নিকোল কিডম্যান
নিকোল ম্যারি কিডম্যান, এসি (ইংরেজি: Nicole Mary Kidman; জন্ম: ২০ জুন ১৯৬৭) একজন মার্কিন ও অস্ট্রেলীয় অভিনেত্রী, প্রযোজক ও গায়িকা।[2] চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে বিভিন্ন ধারার কাজে অভিনয়ের জন্য প্রসিদ্ধ কিডম্যান বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রীদের একজন।[3][4] তিনি একটি একাডেমি পুরস্কার, একটি বাফটা পুরস্কার, একটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার, দুটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার এবং ছয়টি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন।
নিকো
এসি | |
---|---|
জন্ম | নিকোল ম্যারি কিডম্যান ২০ জুন ১৯৬৭[1] |
নাগরিকত্ব | অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মাতৃশিক্ষায়তন | অস্টেলিয়ান থিয়েটার ফর ইয়ং পিপল |
পেশা | অভিনেত্রী, প্রযোজক, গায়িকা |
কর্মজীবন | ১৯৮৩–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | টম ক্রুজ (বি. ১৯৯০; বিচ্ছেদ. ২০০১) কিথ আরবান (বি. ২০০৬) |
সন্তান | ৪ |
পিতা-মাতা | অ্যান্টনি কিডম্যান (পিতা) |
আত্মীয় | অ্যান্টোনিয়া কিডম্যান (বোন) |
ওয়েবসাইট | nicolekidmanofficial |
কিডম্যান অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৮৩ সালের বুশ ক্রিসমাস ও বিএমএক্স ব্যান্ডিটস চলচ্চিত্র দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। তার প্রথম উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল ১৯৮৯ সালের থ্রিলারধর্মী চলচ্চিত্র ডেড কাম এবং থ্রিলার মিনি ধারাবাহিক ব্যাংকক হিল্টন। ১৯৯০ এর দশকের প্রথম দিকে মারপিটধর্মী ডেজ অব থান্ডার (১৯৯০), রোমান্স-নাট্যধর্মী ফার অ্যান্ড অ্যাওয়ে (১৯৯২) ও সুপারহিরো চলচ্চিত্র ব্যাটম্যান ফরেভার (১৯৯৫), টু ডাই ফর (১৯৯৫) এবং আইজ ওয়াইড শাট (১৯৯৯)-এ অভিনয় দিয়ে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন। ২০০২ সালে নাট্যধর্মী দি আওয়ার্স চলচ্চিত্রে লেখিকা ভার্জিনিয়া উল্ফ এর ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি সঙ্গীতধর্মী মুলা রুশ! (২০০১), নাট্যধর্মী র্যাবিট হোল (২০১০), লায়ন (২০১৬) ও বিয়িং দ্য রিকার্ডোস (২০২১) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য আরও চারটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
কিডম্যানের টেলিভিশনের কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল হেমিংওয়ে অ্যান্ড গেলহর্ন (২০১২), বিগ লিটল লাইস (২০১৭-২০১৯), টপ অব দ্য লেক: চায়না গার্ল (২০১৭), দি আনডুয়িং (২০২০) ও নাইন পারফেক্ট স্ট্রেঞ্জার্স (২০২১)। বিগ লিটল লাইস-এর জন্য তিনি দুটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার অর্জন করেন, তন্মধ্যে একটি অভিনয়ের জন্য সেরা প্রধান অভিনেত্রী বিভাগে এবং অপরটি নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে সেরা সীমিত বা সংকলিত ধারাবাহিক বিভাগে।
হাওয়াইয়ে জন্মগ্রহণ এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের ফলে তার অস্ট্রেলীয় ও মার্কিন দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। কিডম্যান ১৯৯৪ সাল থেকে ইউনিসেফ এবং ২০০৬ সাল থেকে ইউনিফেম-এর শুভেচ্ছা দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৬ সালে তিনি অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়ার কম্প্যানিয়ন খেতাবে ভূষিত হন। তিনি ১৯৯০ সালে অভিনেতা টম ক্রুজকে বিয়ে করেন ও ২০০১ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। ২০০৬ সালে তিনি কান্ট্রি সঙ্গীতশিল্পী কিথ আরবানকে বিয়ে করেন। ২০১০ সালে তিনি ব্লুজম ফিল্মস নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৪ ও ২০১৮ সালে টাইম তাকে বিশ্বের ১০০ শীর্ষ প্রভাবশালী ব্যক্তি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে এবং ২০২০ সালে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম সেরা অভিনয়শিল্পী হিসেবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে।
