পরব্রহ্ম

পরব্রহ্ম (সংস্কৃত: परब्रह्म) বা নির্গুণ ব্রহ্ম, হিন্দু দর্শন অনুসারে "সর্বোচ্চ ব্রহ্ম", যা সমস্ত বর্ণনা ও ধারণার বাইরে। এটিকে নিরাকার হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা চিরকাল সবকিছুতে পরিবেষ্টিত, যা মহাবিশ্বের সর্বত্র বিরাজমান, এবং যা সবকিছুর বাইরে।[1]

পরব্রহ্ম সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা বিদ্যমান। অদ্বৈত বেদান্ত ঐতিহ্যে, পরব্রহ্ম নির্গুণ ব্রহ্মের সমার্থক, অর্থাৎ গুণবিহীন পরম। বিপরীতভাবে, দ্বৈত বেদান্ত ও বিশিষ্টাদ্বৈত বেদান্ত ঐতিহ্যে পরব্রহ্মকে সগুণ ব্রহ্ম হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, অর্থাৎ, গুণাবলী সহ পরম। বৈষ্ণবধর্ম, শৈবধর্ম ও শাক্তধর্ম, যথাক্রমে বিষ্ণু, শিব এবং শক্তিকে পরব্রহ্ম হিসাবে বিবেচনা করে।[2] গাণপত্য সম্প্রদায় গণপতিকে এবং কার্তিকেয় সম্প্রদায় কার্তিককে পরব্রহ্ম হিসেবে বিবেচনা করে।

"পরা" সংস্কৃত শব্দ যার অর্থ "সর্বতকৃষ্ট" অথবা "সর্বোচ্চ ব অখণ্ড"।[3] হিন্দুধর্মে, ব্রহ্ম পরমকে বোঝায়, যা মহাবিশ্বের চূড়ান্ত বাস্তবতা।[4][5] হিন্দু দর্শনে, এটি বিদ্যমান সবকিছুর উপাদান, দক্ষ, আনুষ্ঠানিক ও চূড়ান্ত কারণ।[5][6] ব্রহ্ম- এর মূল ধারণা বেদ ও মুখ্য উপনিষদসমূহে পাওয়া যায়।[7] অদ্বৈত বেদান্ত সাহিত্যেও ব্রহ্ম ব্যাপকভাবে আলোচিত।[8]

অদ্বৈত বেদান্ত

অদ্বৈত বেদান্তে, পরব্রহ্মকে নির্গুণ ব্রহ্ম হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।[9][10][11] এটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্রহ্মের সাথে অভিন্ন হিসাবে সম্পূর্ণ জ্ঞানের একটি অবস্থা, মানসিক-আধ্যাত্মিক জ্ঞান (জ্ঞান যোগ)।[12] এটি সগুণ ব্রহ্মের সাথে বৈপরীত্য করে যা প্রেমময় সচেতনতার একটি অবস্থা (ভক্তি যোগ)।[12] অদ্বৈত বেদান্ত দ্বৈতবাদীভাবে মনে করেন যে ব্রহ্ম ঐশ্বরিক, ঈশ্বর ব্রহ্ম, এবং এটি আত্মার (নিজের আত্মা, অন্তর্নিহিত আত্মা) এবং নির্গুণ (গুণহীন), অসীম, প্রেম, সত্য, জ্ঞান, "সত্তা-চেতনা-আনন্দ" এর অনুরূপ।[13]

এলিয়ট ডয়েশের মতে, নির্গুণ ব্রহ্ম "সত্তার অবস্থা",[14] যেখানে নিজের আত্মা ও ব্রহ্মের মধ্যে দ্বৈতবাদী সমস্ত পার্থক্য মুছে ফেলা হয় এবং পরাস্ত হয়।[12] বিপরীতে, সগুণ ব্রহ্ম, যেখানে নিজের আত্মা ও ব্রহ্মের মধ্যে দ্বৈততা গ্রহণ করার পরে পার্থক্যগুলি মিলিত হয়।[12]

