নিত্যশ্রী মহাদেবন

নিত্যশ্রী মহাদেবন (জন্ম ২৫ আগস্ট ১৯৭৩), যিনি এস নিত্যশ্রী হিসাবেও পরিচিত, একজন কর্ণাটকীয় সংগীতশিল্পী এবং নেপথ্য গায়ক। তিনি চলচ্চিত্রে ভারতীয় বহু ভাষায় গান গেয়েছেন। নিত্যশ্রী ভারতের সব বড় বড় স্থানে, অনুষ্ঠান করেছেন। তিনি ৫০০ টিরও বেশি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। তিনি তার নেপথ্য প্রথম গান " কান্নডু কানবাদেল্লাম " - এর জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। গানটি জিন্স নামক তামিল চলচ্চিত্রে এ আর রহমান দ্বারা রচিত [1]

নিত্যশ্রী মহাদেবন
প্রাথমিক তথ্য
জন্ম (1973-08-25) ২৫ আগস্ট ১৯৭৩
উদ্ভবতিরুবৈয়ারু, তামিলনাড়ু, ভারত
ধরনকর্নাটকি সংগীত – ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত এবং নেপথ্য সঙ্গীত
পেশাসংগীতশিল্পী
কার্যকাল১৯৮৭ – বর্তমান
লেবেলএইচএমভি, ইএমআই, আরপিজি, এভিএম অডিও, ইনেরকো, ভানি, আমুথাম সংগীত, চরসুর ডিজিটাল কর্মশালা, কর্নাটকি, রাজলক্ষ্মী অডিও ইত্যাদি
ওয়েবসাইটwww.nithyasreemahadevan.com

পরিবার

নিত্যশ্রী, ললিতা শিবকুমার এবং ঈশ্বরণ শিবকুমারের ঔরসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতামহী, দি কে পট্টম্মল,[2] এবং তাঁর পিতার কাকা, ডি কে জয়রামন,[3] ছিলেন বিশিষ্ট কর্ণাটকীয় কণ্ঠশিল্পী। এঁদের অম্বী দীক্ষিথর, পাপনাশম শিবন, কোটেশ্বর আইয়ার, টিএল ভেঙ্কটারামায়ার এবং আরো বিশিষ্ট শিষ্য রয়েছে। তাঁর মাতামহ ছিলেন মৃদঙ্গ গুরু পালঘাট মণি আইয়ার। [4]

নিত্যশ্রী প্রথমে তাঁর মা ললিতা শিবকুমারের কাছে সংগীত শিখেছিলেন। [3] তাঁর মায়ের মতো,[5] নিত্যশ্রীও ডি কে পট্টম্মলের শিষ্য ছিলেন [6] এবং তাঁর সঙ্গীতানুষ্ঠানের সহযোগী হতেন। তার বাবা, ঈশ্বরণ শিবকুমার একজন নিখুঁত মৃদঙ্গ বাদক এবং নিজের শ্বশুর পালঘাট মণি আয়ারের শিষ্য। ঈশ্বরণ, লাগাতার তার কন্যাকে সহায়তা করতেন এবং নিত্যশ্রী্র অনুষ্ঠানের সময় তার সাথে সঙ্গ দিতেন। [7] নিত্যশ্রী তাঁর ভাইঝি ও শিষ্য লাবণ্য সুন্দরারামনের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। [8][9]

নিত্যশ্রী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ভি মহাদেওয়ানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, যার মৃত্যু হয় ২০১২ সালে। [10] তনুজাশ্রী এবং তেজশ্রী, তাদের দুই কন্যা,[4][11] সংগীতানুষ্ঠানে মায়ের সাথে তারাও যোগ দেন,[12] এবং বিজয় টিভিতে একটি সংগীত প্রতিভা টিভি শো, এয়ারটেল সুপার সিঙ্গার জুনিয়রে অতিথি উপস্থিতির মাধ্যমে টেলিভিশনে প্রথম অনুষ্ঠান করেছিলেন।

সঙ্গীত জীবন

নিত্যশ্রী ১৪ বছর বয়সে জনসমক্ষে প্রথম সংগীত পরিবেশন করেছিলেন। [5] ১ ঘণ্টার অনুষ্ঠানটিতে, উপস্থিত বিশিষ্ট কর্ণাটকীয় সংগীতশিল্পীদের মধ্যে ছিলেন ডি কে পট্টমল, ডি কে জয়রামণ ও প্রধান অতিথি কে ভি নারায়ণস্বামী।

বিদেশে অনুষ্ঠান

নিত্যশ্রী মহাদেবন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, নিউজিল্যান্ড, তানজানিয়ায়, শ্রীলঙ্কা এবং বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন গন্তব্য স্থানে তার সংগীতানুষ্ঠান উপস্থাপন করেছেন। [7]