প্রাথমিক জীবন
নিকোল ১৯৬৭ সালের ২০ জুন হাওয়াইয়ের হনুলুলুতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা অ্যান্টনি কিডম্যান (১৯৩৮-২০১৪) ছিলেন একজন প্রাণরসায়নবিদ ও মনোবিদ ও লেখক।[5] তার মা জ্যানেল অ্যান একজন নার্সিং প্রশিক্ষক। কিডম্যানের পূর্বপুরুষগণ স্কটিশ, আইরিশ ও ইংরেজ বংশোদ্ভূত।[6]
কর্মজীবন
১৯৮৩-১৯৯৪: কর্মজীবনের প্রারম্ভ
১৯৮৩ সালে ১৬ বছর বয়সে অস্ট্রেলীয় চলচ্চিত্র বুশ ক্রিসমাস দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। ১৯৮৩ সালের শেষের দিকে তিনি টেলিভিশন ধারাবাহিক ফাইভ মাইল ক্রীক এ পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৮৪ সালে তার মায়ের স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য কিছুদিন অভিনয়ে বিরতি দেন।[7] ১৯৮০ এর দশকের মাঝামাঝিতে তিনি বিএমএক্স ব্যান্ডিটস্ (১৯৮৩), ওয়াচ দ্য শ্যাডোস ড্যান্স (১৯৮৭), ও প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক উইন্ডরাইডার (১৯৮৬) এ অভিনয় করে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এছাড়া এই দশকে সোপ অপেরা আ কান্ট্রি প্র্যাকটিস[8] ও মিনি ধারাবাহিক ভিয়েতনাম[9] এ অভিনয় করেন। পাশাপাশি অস্ট্রেলীয় টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে তাকে দেখা যেত।
১৯৯১ সালে তিনি তার সহপাঠী ও বন্ধু নাওমি ওয়াটস ও ট্যান্ডি নিউটনদের সাথে অস্ট্রেলীয় স্বাধীন চলচ্চিত্র ফ্লার্টিং-এ অভিনয় করেন। কিডম্যান ও ওয়াটস এই ছবিতে দুজন স্কুল ছাত্রী চরিত্রে অভিনয় করেন, ছবিটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে অস্ট্রেলিয়ান ফিল্ম ইনস্টিটিউট পুরস্কার লাভ করে।[10] একই বছর বিলি বাথগেট চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথমবারের মত সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[11] পরের বছর টম ক্রুজের বিপরীতে রন হাওয়ার্ড পরিচালিত আইরিশ মহাকাব্যিক চলচ্চিত্র ফার অ্যান্ড অ্যাওয়ে (১৯৯২) এ অভিনয় করেন।[12] ছবিটিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়[13] এবং ছবিটি ব্যবসাসফল হয়।[14] ১৯৯৩ সালে তিনি আলেক বল্ডউইনের বিপরীতে ম্যালিস[15] ও মাইকেল কিটনের বিপরীতে মাই লাইফ[16] চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
১৯৯৫-২০০৪: বিশ্বব্যাপী পরিচিতি
১৯৯৫ সালে কিডম্যান এখন পর্যন্ত (২০১৭ সাল) তার অভিনীত সর্বোচ্চ আয়ের চলচ্চিত্র[17] ব্যাটম্যান ফরেভার-এ ডঃ চেজ মেরিডিয়ান চরিত্রে অভিনয় করেন। এই সুপারহিরো চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে নাম চরিত্রে অভিনয় করেন ভাল কিলমার। একই বছর কিডম্যান গুস ভ্যান স্যান্ট পরিচালিত টু ডাই ফর চলচ্চিত্রে সুজান স্টোন মারেত্তো চরিত্রে তার অভিনয় প্রশংসিত হয় এবং তিনি তার প্রথম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন।[18][19] পরের বছর তিনি দ্য পোট্রেট অব আ লেডি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত একই নামের চলচ্চিত্রে বারবারা হার্শি, জন মালকোভিচ ও ম্যারি-লুইস পার্কারদের সাথে অভিনয় করেন। ১৯৯৭ সালে জর্জ ক্লুনির বিপরীতে অ্যাকশন-থ্রিলার দ্য পিসমেকার চলচ্চিত্রে হোয়াইট হাউজের নিউক্লিয়ার এক্সপার্ট ডঃ জুলিয়া কেলি চরিত্রে অভিনয় করেন।[20][21] পরের বছর সান্ডা বুলকের সাথে ফ্যান্টাসিধর্মী প্র্যাকটিক্যাল ম্যাজিক চলচ্চিত্রে আধুনিক ডাইনী চরিত্রে অভিনয় করেন।