পরিমাপের একক

যে আদর্শ পরিমাণের সাথে তুলনা করে কোনো ভৌত রাশিকে পরিমাপ করা হয় তাকে, পরিমাপের একক বলা হয়। অর্থাৎ, কোনো ভৌতরাশির যে নির্দিষ্ট ও সুবিধাজনক পরিমাণকে প্রমান ধরে প্রদত্ত রাশিটি বা সমজাতীয় রাশিসমূহকে পরিমাপ করা হয়, তাকে ঐ রাশির একক বলে। [1] কোন ভৌত রাশি পরিমাপের জন্য দুইটি জিনিসের প্রয়োজন হয়। একটি হল রাশিটির মান এবং অন্যটি একক। পরিমাপের একক মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কারণ মানুষ প্রথমত এই এককগুলোর মাধ্যমেই পরিমাপ ব্যবস্থার সৃষ্টি করেছিল এবং এর প্রয়োজনেই সৃষ্টি হয়েছিল গণিতের, আর গণিতের মাধ্যমেই বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে।

লন্ডনের সেভেন সিস্টার্সে অবস্থিত সাবেক ওজন ও পরিমাপ অফিস।

ইতিহাস

বৈদ্যুতিক একক

বিদ্যুৎ ইলেকট্রিসিটি,ইলেকট্রনের প্রবাহকেই বিদ্যুৎ বলে। ইংরেজি কারেন্ট (Current) বাংলায় যার অর্থ স্রোত, আমরা বিদ্যুৎ বুঝাতে এই শব্দটাই ব্যবহার করে থাকি। যাকে ইংরেজি অক্ষর "I" দ্বারা প্রকাশ করা হয়। বিদ্যুতের একক এম্পিয়ার (Ampere), যাকে ইংরেজি অক্ষর "A" দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ভোল্টেজঃ বৈদ্যুতিক চাপকেই ভোল্টেজ বলে। যাকে ইংরেজি বড় হাতের অক্ষর "V" দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ভোল্টেজের একক হলো, ভোল্ট, একে ইংরেজি অক্ষর "v" দ্বারা প্রকাশ করা হয়। রেজিস্ট্যান্সঃ বিদ্যুৎ প্রবাহে বাঁধাই হলো রেজিস্ট্যান্স। যাকে ইংরেজি অক্ষর "R" দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর একক হলো ওহম, যাকে গ্রিক অক্ষর ওমেগা "♎" দ্বারা প্রকাশ করা হয়। জার্মানি বিখ্যাত বিজ্ঞানী জর্জ সাইমন ওহম, ১৮৮৬ সালে, কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্সের মধ্যে সম্পর্কের একটি সূত্র আবিষ্কার করেন,যাকে ওহমের সূত্র বলা হয়। সূত্রঃ I=V/R V=IxR R=V/I

তথ্যসূত্র

  1. মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান বই(অধ্যায়-২; পৃষ্ঠা-১১)
  • বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.