নামি ডিন
হুবার্ট গুভেইন নামি ডিন (ইংরেজি: Nummy Deane; জন্ম: ২১ জুলাই, ১৮৯৫ - মৃত্যু: ২১ অক্টোবর, ১৯৩৯) জুলুল্যান্ডের এশোই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৪ থেকে ১৯৩১ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | হুবার্ট গুভেইন ডিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | এশোই, জুলুল্যান্ড | ২১ জুলাই ১৮৯৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২১ অক্টোবর ১৯৩৯ ৪৪) জোহেন্সবার্গ, ট্রান্সভাল, দক্ষিণ আফ্রিকা ইউনিয়ন | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১১০) | ১৪ জুন ১৯২৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৬ জানুয়ারি ১৯৩১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩০ নভেম্বর ২০১৮ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে গটেং ও ট্রান্সভাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন নামি ডিন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে মাঝারিসারিতে ব্যাটিং করতেন।
ঘরোয়া ক্রিকেট
জুলুল্যান্ডের এশোই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নামি ডিন ডানহাতি মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৯১৯-২০ মৌসুম থেকে ১৯২২-২৩ মৌসুম পর্যন্ত নাটালে এবং ১৯২৩-২৪ মৌসুম থেকে ১৯২৯-৩০ মৌসুম পর্যন্ত ট্রান্সভালের পক্ষে খেলেছেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া দল নিয়ে গঠিত অস্ট্রেলিয়ান ইম্পেরিয়াল ফোর্সেসের বিপক্ষে নাটালের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। খেলায় তিনি ২৩ রান দিয়ে তিন উইকেট দখল করেন। এগুলোই তার প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র উইকেট ছিল। তবে, তার বোলিংয়ের ধরন সম্পর্কে জানা যায়নি।[1]
নাটাল দলে ব্যাটসম্যান হিসেবে খুব কমই প্রভাববিস্তার করতে পেরেছেন। চার মৌসুমে ১০ খেলায় অংশ নিয়েছেন। তন্মধ্যে, ১৯২১-২২ মৌসুমে ট্রান্সভালের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন ৯৬ রান।[2] ১৯২৩-২৪ মৌসুমে ট্রান্সভালের পক্ষে প্রথম খেলায় দূর্বল শক্তির অধিকারী অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের বিপক্ষে দলের মোট ২৪৬ রানের মধ্যে একাই করেন অপরাজিত ১৬৫ রান।[3] এটিই তার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ হিসেবে রয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে, ১৯২৪ সালে ইংল্যান্ড গমনের উদ্দেশ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের খেলোয়াড় হিসেবে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৭টি টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন নামি ডিন।[4] সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে খেলেছেন। তন্মধ্যে, ১২ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ১৪ জুন, ১৯২৪ তারিখে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।
ইংল্যান্ড গমন, ১৯২৪
১৯২৪ সালে হার্বি টেলরের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা দল ইংল্যান্ড গমন করে। টেস্ট সিরিজটিতে সফরকারী দল ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত হয় ও দুই খেলায় ড্র করে। উইজডেনে দলের ব্যর্থতার জন্য বোলিং দূর্বলতাকে তুলে ধরা হয়।[5] এ সফর সম্পর্কে উইজডেনের চার পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে নামি ডিনের ভূমিকাকে উল্লেখ করেনি। এ সফরে ব্যক্তিগত সফলতাও খুব একটা সুবিধের ছিল না। ২৫টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে একবারমাত্র পঞ্চাশোর্ধ্ব রান তুলতে পেরেছেন ও ২২.১৮ গড়ে ৬২১ রান তুলেন।[6] একমাত্র অর্ধ-শতকটি আসে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। খেলায় অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংসটিতে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে একচ্ছত্র প্রভাববিস্তার করেছিল তার দল।[7]