[22] একই বছর তিনি ডেভিড হেয়ার নির্দেশিত দ্য ব্লু রুম মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন। নাটকটি লন্ডনে প্রদর্শিত হয়।[23] ১৯৯৯ সালে কিডম্যান তার স্বামী টম ক্রুজের সাথে স্ট্যানলি কুব্রিক পরিচালিত শেষ চলচ্চিত্র আইজ ওয়াইড শাট-এ বিবাহিত দম্পতি চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি অত্যধিক যৌনতার কারণে সেন্সর বিতর্কে পড়ে। তবে চলচ্চিত্রটি মুক্তির কিছুদিন পূর্বে কুব্রিক মারা গেলে তা সকলের মনোযোগ কাড়ে। টম ক্রুজের সাথে বিবাহবিচ্ছেদের পর[24] কিডম্যান ব্রিটিশ-মার্কিন নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র বার্থডে গার্ল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[25] ২০০১ সালে ইউয়ান মাকগ্রেগারের বিপরীতে ব্যাজ লুরমান পরিচালিত সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র মুলাঁ রুজ!-এ অভিনয় করেন। তার অভিনয় ইতিবাচক সমালোচনা অর্জন করেন এবং তার দ্বিতীয় সেরা অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন এবং আরো কয়েকটি পুরস্কার ও মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথমবারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[26]
২০০২ সালে তিনি স্টিভেন ডাল্ড্রি পরিচালিত দ্য আওয়ার্স চলচ্চিত্রে ভার্জিনিয়া উলফ চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে আরো অভিনয় করেন মেরিল স্ট্রিপ ও জুলিঅ্যান মুর। ছবিটিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়[27] এবং তিনি বেশ কয়েকটি সমালোচনা পুরস্কার লাভ করেন। তিনি তার প্রথম বাফটা পুরস্কার, তৃতীয় গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার এবং প্রথম শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রথম অস্ট্রেলীয় অভিনেত্রী হিসেবে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।[28]
অস্কার বিজয়ের পর নিকোল ২০০৩ সালে তিনটি ভিন্নধর্মী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি প্রথমে ডেনিশ পরিচালক লার্স ফন ত্রিয়ের পরিচালিত ডগভিলা, পরে ফিলিপ রথ-এর উপন্যাস অবলম্বনে রবার্ট বেন্টন পরিচালিত দ্য হিউম্যান স্টেইন, এবং অ্যান্থনি মিঙ্গেলা পরিচালিত কোল্ড মাউন্টেন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। কোল্ড মাউন্টেন চলচ্চিত্রে তার অভিনয় প্রশংসিত হয় এবং তিনি তার ৬ষ্ঠ বারের মত সেরা অভিনেত্রী হিসেবে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
২০১০-২০১৫: স্বাধীন ও জীবনীমূলক চলচ্চিত্র
২০১১ সালের জুনে পিট ডেক্সটারের উপন্যাস অবলম্বনে লি ড্যানিয়েলসের দ্য পেপারবয় ছবিতে তাকে অভিনেত্রী হিসেবে নেওয়া হয়।[29] ২০১১ সালের ১লা আগস্ট থেকে থ্রিলারধর্মী এই ছবিটির চিত্রধারণ শুরু হয়। ছবিটি ২০১২ সালে মুক্তি পায়। ছবিটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে অংশগ্রহণ করে এবং কিডম্যানের অভিনয় সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কিডম্যান শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড ও স্যাটার্ন পুরস্কারের পাশাপাশি তার দ্বিতীয় গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০১২ সালে অডিবল.কম থেকে কিডম্যানের কণ্ঠে ভার্জিনিয়া উলফের টু দ্য লাইটহাউজ বইয়ের অডিওবুক প্রকাশিত হয়।[30] ২০১৩ সালে তিনি পার্ক চ্যান-উকের স্টকার ছবিতে অভিনয় করে ইতিবাচক সমালোচনা লাভ করেন[31] এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে স্যাটার্ন পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এই বছর এপ্রিলে তিনি কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান প্রতিযোগিতার জুরি হিসেবে নির্বাচিত হন।[32]
