পরিণীতা (১৯৫৩-এর চলচ্চিত্র)

ললিতা ও শেখর প্রতিবেশী। ললিতা অনাথিনী আর শেখর জমিদারের একমাত্র পুত্র। ললিতা শেখরের নিত্যদিনের কাজ করে দেয়। শেখর তাকে পড়াশুনায় উদ্ধুদ্ধ করে এবং মাঝে মাঝে তাকে বিভিন্ন বিষয়ের পাঠ দান করে। ললিতার চাচা গুরুচরণ দরিদ্র ব্রাহ্মণ। তিনি তার মেয়ের বিয়ের জন্য শেখরের বাবার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন, যা তাদের মধ্যে বিবাদের কারণ হয়ে দাড়ায়। বিবাদ আরও ঘনীভূত হয় যখন গিরিন সেই পাওনা পরিশোধ করতে চায়।

অপরদিকে, ললিতা ও শেখর কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করে। কিছুদিন পর ললিতার চাচা মারা যান। মৃত্যুর সময় গুরুচরণ গিরিনকে ললিতাকে বিয়ে করতে বলে এবং এই পরিবারের দায়িত্ব নিতে বলে। গিরিন ললিতাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে ললিতার তাকে তার বিয়ের কথা জানায়। গিরিন পরে ললিতার আরেক ছোট বোনকে বিয়ে করে। কিন্তু গিরিন টাকা পরিশোধ করায় রটে যায় ললিতাকে গিরিনের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ফলে শেখরের পরিবার থেকে তার বিয়ের তাড়া দেওয়া হয়। কিছুদিন পর ললিতা শেখরের বিয়ের আমন্ত্রণপত্র পেয়ে শোকাহত হয়। গিরিন তাকে কলকাতায় নিয়ে আসে। সেখানে শেখরের সামনে সকল সত্য তুলে ধরা হলে তার ভুল ভাঙ্গে।

• অশোক কুমার - শেখর রায়
• মিনা কুমারী - ললিতা
• মনোরমা
• অসিত বরণ - গিরিন বাবু
• নাজির হুসেন - গুরুচরণ বাবু
• বদ্রি প্রসাদ - নবীন রায়
• প্রতিমা দেবী - শেখরের পিসী
• রেখা মল্লিক
• শেলি ব্যানার্জি
• ভুপেন্দ্র কাপুর
• মঞ্জু
• শীতল

পরিণীতা চলচ্চিত্রের গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অরুণ মুখোপাধ্যায়। গানের কথা লিখেছেন ভরত ব্যস।[3]

ফিল্মফেয়ার পুরস্কার[4]

• বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ পরিচালক - বিমল রায়
• বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী - মিনা কুমারী

• ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে পরিণীতা (ইংরেজি)
• রটেন টম্যাটোসে পরিণীতা (ইংরেজি)