নিকারাগুয়ার রাজনীতি
স্বাধীনতার পর থেকে নিকারাগুয়াতে একটি প্রজাতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান, যা একজন নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি, একটি কংগ্রেস ও একটি সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে গঠিত। তবে ঐতিহাসিকভাবে নির্বাহী শাখাটিই আধিপত্য বিস্তার করেছে। কংগ্রেস ও কোর্ট মূলত রাষ্ট্রপ্তির আদেশ মেনে চলে। রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক অধিকার স্থগিত করতে পারেন। সামরিক বাহিনীও অনেক সময় সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির রাজনৈতিক ব্যবস্থাতে বিকৃতি সাধন করে। যুক্তরাষ্ট্র নিজের ক্ষমতাবলে দেশটিতে মার্কিন সেনা এবং মার্কিন বন্ধুভাবাপন্ন সরকার স্থাপন করে, ও বিপ্লব দমন করে।
১৯৩৬ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত সোমোসা পরিবার দেশটিতে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিল। তারা দেশে একনায়কতন্ত্র চালু করেছিল। মার্কিন সহায়তা নিয়ে সমোসারা নির্বাচনে কারচুপি করে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এবং অর্থনীতিতে লুটপাট চালায়। ১৯৭৯ সালে সান্দানিস্তা গেরিলারা বিপ্লবের মাধ্যমে এদের উৎখাত করে। সান্দানিস্তারা ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। একনায়কতান্ত্রিক না হলেও তারাও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া কৌশলে নিয়ন্ত্রণ করত। ১৯৯০ সালে বিয়লেতা বাররিওস দে কামোররো-র রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচনের মাধ্যমে নিকারাগুয়াতে গণতন্ত্রের চর্চা বৃদ্ধি পায়।
নিকারাগুয়ার বর্তমান সংবিধানটি ১৯৮৭ সালে প্রণীত হয়। এটি ১৯৯৫ ও ২০০০ সালে সংশোধন করা হয়। এতে ব্যক্তিস্বাধীনতা, শিক্ষ ও বাসস্থানের অধিকার, এবং নারীদের সমতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সুপ্রিম নির্বাচনী কাউন্সিল ভোটার নিবন্ধন ও নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে। এটি আগে স্বাধীন ছিল, তবে ২০০০ সালের এক সংশোধনীতে ক্ষমতাসীন সরকার ও প্রধান বিরোধী দলকে এর সদস্য নির্বাচনের ক্ষমতা দেওয়া হয়। নিকারাগুয়াতে ভোটাধিকার অর্জনের বয়স ১৬।