নেপথ্য গায়ন

বিশিষ্ট সংগীত প্রযোজক এ আর রহমানের তামিল চলচ্চিত্র জিন্সের একটি রেকর্ড করার জন্য আমন্ত্রিত হওয়ার পরে নেপথ্য সংগীতশিল্পী হিসাবে নিত্যশ্রী মহাদেবনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। তার নেপথ্য গায়ক হিসাবে প্রথম গান " কান্নডু কানবাদেল্লাম " ছবিটি মুক্তির পরে তাৎক্ষণিকভাবে হিট হয়ে ওঠে,[13] এবং ১৯৯৮ সালে সেরা মহিলা নেপথ্য গায়কের জন্য তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছিলেন ।

১৯৯৮ সালে তার তাৎক্ষণিক সাফল্যের পর, নিত্যশ্রী, এ আর রহমানের জন্য আরো গান একযোগে রেকর্ডিং করেন।, ১৯৯৯ সালের চলচ্চিত্র পাডায়াপ্পা -তে মিনসারা কান্না, ও একই বছরে সঙ্গম চলচ্চিত্রে "সোউকিয়াম্মা কান্নায়ে" এবং ২০০১ সালের চলচ্চিত্র পার্থলে পরবাসম -এ "মন্মথ মাসম"। [14]

তার অন্যান্য তামিল ছবির গানগুলির মধ্যে হল ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নিউ তে "কুম্বাকোনাম সন্ধ্যাইলে", ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সামুরাই -তে "অরু নাদি অরু পৌরনমি" , আনন্দ থান্ডাভাম থেকে "কানা কানগিরেন", ভিলেন থেকে "ওরে মানম" এবং ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আয়রথিল অরুভান চলচ্চিত্র থেকে "তাই তিন্ড্রা মান্নে" অন্তর্ভুক্ত। [14]

ক্রমিক নাম সংগীত পরিচালক চ্যানেল (গুলি)
চিঠি ধিনা সান টিভি
কৃষ্ণদাসী ডি.ইমান সান টিভি ও রাজ টিভি
মেট্টি অলি ধিনা সান টিভি
আরাশি কিরণ সান টিভি
মৈথিলী এসপি ভেঙ্কটেশ কলাইঙ্গার টিভি
উরাভুগাল ডি.ইমান সান টিভি
্কাঞ্চন স্টার বিজয়
আন্নি জয়া টিভি
এনগিরুন্ডো বান্ধল জয়া টিভি
কাক্কা কাক্কা রাজ টিভি

শিরোনাম, পুরস্কার এবং অন্যান্য স্বীকৃতি

নিত্যশ্রী আকাশবাণী,[5] এবং অল ইন্ডিয়া রেডিও, চেন্নাইয়ের একটি "শীর্ষ স্থানীয়" শিল্পী। [6] তিনি মাদ্রাজ সংগীত একাডেমি থেকে ৬ বছর ধরে "সেরা কনসার্ট পুরস্কার" পেয়েছিলেন এবং তামিলনাড়ু সরকারের কাছ থেকে কলাইমণি পুরস্কার অর্জন করেছিলেন, যারা পরবর্তীকালে তাকে "আইওয়াল ইসাই নাটক মন্দরম" এ বিশেষজ্ঞ কমিটির প্যানেল সদস্য হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন।

তথ্যসূত্র

  1. Methil Renuka (২০০০)। "Keeping tune with times"। India Today। Thomson Living Media India Limited: 292।
  2. "The Hindu : Tamil Nadu / Coimbatore News : D.K. Pattammal's biography to be released"The Hindu। ২০ নভেম্বর ২০০৭। ১ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১০
  3. Aruna Chandaraju (২০ মে ২০০৫)। "The Hindu : Entertainment Bangalore / Music : Proud pedigree is not all"The Hindu। ১৬ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৪
  4. "Singer Nithyasree's husband ends life by jumping in river – The Times of India"Times of India। ২১ ডিসেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৪
  5. M.K.Balagopal (৬ নভেম্বর ২০০৩)। "The Hindu : A masterly performance"The Hindu। ৩১ ডিসেম্বর ২০০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৪
  6. "The Hindu : Retail Plus Hyderabad : Audio Release"The Hindu। ১৭ অক্টোবর ২০০৮। ১৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৪
  7. Rayan Rozario (৩০ জুন ২০০৩)। "The Hindu : Singing soothing notes"The Hindu। ১১ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৪
  8. Bhanu Kumar (২৩ জুলাই ২০১১)। "Blooming bud – Mumbai Mirror"Mumbai Mirror। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৫
  9. "The Hindu: An Evening of Melody"The Hindu। ২০ মার্চ ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৪
  10. Petlee Peter & R. Sujatha (২১ ডিসেম্বর ২০১২)। "A big shock to music lovers – The Hindu"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৪
  11. Rajagopalan Venkataraman (২১ ডিসেম্বর ২০১২)। "Pall of gloom descends on Kotturpuram – The New Indian Express"New Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৪
  12. B. Ramadevi (২১ ডিসেম্বর ২০১২)। "The Hindu : Friday Review Chennai / Music : Deluge of ragas and songs"The Hindu। ২২ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৪
  13. S.Aishwarya (৯ জুন ২০০৭)। "Steeped in tradition - The Hindu"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৫
  14. Sangeetha (৩১ জুলাই ২০০৯)। "The Hindu : Friday Review Thiruvananthapuram / Interview : Musical legacy"The Hindu। ৩ আগস্ট ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৪
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.