নুনগোলা ঢিবি

নুনগোলা ঢিবি বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের হাসিলবাগ গ্রামে পীরপুকুর ঢিবি থেকে ২০০ মিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।[1]

নুনগোলা ঢিবি
প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা
দেশবাংলাদেশ
বিভাগখুলনা
জেলাঝিনাইদহ জেলা
উপজেলাকালীগঞ্জ উপজেলা
আয়তন
  মোট.৫২৯ বর্গকিমি (০.২০৪ বর্গমাইল)
মাত্রা
  দৈর্ঘ্য.০২৩ কিলোমিটার (০.০১৪ মাইল)
  প্রস্থ.০২৩ কিলোমিটার (০.০১৪ মাইল)

ইতিহাস

নুনগোলা মসজিদ

বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯৯৪ সালে এই স্থানে খনন কাজ পরিচালনা করে একটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের ধ্বংসাবশেষ পায়।[2] গম্বুজটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। চারপাশের দেয়ালগুলো টিকে আছে নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত। ধারণা করা হয়, এটি ছিল একটি বাদশাহ-কি-তখত বা রাজকীয় গ্যালারি,[1] যা পঞ্চদশ শতাব্দীতে নির্মিত।[3]

নামকরণ

ঢিবিটির পূর্ব দিকে নুনগোলা দিঘী নামে একটি বড় আয়তাকৃতির পুকুর রয়েছে। এই নুনগোলা দিঘীর জন্য ঢিবিটি নুনগোলা ঢিবি ও মসজিদটি নুনগোলা মসজিদ নামে পরিচিত।[1]

অবকাঠামো

নুনগোলা ঢিবিটি বর্গাকৃতির। প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য ২৩ মিটার।[4] প্রত্নতাত্ত্বিক খনন থেকে উন্মোচিত মসজিদটি বর্গাকৃতির। মসজিদটির প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য ভিতরের দিকে ৬.৮০ মিটার এবং বাইরের দিকে ৯.১৮ মিটার।[1] এটি বারোবাজারে আবিষ্কৃত মসজিদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। পশ্চিমে দিকে কেবলা দেয়ালে তিনটি অর্ধবৃত্তাকার মেহরাব রয়েছে।[5] মেহরাব তিনটি বিভিন্ন ফুল ও লতাপাতার নকশা দিয়ে সজ্জিত। মসজিদের বাইরের দিকে উত্তর-পশ্চিম কোণে একটি কক্ষ রয়েছে। সম্ভবত মসজিদ নির্মাণের সময় কক্ষটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কক্ষের পশ্চিম দেয়ালে ২.০৫ মিটার চওড়া একটি দরজা রয়েছে। দেয়ালে শামুকের চিহ্ন বিদ্যমান।[1]

চিত্রশালা

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. শফিকুল আলম। "বারোবাজার"বাংলাপিডিয়া। ২৬ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৬
  2. বিমল সাহা (২২ জুলাই ২০১৪)। "হযরত খান জাহান আলীর বিলুপ্ত নগরী বারোবাজার"দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৬
  3. আব্দুর রহমান মিল্টন (৩০ এপ্রিল ২০১৬)। "গড়ে উঠতে পারে পর্যটন কেন্দ্র : বিলুপ্ত নগরী বারোবাজারে প্রত্নতাত্ত্বিক মসজিদ"ভোরের কাগজ। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬
  4. "ঝিনাইদহ জেলার ঐতিহ্য"যশোর ইনফো। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬
  5. মুস্তাফিজ মামুন (ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫)। "প্রাচীন শহর মোহাম্মদাবাদ"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.