২০১৬-বর্তমান: পুনরুত্থান
২০১৬ সালে লায়ন চলচ্চিত্রে তিনি পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এক ভারতীয় কিশোর সারু ব্রায়ার্লির দত্তক নেওয়া মাতা সু ব্রায়ার্লি চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি মনে করেন এই চরিত্রটি তার নিজের সাথে সম্পৃক্ত, কারণ তারও দত্তক নেওয়া সন্তান রয়েছে।[33] ছবিতে তার অভিনয় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয় এবং তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন, এটি তার চতুর্থ অস্কার এবং একাদশ গোল্ডেন গ্লোবের মনোনয়ন।। শিকাগো সান-টাইমস-এর রিচার্ড রোপার লিখেন, "সারুর দত্তক মা চরিত্রে কিডম্যানের অভিনয় শক্তিশালী ও মর্মস্পর্শী, তিনি তার সর্বত্র দিয়ে তার পুত্রকে ভালোবাসেন, কিন্তু তার [সত্যিকার পরিবারের] অনুসন্ধানের বিষয়টিও বুঝতে পারেন। গত দশকে তার যে কোন কাজের চেয়ে এটি ভালো হয়েছে।"[34]
২০১৭ সালে কিডম্যান বিগ লিটল লাইজ দিয়ে টেলিভিশনে ফিরে আসেন। লায়ান মরিয়ার্টির উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত নাট্যধর্মী ধারাবাহিকটি এইচবিও চ্যানেলে প্রচারিত হয়। সহশিল্পী রিজ উইদারস্পুন ও পরিচালক জঁ-মার্ক ভালের সাথে তিনি এই ধারাবাহিকটির একজন প্রযোজক। এতে তিনি একজন প্রাক্তন আইনজীবী ও বর্তমানে গৃহিণী সেলেস্ট রাইট চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি তার স্বামীর অত্যাচারী স্বভাব লুকিয়ে রাখেন। তার স্বামী চরিত্রে অভিনয় করেন আলেকজান্ডার স্কার্সগার্ড। কিডম্যান এই চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। দ্য হাফিংটন পোস্ট-এর ম্যাথিউ জ্যাকবস লিখেন, "তিনি তার কর্মজীবনের অন্যতম সেরা কাজ করেছেন";[35] দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর অ্যান হরনাডে লিখেন, "কিডম্যান সেরা অভিনেত্রীদের রাজ্যের একজন।"[36] এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী ও শ্রেষ্ঠ প্রযোজক হিসেবে দুটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একটি গোল্ডেন গ্লোব, ক্রিটিকস চয়েস, ও স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার অর্জন করেন।[37][38]
তথ্যসূত্র
- "Monitor"। এন্টারটেইনমেন্ট উয়িকলি (ইংরেজি ভাষায়) (1264)। ২১ জুন ২০১৩। পৃষ্ঠা 26।
- "Nicole Kidman sweats new producer role"। দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট (ইংরেজি ভাষায়)। লন্ডন। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১১। ৩০ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- ফিটজসিমন্স, Caitlin (৮ মার্চ ২০১৫)। "The 30 richest self-made women in Australia"। বিআরডাব্লিউ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- "Bridges among Australia's richest women"। স্কাই নিউজ অস্ট্রেলিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ মার্চ ২০১৫। ১৬ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- Murrihy, Rachael (১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "Dr Antony Kidman: Nicole Kidman's father's legacy of nurture"। দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- "Nicole Kidman Biography" (ইংরেজি ভাষায়)। thebiographychannel.co.uk। ৭ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- Lucy Ellis; Bryony Sutherland (অক্টোবর ২০০২)। Nicole Kidman: the biography (ইংরেজি ভাষায়)। Aurum। পৃষ্ঠা 34।
Nicole withdrew from all acting jobs and enrolled on a massage course so that she could relieve her mother's suffering with physical therapy.
