নিইগাতা প্রশাসনিক অঞ্চল

নিইগাতা প্রশাসনিক অঞ্চল (新潟県? নিইগাতা কেন্‌) হল জাপানের বৃহত্তম দ্বীপ হোনশুর চুউবু অঞ্চলে অবস্থিত জাপান সাগরের উপকূলবর্তী একটি প্রশাসনিক অঞ্চল[1] এর রাজধানী নিইগাতা নগর।[2]

নিইগাতা প্রশাসনিক অঞ্চল
新潟県
প্রশাসনিক অঞ্চল
জাপানি প্রতিলিপি
  জাপানি新潟県
  রোমাজিNiigata-ken
নিইগাতা প্রশাসনিক অঞ্চল পতাকা
পতাকা
নিইগাতা প্রশাসনিক অঞ্চল অবস্থান
দেশজাপান
অঞ্চলচুউবু
দ্বীপহোনশু
রাজধানীনিইগাতা
আয়তন
  মোট১২,৫৮২.৪৭ বর্গকিমি (৪,৮৫৮.১২ বর্গমাইল)
এলাকার ক্রম৫ম
জনসংখ্যা (১লা ফেব্রুয়ারি, ২০১১)
  মোট২৩,৭১,৫৭৪
  ক্রম১৪শ
  জনঘনত্ব১৮৮.৪৮/বর্গকিমি (৪৮৮.২/বর্গমাইল)
আইএসও ৩১৬৬ কোডJP-15
জেলা
পৌরসভা৩০
ফুলটিউলিপ (টিউলিপা জেসনেরিয়ানা)
গাছক্যামেলিয়া (ক্যামেলিয়া জাপোনিকা)
পাখিঝুঁটিওয়ালা আইবিস (নিপ্পনিয়া নিপ্পন)
ওয়েবসাইটwww.pref.niigata.lg.jp/en

ইতিহাস

মেইজি পুনর্গঠনের আগে পর্যন্ত নিইগাতা এলাকাটি এচিগো প্রদেশ ও সাদো প্রদেশে বিভক্ত ছিল।[3]

এখন নিইগাতা নগর জাপান সাগরের উপকূলবর্তী তৃতীয় বৃহত্তম জাপানি নগর, ফুকুওকা ও কিতাকিউশুর পরেই। ম্যাথিউ পেরির আগমনের পর এটিই ছিল বিদেশীদের জন্য খুলে দেওয়া জাপান সাগরের উপকূলবর্তী প্রথম বন্দর। রাশিয়াকোরিয়ার সাথে বাণিজ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

রাজনীতিবিদ কাকুএই তানাকার নেতৃত্বে এৎসুযাঙ্কাই প্রতিষ্ঠান ১৯৬০ ও ৭০ এর দশকে নিইগাতা প্রশাসনিক অঞ্চলের পরিকাঠামোর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এর মধ্যে ছিল জোওএৎসু-শিন্‌কান্‌সেন রেলপথ এবং টোকিওর সংযোজক কানেৎসু এক্সপ্রেসওয়ে।

২০০৪ এর ২৩শে অক্টোবর চুউএৎসু ভূমিকম্পে নিইগাতা বিপর্যস্ত হয়। ওজিয়া এলাকায় শিন্দো স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ এর বেশি।

২০০৬ এর ৯ই জানুয়ারি এক প্রবল তুষারঝড়ে নিইগাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৭১ জনের প্রাণহানি ও সহস্রাধিক মানুষ আহত হন। ঐ বছরেই এক বৃহৎ সুনামিও জাপান সাগরের উপকূলে আছড়ে পড়ে।

ভূগোল

জাপান সাগরের উপকূল বরাবর নিইগাতা প্রশাসনিক অঞ্চলের বিস্তার প্রায় ২৪০ কিমি। এর দুই প্রধান ভূমিরূপ হল উপকূলীয় সমভূমি ও অভ্যন্তরস্থ পার্বত্য অঞ্চল। এছাড়া রয়েছে সাদো দ্বীপ। চুউবু অঞ্চলের উপাঞ্চল হিসেবে নিইগাতাকে হোকুরিকু ও কোওশিন্‌এৎসু উপাঞ্চলে ফেলা যায়। জাপানের দীর্ঘতম শিনানো নদীর মোহনা নিইগাতা প্রশাসনিক অঞ্চলে অবস্থিত।

২০১৪ এর এপ্রিলের হিসেব অনুযায়ী নিইগাতা প্রশাসনিক অঞ্চলের ২৫ শতাংশ ভূমি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে বান্দাই-আসাহি, চুউবু-সাংগাকু, নিক্কো ও ওযে জাতীয় উদ্যান; এচিগো সান্‌যান-তাদামি ও সাদো-য়াহিকো-য়োনেয়ামা উপ-জাতীয় উদ্যান এবং ১৩টি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[4]

অর্থনীতি

নিইগাতা প্রশাসনিক অঞ্চল প্রধানত কৃষিনির্ভর। ধান হল মূল উৎপন্ন ফসল, এবং হোক্কাইদোর পরেই নিইগাতা জাপানে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদক প্রশাসনিক অঞ্চল। উওনুমা সন্নিহিত এলাকায় কোশিহিকারি ধান উৎপন্ন হয়, যাকে জাপানে উৎপন্ন শ্রেষ্ঠ ধান বলা হয়।

ধান-নির্ভর অন্যান্য শিল্পও নিইগাতায় গুরুত্বপূর্ণ। নিইগাতার উচ্চমানের সাকে পানীয়, সেন্‌বেই নামক চালের পিঠে, মোচি বা চাল থেকে প্রস্তুত মিষ্টান্ন এবং আরারে নামক চাল-নির্মিত মঠ গোটা জাপানে বিখ্যাত। সাকে উৎপাদনে নিইগাতার স্থান জাপানে তৃতীয়; গুন্‌মাকিয়োতোর পর।

খনিজ ও কারিগরী শিল্প

জাপান খনিজ তেলের জন্য আমদানির উপর নির্ভর করলেও নিইগাতায় অল্প তেল উৎপন্ন হয়। ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সাদো দ্বীপে একটি সোনার খনি ছিল। সাঞ্জোও ও ৎসুবানে খনিতে জাপানের ৯% রূপা উৎপন্ন হয়।

নিইগাতা প্রশাসনিক অঞ্চল জাপানের নিজস্ব বস্ত্রবয়ন শিল্পের প্রথম কেন্দ্র ছিল। নির্মাণের পর বহুদিন ধরে নিইগাতার কারিওয়া গ্রামের পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি বিশ্বে সর্বাধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ছিল। ফুকুশিমা দাই-ইচি নিউক্লীয় দুর্ঘটনার পর এটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।[5]

তথ্যসূত্র

  1. Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Niigata-ken" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 711, পৃ. 711,
  2. Nussbaum, "Niigata" at গুগল বইয়ে p. 711, পৃ. 711,
  3. Nussbaum, "Provinces and prefectures" at গুগল বইয়ে p. 780, পৃ. 780,
  4. "General overview of area figures for Natural Parks by prefecture" (পিডিএফ)Ministry of the Environment। ১ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
  5. "Japanese Anti-nuclear Candidate Wins Election at Site of World's Biggest Atomic Power Station"। The Guardian। Reuters। ১৭ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৬
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.