অদ্বৈত অ-দ্বৈত অভিজ্ঞতার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে, [12] যেখানে বিষয়গত অভিজ্ঞতাও জ্ঞানের "বস্তু" ও অভূতপূর্ব বাস্তবতা হয়ে ওঠে। পরম সত্য বিষয় ও বস্তু উভয়ই, তাই কোন গুণগত পার্থক্য নেই:

পরম সত্যকে জানে এমন বিদ্যাশাস্ত্রবিদরা এই অদ্বৈত সত্তাকে ব্রহ্ম, পরমাত্মা বা ভগবান বলেন। "(ভাগবত পুরাণ ১.২.১১)[15][টীকা 1]

যে ব্যক্তি পরব্রহ্মকে উপলব্ধি করে সে পরম সৌভাগ্য লাভ করে। সেই পরব্রহ্ম চিরন্তন সত্য (সত্যম), সর্বজ্ঞ (জ্ঞানম), অসীম (অনন্তম)।[টীকা 2]

উপনিষদে বলা হয়েছে যে, পরব্রহ্ম চিরন্তন, চৈতন্যময় ও সুখী সত-চিত-আনন্দ। এই সত্যের উপলব্ধি এই সত্যের সমান হওয়া।

পরম একজনই । যে পরিতোষের আধার ও পরমানন্দকে উপলব্ধি করে, সে চিরকাল আনন্দিত হয়। (তৈত্তিরীয় উপনিষদ ২.৭.১-২)[টীকা 3]

প্রকৃতপক্ষে পরমকে জানো, সুখী হও। (বৃহদারণ্যকোপনিষদ্‌ ২.৯.২৮)

বৈষ্ণব ধর্ম

বৈষ্ণব ধর্মে, বিষ্ণুকে পরব্রহ্ম, আদিনারায়ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বিষ্ণু তাঁর বিশ্বরূপে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হন। তাঁর আবাসস্থলকে বৈকুণ্ঠ বলা হয় এবং সেখানকার নাম পরা বাসুদেব।

শৈবধর্ম

শৈব ধর্মে, শিব হলেন পরব্রহ্ম। পরাশিব, ভগবান শিবের পরম রূপ, পরা ব্রহ্ম হিসেবে বিবেচিত। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, পরাশিব হল সমস্ত আত্মা ও দেবতাদের একক অবতার। তাকে একমাত্র আদিপুরুষ বা মহাদেব হিসাবেও চিত্রিত করা হয়েছে।[16]

কাশ্মীর শৈবধর্ম

কাশ্মীরের শৈবধর্মে, স্বচ্ছন্দ ভৈরবকে শিবের সর্বোচ্চ রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কাশ্মীরের শৈবধর্ম স্বচ্ছন্দ ভৈরবকে পরব্রহ্ম মনে করে। কাশ্মীর শৈবধর্ম তুরিয়া, বা চেতনার চতুর্থ অবস্থা, ব্রহ্মের রাজ্য হিসাবে ধারণ করে। এটা না জাগ্রত হওয়া, না স্বপ্ন দেখা, না গভীর ঘুম। এটি এই তিনটি রাজ্যের যে কোন একটি, অর্থাৎ ঘুম থেকে ওঠার মধ্যে, স্বপ্ন দেখার এবং গভীর ঘুমের মধ্যে এবং গভীর ঘুম ও জাগ্রত হওয়ার মধ্যে সংযোগস্থলে বিদ্যমান।[17] কাশ্মীরের শৈবধর্মে তুরিয়তিতা নামে চেতনার পঞ্চম অবস্থা বিদ্যমান -তুরিয়ার ওপারে এমন রাজ্য যা পরব্রহ্মের প্রতিনিধিত্ব করে। তুরিয়তিতা, যাকে শূন্য বা শূন্যও বলা হয়, সেই অবস্থা যেখানে কেউ মুক্তি লাভ করে অন্যথায় জীবনমুক্তি বা মোক্ষ নামে পরিচিত।[18][19]

