ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি (ইংরেজি: National Geographic Society) হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, ডি.সি.-তে অবস্থিত একটি অলাভজনক বৈজ্ঞানিক ও শিক্ষামূলক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যাঁর বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও শিক্ষামূলক বিষয়ে কাজ করে। এটি যে-সকল বিষয়ে কাজ করে তার মধ্যে আছে, ভূগোল, প্রত্নতত্ত্ব, এবং প্রকৃতি বিজ্ঞান। এছাড়া পরিবেশগত ও ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ আন্দোলন, মানব সভ্যতা ও সংস্কৃতির ওপর গবেষণা, ও বিশ্ব ইতিহাসের ওপরেও প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে থাকে। হলুদ রংয়ের মোটা পোর্ট্রেট ফ্রেম আকৃতির চতুর্ভুজটি হচ্ছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির লোগো। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির মাসিক পত্রিকার প্রচ্ছদের মার্জিনে এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের বাম পাশে এই লোগো দেখা যায়।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির লোগো
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির লোগো
সংক্ষেপেএনজিএস
নীতিবাক্যInspiring people to care about the planet (বিশ্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়ার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করা)[1]
গঠিতগার্ডিনার গ্রিন হুবার্ড, ২৭ জানুয়ারি ১৮৮৮ (1888-01-27)
অবস্থান
সদস্যপদ
৮৫ লক্ষ
প্রেসিডেন্ট
জন এম. ফাহে জুনিয়র
(১৯৯৮-বর্তমান)
চেয়ারম্যান
গিলবার্ট এম. গ্রোসভেনর
(১৯৮৭-বর্তমান)
প্রধান অঙ্গ
ট্রাস্টি বোর্ড
ওয়েবসাইটnationalgeographic.com

ইতিহাস

একদল সুশিক্ষিত, ধনী, ও ভ্রমণপিপাসু ব্যক্তির গঠিত একটি ক্লাব থেকেই ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির গোড়াপত্তন।[2] ১৮৮৮ সালের ১৩ জানুয়ারি, ৩৩ জন অভিযাত্রী ও বিজ্ঞানী ওয়াশিংটন, ডি.সি.’র লাফায়েত স্কোয়ারে অবস্থিত কসমস ক্লাবে একত্রিত হন। সেখানে তাঁরা ভৌগোলিক জ্ঞানের বৃদ্ধি ও বিস্তারের লক্ষ্যে একটি সামাজিক সংগঠন গঠনে একমত হন। পরবর্তীকালে দুই সপ্তাহ পরে, প্রয়োজনীয় গঠনতন্ত্র ও কর্মপরিকল্পনা তৈরির পর, ২৭ জানুয়ারি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গার্ডিনার গ্রিন হুবার্ডকে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তীকালে তাঁর মৃত্যুর পর, হুবার্ডের জামাতা আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল ১৮৯৭ সালে সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট হন। ১৮৯৯ সালে বেলের জামাতা গিলবার্ট হোভে গ্রোসভেনর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের সর্বপ্রথম পূর্ণকালীন সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীকালে তিনি ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত টানা ৫৫ বছর এই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। সেই সময় থেকেই গ্রোসভেনর পরিবার এই সংগঠনের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখে চলেছে।

তথ্যসূত্র

  1. "National Geographic Press Room: Fact Sheet"। National Geographic Society। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৮, ২০০৯ Also note that, as of August 28, 2009 (and likely before), the official website title is "National Geographic - Inspiring People to Care About the Planet".
  2. Site designed by Shannon Roberts (২০০৭-০৪-২৪)। "National Geographic CEO Says Nonprofit's Mission is Bringing the World to Readers"। Mccombs.utexas.edu। ২০১০-০৫-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-০৬

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
সহায়ক উৎস
সহায়ক তথ্যাদি
ছবি, মানচিত্র, ও অন্যান্য ফটোগ্রাফ
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.