- "Nicole Kidman- A Country Practise 1984" (ইংরেজি ভাষায়)। YouTube। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- "Vietnam – Nicole Kidman" (ইংরেজি ভাষায়)। YouTube। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- "AFI Award Winners Feature Categories 1958–2009" (ইংরেজি ভাষায়)। অস্ট্রেলিয়ান ফিল্ম ইনস্টিটিউট। ৭ মার্চ ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- Canby, Vincent (১ নভেম্বর ১৯৯১)। "Billy Bathgate (1991)"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- Dolman, Bob (২৫ মে ১৯৯২)। "Surviving in a New World"। টাইম (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- Gene, Siskel (২২ মে ১৯৯২)। "Cinematography And Acting Save Far And Away"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- "Far and Away (1992)"। বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- "Malice"। এম্পায়ার অনলাইন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- ইবার্ট, রজার (১২ নভেম্বর ১৯৯৩)। "My Life"। রজারইবার্ট.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- "Kidman" (ইংরেজি ভাষায়)। বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- ইবার্ট, রজার (৬ অক্টোবর ১৯৯৫)। "To Die For" (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- লাসাল, মাইক (৬ অক্টোবর ১৯৯৫)। "Film Review-- Kidman Monstrously Good in 'To Die For'"। সান ফ্রান্সিস্কো ক্রনিকল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- "The Peacemaker" (ইংরেজি ভাষায়)। মেটাক্রিটিক। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- "The Peacemaker" (ইংরেজি ভাষায়)। বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- "Practical Magic" (ইংরেজি ভাষায়)। মেটাক্রিটিক। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- "Journal; Nicole Kidman's Behind" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- "Kidman Tells Oprah Divorce Is 'Awful'" (ইংরেজি ভাষায়)। এবিসি নিউজ। ২১ মে ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- "Birthday presence in Herts"। বিবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। ১ আগস্ট ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- "Nicole "the most beautiful person in the world""। দ্য এজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- Tomatoes "The Hours (2002), FILM REVIEW; Who's Afraid Like Virginia Woolf?"
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭। - "Memorable Moments From Oscar Night"। এবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ মার্চ ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭।
- "Nicole Kidman in Talks to Join Lee Daniels' 'Paperboy' Amid Cast Shuffle (Exclusive)"। দ্য হলিউড রিপোর্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৯।
- "Nicole Kidman Performs 'To The Lighthouse' for Audible"। Nicole Kidman (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ জুলাই ২০১২। ৭ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৯।
- জেইটচিক, স্টিভেন (১১ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। "Hot with Oscar buzz, Colin Firth and Nicole Kidman look to new roles in 'Stoker'"। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৯।
- স্যাপারস্টেইন, প্যাট (২৩ এপ্রিল ২০১৩)। "Nicole Kidman, Christopher Waltz, Ang Lee Among Cannes Jury Members"। ভ্যারাইটি (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৯।
- "Lion (Australia, 2016)"। রিলভিউস (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৯।
- "Beautifully told 'Lion' an inspirational story sure to draw tears"। শিকাগো সান-টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৯।
- Jacobs, Matthew (২ এপ্রিল ২০১৭)। "Nicole Kidman Delivered A Career-Defining Performance On 'Big Little Lies'"। দ্য হাফিংটন পোস্ট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৯।
- Hornaday, Ann (৮ এপ্রিল ২০১৭)। "Why Nicole Kidman belongs in the pantheon of great actresses"। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৯।
- TCA webmaster (১৯ জুন ২০১৭)। "The Television Critics Association Announces 2017 TCA Award Nominees"। টেলিভিশন ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৯।
- "Big Little Lies" (ইংরেজি ভাষায়)। এমিস। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
- অলমুভিতে নিকোল কিডম্যান
- ইন্টারনেট ব্রডওয়ে ডেটাবেজে নিকোল কিডম্যান (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে নিকোল কিডম্যান (ইংরেজি)
- টার্নার ক্লাসিক মুভিজ ডেটাবেজে নিকোল কিডম্যান (ইংরেজি)
- কার্লিতে নিকোল কিডম্যান (ইংরেজি)
- বক্স অফিস মোজোতে নিকোল কিডম্যান (ইংরেজি)
- পিপল ডটকমে নিকোল কিডম্যান
- Nicole Kidman's charity work
- গ্রন্থাগারে নিকোল কিডম্যান সম্পর্কিত বা কর্তৃক কাজ (ওয়ার্ল্ডক্যাট ক্যাটালগ) (ইংরেজি)