শাক্তধর্ম

শাক্তধর্ম মতে, আদি পরাশক্তি, ব্রহ্মের পরব্রহ্ম বা শক্তি, চূড়ান্ত বাস্তবতা, অবিচ্ছেদ্য হিসাবে বিবেচিত হয়। ঋগ্বেদের দেবীসূক্ত এবং শ্রীসূক্ত মতে তিনি সকল সৃষ্টির গর্ভ। এইভাবে মহাকালী হল ব্রহ্মময়ী, যার অর্থ "সে যার ব্রহ্ম"। ত্রিপুরা সুন্দরী আদি পরাশক্তির পরম রূপ। তাঁর চিরস্থায়ী আবাসের নাম মণদ্বীপ।[20]

শিখধর্ম

শিখধর্মে পরব্রহ্মকে "নির্গুণ" বলা হয়, এটি শিখধর্মে সর্বোচ্চ বাস্তবতা হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি "অকাল পুরুষ" (অমর সত্তা) নামেও পরিচিত এবং "ওয়াহেগুরু" মন্ত্র দ্বারাও পরিচিত।[21]

আরও দেখুন

টীকা

vadanti tat tattva-vidas tattvam, yaj jnanam advayam brahmeti paramatmeti, bhagavan iti sabdyate
brahma-vid apnoti param, tad eshabhyukta, satyam jnanam anantam brahma
raso vai sa, rasam hy evayam labdhvanandi bhavati

তথ্যসূত্র

Pratapaditya Pal; Stephen P. Huyler; John E. Cort; ও অন্যান্য (২০১৬)। Puja and Piety: Hindu, Jain, and Buddhist Art from the Indian Subcontinent। University of California Press। পৃষ্ঠা 55–56। আইএসবিএন 978-0-520-28847-8।
White 1970, পৃ. 156।
Monier Monier-Williams, A Sanskrit-English Dictionary: Etymologically and Philologically Arranged with Special Reference to Cognate Indo-European languages, Oxford University Press, Article on Para
James Lochtefeld, Brahman, The Illustrated Encyclopedia of Hinduism, Vol. 1: A–M, Rosen Publishing. আইএসবিএন ৯৭৮-০৮২৩৯৩১৭৯৮, পৃষ্ঠা ১২২
PT Raju (2006), Idealistic Thought of India, Routledge, আইএসবিএন ৯৭৮-১৪০৬৭৩২৬২৭, পৃষ্ঠা ৪২৬ এবং উপসংহার অধ্যায় অংশ ১২
See:
[a] For dualism school of Hinduism, see: Francis X. Clooney (2010), Hindu God, Christian God: How Reason Helps Break Down the Boundaries between Religions, Oxford University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০১৯৯৭৩৮৭২৪, পৃষ্ঠা ৫১-৫৮, ১১১-১১৫;
[b] For monist school of Hinduism, see: B Martinez-Bedard (2006), Types of Causes in Aristotle and Sankara, Thesis - Department of Religious Studies (Advisors: Kathryn McClymond and Sandra Dwyer), Georgia State University, পৃষ্ঠা ১৮-৩৫
Stephen Philips (1998), Routledge Encyclopedia of Philosophy: Brahman to Derrida (Editor; Edward Craig), Routledge, আইএসবিএন ৯৭৮-০৪১৫১৮৭০৭৭, পৃষ্ঠা ১-৪
Michael Comans (2002), The Method of Early Advaita Vedānta, Motilal Banarsidass, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১২০৮১৭২২৭, পৃষ্ঠা ১২৯-১৩০, ২১৬-২৩১
Sullivan 2001, পৃ. 148।
Fisher 2012, পৃ. 116।
Malkovsky 1997, পৃ. 541।
Deutsch 1973, পৃ. 13।
Deutsch 1973, পৃ. 9-14।
Deutsch 1973, পৃ. 12।
A.C. Bhaktivedanta Swami Prabhupāda। "Śrīmad Bhāgavatam 1.2.11"।
"Dancing with Śiva"। www.himalayanacademy.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
Turya
Jivanmukta Geeta by Swami Shivananda
Vivekachudamani
Klostermaier, Klaus K. (২০১০-০৩-১০)। Survey of Hinduism, A: Third Edition (ইংরেজি ভাষায়)। SUNY Press। আইএসবিএন 978-0-7914-8011-3।
Teece, Geoff (২০০৫)। Sikhism (ইংরেজি ভাষায়)। Black Rabbit Books। আইএসবিএন 978-1-58340-469-0।

