নিরুপমা দেবী
নিরুপমা দেবী (ইংরেজি: Nirupama Devi) (৭ মে, ১৮৮৩ - ৭ জানুয়ারী, ১৯৫১)[1] পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে জন্মগ্রহণকারী কথাসাহিত্য লেখিকা। তার সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল শ্রীমতী দেবী। নিরুপমা দেবীর পিতা নফর চন্দ্র ভট্ট, বিচার বিভাগীয় কর্মচারী ছিলেন। তিনি বাড়িতে শিক্ষিত হয়েছিলেন।
নিরুপমা দেবী | |
---|---|
জন্ম | নিরুপমা ভট্ট ৫ মে ১৮৮৩ বহরমপুর,মুর্শিদাবাদ,বৃটিশ ভারত |
মৃত্যু | ৭ জানুয়ারি ১৯৫১ ৬৭) | (বয়স
ছদ্মনাম | শ্রীমতী দেবী |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | ভুবনমোহনী স্বর্ণ পদক জগত্তারিণী স্বর্ণ পদক |
আত্মীয় | নফরচন্দ্র ভট্ট |
সাহিত্যকর্ম
নিরুপমার অকালবৈধব্যের পর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বিভূতিভূষণ ভট্ট ও কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় সাহিত্যসাধনায় ব্রতী হন। বিভূতিভূষণ ও শরৎচন্দ্র পরিচালিত হাতেলেখা পত্রিকায় তার সাহিত্যরচনার হাতেখডি। শরৎচন্দ্র তাঁকে গদ্যরচনায় ও অনুরূপা দেবী গল্প রচনায় অনুপ্রাণিত করেন। তার প্রথম উপন্যাস 'উচ্ছৃঙ্খল'। স্বদেশীযুগে তার রচিত বহু গান এবং কবিতা জনপ্রিয় হয়েছিল। প্রেম ও দাম্পত্য জীবনের অন্তর্দ্বন্দ্ব তার উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য। ১৯১৯-২০ খ্রিস্টাব্দে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘দিদি’ তার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে স্বীকৃত। অন্যান্য রচনার মধ্য রয়েছে:
- অন্নপূর্ণার মন্দির (১৯১৩)
- দিদি (১৯১৫) (শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলা হয়)[2]
- আলেয়া (১৯১৭)
- বিধিলিপি (১৯১৯)
- শ্যামলী (১৯১৯)
- বন্ধু (১৯২১)
- আমার ডায়েরি (১৯২৭)
- যুগান্তরের কথা (১৯৪০)
- অনুকর্ষ (১৯৪১)
- দেবত্র
- পরের ছেলে
নিরুপমা দেবীর একাধিক উপন্যাস চলচ্চিত্রায়িত ও মঞ্চে অভিনীত হয়েছে।[3]
পুরস্কার
নিরুপমা দেবী সাহিত্যে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৮ সালে ' ভুবনমোহিনী দাসী স্বর্ণপদক' এবং ১৯৪৩ সালে 'জগত্তারিণী স্বর্ণপদক' লাভ করেন।
তথ্যসূত্র
- Women Writing in India: The twentieth century। Feminist Press at CUNY। ১৯৯৩। পৃষ্ঠা 106। আইএসবিএন 9781558610293।
- Women Writing in India: 600 B.C. to the early twentieth century। Feminist Press at CUNY। ১৯৯১। পৃষ্ঠা 363। আইএসবিএন 9781558610279।
- সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ৩৬৩, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