাবেক স্কুল সেন্ট অ্যান্ড্রুজ কলেজের ছাত্র ছিলেন ও ক্যান্টারবারির পক্ষে খেলে ডাউলিংয়ের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নিজের করে নেন।[1]
এক দশকের অধিক সময় ধরে ক্যান্টারবারির পক্ষে ক্রমাগত রান সংগ্রহ করে গেছেন। ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। ৫৯.৪১ গড়ে ৭১৩ রান তুলেন তিনি। এরপর, ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে ৪৪.৫৮ গড়ে ৭৫৮ সংগ্রহ করেন। ১৯৯০-৯১ মৌসুমে সর্বশেষ খেলেন ৪৩.৪১ গড়ে পাঁচ শতাধিক রান তুলেন। ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করে ১৫৫ রান সংগ্রহের পর ৩৫ বলে ৫০ রান তুলেন। এরফলে, শেল ট্রফিতে অকল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ খেলায় জয়ী হয়ে ক্যান্টারবারি দল শিরোপা জয় করে।[2] ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে জেফ ক্রো’র অধিনায়কত্বে ইয়ং নিউজিল্যান্ড দলের সদস্যরূপে জিম্বাবুয়ে গমন করেন। তাকে শেষ পর্যায়ে দলে রাখা হয়েছিল।[1] তিনি নিউজিল্যান্ড দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। চার খেলায় অংশ নিয়ে ৯১.০০ গড়ে ৩৬৪ রান সংগ্রহ করেন। অথচ, প্রথম খেলায় প্রথম বলেই শূন্য রানে বিদেয় নিয়েছিলেন তিনি।[3]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্ট ও সতেরোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন পল ম্যাকইউয়ান। ২৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮০ তারিখে অকল্যান্ডে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৮৪ তারিখে করাচীতে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
মারমুখী, অর্থোডক্স ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার পল ম্যাকইউয়ান খেলায় পূর্ণাঙ্গ সুযোগ ও সদ্ব্যবহার করতে চাইতেন।[1] আক্রমণাত্মক ধাঁচের খেলোয়াড় হলেও তিনি কখনো নিজেকে আন্তর্জাতিক আঙ্গিনায় মেলে ধরতে পারেননি।[4] নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বমোট মাত্র চারটি টেস্ট ও সতেরোটি একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নিয়েছেন। তবে, তিনি যদি বিদেশ সফরে আরও সুযোগ পেতে পারতেন, তাহলে হয়তোবা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটকে আরও সমৃদ্ধতর করতে পারতেন।[1] ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পল ম্যাকইউয়ানের টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ১৯৮০-৮১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে পাকিস্তান গমন করেন তিনি।
অবসর
১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে ক্যান্টারবারির পক্ষে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্যে মনোনীত হন। ঐ প্রদেশ থেকে এটিই প্রথম দেয়া হয়।[1] ১৯৯০-৯১ মৌসুমে পল ম্যাকইউয়ান সর্বশেষ খেলেন। এ পর্যায়ে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট নিউজিল্যান্ডের প্রথম-শ্রেণীর মাস্টার-ব্লাস্টার গড় প্রকাশ করে।[5] এ তালিকায় অন্তর্ভূক্তির জন্যে ৫০০ রানকে মানদণ্ড করা হয়। ঐ মৌসুমে কোন খেলোয়াড়ই সহস্র রান করতে পারেননি; তবে, কাছাকাছি ছিলেন কেবল পল ম্যাকইউয়ানই।[5] ৬১৮ বল মোকাবেল করে ৫২১ রান সংগ্রহ করেন। প্রতি ১০০০ বলে ৮৪৩ স্ট্রাইক রেটধারী হন।[5] ল্যাঙ্কাস্টার পার্কে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে শতরানের ইনিংসটি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল। মধ্যাহ্নভোজনের পনেরো মিনিট পর মাঠে নামেন। চা-বিরতিতে ৯৯ রানের অপরাজিত থেকে পরবর্তীতে ১০৮ বলে ১০৩ রান তুলেছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে তেমন সফলতা পাননি পল ম্যাকইউয়ান। তবে, ক্যান্টারবারির পক্ষে সফলতার সাথে খেলোয়াড়ী জীবন অতিক্রান্ত করেছিলেন তিনি। অবসর গ্রহণকালীন সর্বাধিক ৫,৯৪০ রান ও সর্বাধিক ১১টি শতরানের ইনিংস খেলেন।[4] এছাড়াও, ক্যান্টারবারির ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ১০০ খেলায় অংশ নেন। ১০৩ খেলা শেষে খেলোয়াড়ী জীবন শেষ করেন তিনি।[4] সবমিলিয়ে ১১৫ খেলায় অংশ নিয়ে ৩৪.৯৫ গড়ে ৬,৬৭৭ রান তুলেন। তন্মধ্যে, বারোটি শতক ও তেতাল্লিশটি অর্ধ-শতক ছিল তার। সর্বোচ্চ করেন ১৫৫ রান। এছাড়াও, ৮২টি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন তিনি। বল হাতে নিয়ে ৩৮.৭৯ গড়ে ২৯ উইকেট পান। সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৩/২৫। ৭৭টি একদিনের খেলায় অংশ নিয়ে একটি শতরান ও আটটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস সহযোগে ২৩.৮১ গড়ে ১,৬৪৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। সর্বোচ্চ রান তুলেন ১০৬ ও ৩০টি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ৩৬.৪৪ গড়ে ২৭ উইকেট পান। তন্মধ্যে, সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে ৩/৩১।
দ্য প্রেসকে পল ম্যাকইউয়ান বলেছিলেন যে, ‘আমি প্রত্যেক বলকেই মোকাবেলা করে রান সংগ্রহ করতে তৎপরতা দেখাই। ক্রিকেটকে বন্ধ্যাত্বের দিকে নিয়ে যেতে অযথা অনেক বলই নষ্ট হয়ে যায়। গারফিল্ড সোবার্স বলেছিলেন যে, আক্রমণের মাধ্যমেই রক্ষণাত্মক খেলা সম্ভবপর এবং আমি সর্বদাই খেলায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে সচেষ্ট হই। আমি খেলার অগ্রভাবে নিয়ে যেতে চাই।’[6]
রচনাসমগ্র
তথ্যসূত্র
- Appleby (2002), পৃ. 177.
- "Auckland v Canterbury 1983-84"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৭।
- "First-class Batting and Fielding for Young New Zealand"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৭।
- McConnell and Smith (1993), পৃ. 94.
- New Zealand Cricket News (1992), পৃ. 18.
- Appleby (2002), পৃ. 178.
গ্রন্থপঞ্জি
- Averages. New Zealand Cricket News, March 1992, p18.
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে পল ম্যাকইউয়ান (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে পল ম্যাকইউয়ান (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)