উৎস

Deutsch, Eliot (১৯৭৩), Advaita Vedanta: A Philosophical Reconstruction, University of Hawaii Press
Fisher, Mary Pat (২০১২), Living Religions: A Brief Introduction
Malkovsky, B. (১৯৯৭), "The Personhood of Samkara's" Para Brahma"", The Journal of Religion, 77 (4): 541, জেস্টোর 1206747, ডিওআই:10.1086/490065
Sullivan, B.M. (২০০১), The A to Z of Hinduism, Rowman & Littlefield, আইএসবিএন 8170945216
White, C.S.J. (১৯৭০), "Krsna as Divine Child", History of Religions, 10 (2): 156, জেস্টোর 1061907, ডিওআই:10.1086/462625

বহিঃসংযোগ

"VEDA - Vedas and Vedic Knowledge Online - Vedic Encyclopedia"। www.veda.harekrsna.cz।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.

[16] vadanti tat tattva-vidas tattvam, yaj jnanam advayam brahmeti paramatmeti, bhagavan iti sabdyate

[17] brahma-vid apnoti param, tad eshabhyukta, satyam jnanam anantam brahma

[18] raso vai sa, rasam hy evayam labdhvanandi bhavati

[PalHuyler2016p55-1] Pratapaditya Pal; Stephen P. Huyler; John E. Cort; ও অন্যান্য (২০১৬)। Puja and Piety: Hindu, Jain, and Buddhist Art from the Indian Subcontinent। University of California Press। পৃষ্ঠা 55–56। আইএসবিএন 978-0-520-28847-8।

[FOOTNOTEWhite1970156-2] White 1970, পৃ. 156।

[3] Monier Monier-Williams, A Sanskrit-English Dictionary: Etymologically and Philologically Arranged with Special Reference to Cognate Indo-European languages, Oxford University Press, Article on Para

[james122-4] James Lochtefeld, Brahman, The Illustrated Encyclopedia of Hinduism, Vol. 1: A–M, Rosen Publishing. আইএসবিএন ৯৭৮-০৮২৩৯৩১৭৯৮, পৃষ্ঠা ১২২

[ptraju-5] PT Raju (2006), Idealistic Thought of India, Routledge, আইএসবিএন ৯৭৮-১৪০৬৭৩২৬২৭, পৃষ্ঠা ৪২৬ এবং উপসংহার অধ্যায় অংশ ১২

[fxclooney-6] See:
[a] For dualism school of Hinduism, see: Francis X. Clooney (2010), Hindu God, Christian God: How Reason Helps Break Down the Boundaries between Religions, Oxford University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০১৯৯৭৩৮৭২৪, পৃষ্ঠা ৫১-৫৮, ১১১-১১৫;
[b] For monist school of Hinduism, see: B Martinez-Bedard (2006), Types of Causes in Aristotle and Sankara, Thesis - Department of Religious Studies (Advisors: Kathryn McClymond and Sandra Dwyer), Georgia State University, পৃষ্ঠা ১৮-৩৫

[sphilips-7] Stephen Philips (1998), Routledge Encyclopedia of Philosophy: Brahman to Derrida (Editor; Edward Craig), Routledge, আইএসবিএন ৯৭৮-০৪১৫১৮৭০৭৭, পৃষ্ঠা ১-৪

[8] Michael Comans (2002), The Method of Early Advaita Vedānta, Motilal Banarsidass, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১২০৮১৭২২৭, পৃষ্ঠা ১২৯-১৩০, ২১৬-২৩১

[FOOTNOTESullivan2001148-9] Sullivan 2001, পৃ. 148।

[FOOTNOTEFisher2012116-10] Fisher 2012, পৃ. 116।

[FOOTNOTEMalkovsky1997541-11] Malkovsky 1997, পৃ. 541।

[FOOTNOTEDeutsch197313-12] Deutsch 1973, পৃ. 13।

[FOOTNOTEDeutsch19739-14-13] Deutsch 1973, পৃ. 9-14।

[FOOTNOTEDeutsch197312-14] Deutsch 1973, পৃ. 12।

[15] A.C. Bhaktivedanta Swami Prabhupāda। "Śrīmad Bhāgavatam 1.2.11"।

[19] "Dancing with Śiva"। www.himalayanacademy.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।

[20] Turya

[21] Jivanmukta Geeta by Swami Shivananda

[22] Vivekachudamani

[23] Klostermaier, Klaus K. (২০১০-০৩-১০)। Survey of Hinduism, A: Third Edition (ইংরেজি ভাষায়)। SUNY Press। আইএসবিএন 978-0-7914-8011-3।

[24] Teece, Geoff (২০০৫)। Sikhism (ইংরেজি ভাষায়)। Black Rabbit Books। আইএসবিএন 978-1-58340-469-0।

হিন্দুধর্ম
ধারাবাহিকের অংশ

হিন্দু ইতিহাস
উৎস ইতিহাস সিন্ধু সভ্যতা ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্ম শ্রমণ ভারতের আদিবাসী ধর্মসমূহ
প্রধান শাখাসম্প্রদায়সমূহ বৈষ্ণবধর্ম শৈবধর্ম শাক্তধর্ম স্মার্তবাদ
দেবদেবী ত্রিমূর্তি ব্রহ্মা বিষ্ণু শিব অন্যান্য প্রধান দেব / দেবী বৈদিক ইন্দ্র অগ্নি প্রজাপতি রুদ্র দেবী সরস্বতী ঊষা বরুণ বায়ু বেদ-উত্তর দুর্গা গণেশ হনুমান কালী কার্তিক কৃষ্ণ লক্ষ্মী পার্বতী রাধা রাম শক্তি সীতা স্বামীনারায়ণ
ধারণা বিশ্ববোধ হিন্দু সৃষ্টিতত্ত্ব পৌরাণিক কালপঞ্জি হিন্দু পুরাণ পরম সত্য ব্রহ্ম ওঁ পরব্রহ্ম ঈশ্বর ঈশ্বর ঈশ্বর ও লিঙ্গচেতনা জীবন বর্ণ ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য শূদ্র আশ্রম (জীবনের পর্যায়) ব্রহ্মচর্য গার্হস্থ্য বানপ্রস্থ সন্ন্যাস পুরুষার্থ ধর্ম অর্থ কাম মোক্ষ মন অন্তঃকরণ প্রমাণ গুণ অহংকার উপরতি তিতিক্ষা আনন্দ ক্ষমা শম দম ধ্যান মোক্ষ বিবেক বৈরাগ্য সমাধান শ্রদ্ধা ষড়রিপু মুক্তি আত্মা মায়া কর্ম সংসার নীতি নীতিশাস্ত্র যম নিয়ম অহিংসা অস্তেয় অপরিগ্রহ ব্রহ্মচর্য সত্য দম দয়া অক্রোধ আর্জব সন্তোষ তপস্যা স্বাধ্যায় শৌচ মিতাহার দান ধর্মের উৎস মোক্ষ ভক্তিযোগ জ্ঞানযোগ কর্মযোগ
ধর্মানুশীলন পূজা পূজা শ্রৌত মন্দির মূর্তি ভক্তি জপ ভজন যজ্ঞ হোম ব্রত প্রায়শ্চিত্ত তীর্থ তীর্থদান মঠ নৃত্যনাট্য ধ্যান ও দান তপস্যা ধ্যান দান যোগ সাধু যোগী আসন হঠযোগ জ্ঞানযোগ ভক্তিযোগ কর্মযোগ রাজযোগ কুণ্ডলিনী যোগ শিল্পকলা ভরতনট্যম কত্থক কথাকলি কুচিপুডি মণিপুরী মোহিনীয়ট্টম ওড়িশি সত্রিয় ভাগবত মেলা যক্ষগণ ডান্ডিয়া রাস কর্ণাটকী সংগীত পাণ্ডবলীলা সংস্কার গর্ভাধান পুংসবন সীমন্তোন্নয়ন জাতকর্ম নামকরণ নিষ্ক্রমণ অন্নপ্রাশন চূড়াকরণ কর্ণভেদ বিদ্যারম্ভ উপনয়ন কেশান্ত ঋতুশুদ্ধি সমাবর্তন বিবাহ অন্ত্যেষ্টি আশ্রম ধর্ম আশ্রম: ব্রহ্মচর্য গার্হস্থ্য বাণপ্রস্থ সন্ন্যাস উৎসব দীপাবলি দোলযাত্রা শিবরাত্রি নবরাত্রি দুর্গাপূজা রামলীলা বিজয়াদশমী-দশেরা রাখিপূর্ণিমা গণেশচতুর্থী সরস্বতী পূজা রামনবমী জন্মাষ্টমী ওনাম মকর সংক্রান্তি কুম্ভমেলা পোঙ্গল উগাডি বৈশাখী পয়লা বৈশাখ বিহু পুতান্ডু বিষু রথযাত্রা
দার্শনিক মতবাদ ষড়দর্শন সাংখ্য যোগ ন্যায় বৈশেষিক পূর্ব মীমাংসা বেদান্ত (উত্তর মীমাংসা) অদ্বৈত দ্বৈত বিশিষ্টাদ্বৈত অক্ষর-পুরুষোত্তম দর্শন অন্যান্য মতবাদ পাশুপত শৈব প্রত্যভিজ্ঞ চার্বাক
গুরু, সন্ত ও দার্শনিকগণ প্রাচীন অগস্ত্য অঙ্গিরস আরুণি অষ্টাবক্র অত্রি ভরদ্বাজ গৌতম জামদগ্নি জৈমিনী কণাদ কপিল কাশ্যপ পাণিনি পতঞ্জলি রৈক্ব সত্যকাম জাবালা বাল্মীকি বশিষ্ঠ বিশ্বামিত্র ব্যাস যাজ্ঞবল্ক্য মধ্যযুগীয় নায়নারগণ অলবরগণ আদি শংকর বাসব আক্কা মহাদেবী আল্লামা প্রভু সিদ্ধেশ্বর জ্ঞানেশ্বর চৈতন্য মহাপ্রভু গঙ্গেশ উপাধ্যায় গৌড়পাদ গোরক্ষনাথ জয়ন্ত ভট্ট কবীর কুমারিল ভট্ট মৎস্যেন্দ্রনাথ মহাবতার বাবাজি মধুসূদন সরস্বতী মধ্ব হরিদাস ঠাকুর নামদেব নিম্বার্ক প্রভাকর রঘুনাথ শিরোমণি রামানুজ শংকরদেব পুরন্দর দাস কনক দাস রামপ্রসাদ সেন জগন্নাথ দাস ব্যাসরায় শ্রীপদরায় রাঘবেন্দ্র স্বামী গোপাল দাস শ্যাম শাস্ত্রী বেদান্ত দেশিকা ত্যাগরাজা তুকারাম তুলসীদাস বাচস্পতি মিশ্র বল্লভ বিদ্যারণ্য আধুনিক স্বামীনারায়ণ অরবিন্দ ঘোষ চিন্ময়ানন্দ দয়ানন্দ সরস্বতী মহেশ যোগী জগ্গি বাসুদেব কৃষ্ণানন্দ সরস্বতী নারায়ণ গুরু রামকৃষ্ণ পরমহংস রমণ মহর্ষি সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণন শিবানন্দ সরস্বতী ইউ. জি. কৃষ্ণমূর্তি শিরডি সাঁই বাবা স্বামী বিবেকানন্দ নিগমানন্দ পরমহংস পরমহংস যোগানন্দ রামচন্দ্র দত্তাত্রেয় রাণাডে তিব্বতিবাবা ত্রৈলঙ্গ স্বামী
ধর্মগ্রন্থ শাস্ত্র বেদ ঋগ্বেদ সামবেদ যজুর্বেদ অথর্ববেদ বিভাগ সংহিতা ব্রাহ্মণ আরণ্যক উপনিষদ্‌ উপনিষদ্‌ ঋগ্বেদ: ঐতরেয় কৌষিতকী সামবেদ: ছান্দোগ্য কেন যজুর্বেদ: বৃহদারণ্যক ঈশ তৈত্তিরীয় কঠ শ্বেতাশ্বেতর মৈত্রী অথর্ববেদ: মুণ্ডক মাণ্ডুক্য প্রশ্ন বেদাঙ্গ শিক্ষা ছন্দ ব্যাকরণ নিরুক্ত কল্প জ্যোতিষ উপবেদ আয়ুর্বেদ ধনুর্বেদ গান্ধর্ববেদ স্থাপত্যবেদ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ ইতিহাস রামায়ণ মহাভারত ভগবদ্গীতা পুরাণ বিষ্ণুপুরাণ ভাগবত পুরাণ নারদেয় পুরাণ বামনপুরাণ মৎস্যপুরাণ গরুড়পুরাণ ব্রহ্মপুরাণ ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ ভবিষ্যপুরাণ পদ্মপুরাণ অগ্নিপুরাণ শিবপুরাণ লিঙ্গপুরাণ কূর্মপুরাণ স্কন্দপুরাণ বরাহপুরাণ মার্কণ্ডেয় পুরাণ শাস্ত্র ও সূত্র ধর্মশাস্ত্র অর্থশাস্ত্র শিল্পশাস্ত্র কামসূত্র ব্রহ্মসূত্র সাংখ্যসূত্র মীমাংসা সূত্র ন্যায়সূত্র বৈশেষিক সূত্র যোগসূত্র প্রমাণসূত্র চরক সংহিতা সুশ্রুত সংহিতা নাট্যশাস্ত্র পঞ্চতন্ত্র দিব্যপ্রবন্ধ তিরুমুরাই রামচরিতমানস কৃত্তিবাসী রামায়ণ যোগবাশিষ্ঠ স্বরযোগ পঞ্চদশী স্তোত্র সংহিতা সূত্র আগম (হিন্দুধর্ম) তন্ত্র অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত রাজযোগ বচনাম্রুত ধর্মগ্রন্থের বর্গীকরণ শ্রুতি স্মৃতি হিন্দু ধর্মগ্রন্থের কালরেখা
সমাজ বর্ণ ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য শূদ্র দলিত জাতি উৎপীড়ন জাতীয়তাবাদ হিন্দুত্ব
অন্যান্য বিষয় দেশ অনুযায়ী হিন্দুধর্ম বালিদ্বীপীয় হিন্দুধর্ম সমালোচনা পঞ্জিকা মূর্তিতত্ত্ব পুরাণ তীর্থস্থানসমূহ হিন্দুধর্ম ও জৈনধর্ম / ও বৌদ্ধধর্ম / ও শিখধর্ম / ও ইহুদি ধর্ম / ও খ্রিস্টধর্ম / ও ইসলাম
হিন্দুধর্ম শব্দকোষ হিন্দুধর্ম প্রবেশদ্বার