মাঝারিমানের রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও ডিনকে মূলতঃ ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে রাখা হয়েছিল। পাঁচ টেস্টের প্রত্যেকটিতেই তার অংশগ্রহণ ছিল। বব ক্যাটারলের ন্যায় খেলোয়াড়সহ ফ্রেড সাসকিন্ড অন্য যে-কোন খেলোয়াড়ের তুলনায় অনেকগুলো রান দিয়ে ফেলেন। ২৩.৮৩ গড়ে ১৪৩ রান তুলেছিলেন নামি ডিন।[8] অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিচের মাঝারিসারিতে ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামতেন। তৃতীয় টেস্টে নিজস্ব সেরা খেলা উপহার দেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের অবস্থান পরিবর্তন করে উদ্বোধনে নামেন। অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংস খেললে ফলো-অনের কবলে পড়ে ২৬৪ রানে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও ইংল্যান্ড দল পুনরায় ব্যাট করতে বাধ্য হয়েছিল।[9]
নিজদেশে অংশগ্রহণ
১৯২৪-২৫ মৌসুমে ধনপতি এস. বি. জোয়েলের ব্যবস্থাপনায় ইংরেজ দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আসে। টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও টেস্ট মানসম্পন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে চার খেলায় অংশ নেয়; তবে, খেলাগুলো টেস্টের মর্যাদা পায়নি ও প্রথম-শ্রেণীর খেলারূপে গণ্য হয়। নামি ডিন চারটি খেলার সবকটিতেই অংশ নেন। তবে, খুব কমই দলে ভূমিকা রাখতে সমর্থ হন। জোয়েল একাদশের বিপক্ষে ট্রান্সভালের খেলায় তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৮ রান তুলেছিলেন।[10]
১৯২৫-২৬ মৌসুম থেকে ট্রান্সভাল দলের অধিনায়কের দায়িত্ব বর্তায় নামি ডিনের উপর। প্রথম মৌসুমে ছয় খেলার পাঁচটিতেই জয় পেয়ে কারি কাপের শিরোপা লাভ করে তার দল। পরের বছর প্রত্যেক খেলাতেই জয়ে পেয়েছিল ট্রান্সভাল দল।
অধিনায়কত্ব লাভ
ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে সফলতা লাভের প্রেক্ষিতে নামি ডিনকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯২৭-২৮ মৌসুমে সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে পূর্বেকার সফরে নেতৃত্বদানকারী হার্বি টেলরকে বড় ধরনের খেলায় চাপ অনুভব করায় তাকে এ অধিনায়কত্ব প্রদান করা হয়েছিল। সিরিজের প্রথম খেলায় দূর্বল ব্যাটিংয়ের কারণে পরাজিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা দল। দ্বিতীয় খেলায় প্রথম ইনিংসে ১১৭ রানে এগিয়েছিল স্বাগতিক দল। দলীয় ২৫০ রানের মধ্যে তার অংশগ্রহণ ছিল ৪১ রান। তাসত্ত্বেও খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকানরা ৮৭ রানে পরাজিত হয়।[11][12]
তৃতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা দল রান সংগ্রহের দিকে ধাবিত হলে খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়। নামি ডিন খেলায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। দলীয় সংগ্রহ ১৪৬/৭ থাকা অবস্থায় বুস্টার নুপেনকে নিয়ে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। উভয়েই পঞ্চাশোর্ধ্ব রান তুলেন ও ৭৭ রান তুলে তিনি বিদায় নেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও দক্ষিণ আফ্রিকানরা সর্বাত্মক ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করে খেলাটিকে ড্রয়ের দিকে নিয়ে যান। এ ইনিংসেও তিনি ৭৩ রান তুলেন।[13] তুলনামূলকভাবে ব্যাটিংয়ের চেয়ে ভালোমানের ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের ফলে দক্ষিণ আফ্রিকানরা চতুর্থ টেস্টে জয় পায়। ডিনের ব্যাটিংও দলের চার উইকেটের বিজয়ে প্রভূতঃ সহায়তা করে।[14] চূড়ান্ত টেস্টে আট উইকেটের জয় পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দল সিরিজ ড্র করতে সক্ষমতা দেখায়।[15]
অধিনায়ক হিসেবে সিরিজে পাঁচবারই টসে জয় পেয়েছিলেন নামি ডিন। তবে, তিনবারই প্রতিপক্ষ ইংরেজ দলকে ব্যাটিংয়ের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন যে, তার তরুণ দলটি প্রতিপক্ষের দূর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে ভালো খেলতে সক্ষম হবে।[16]
ইংল্যান্ড গমন, ১৯২৯
এ ফলাফলের প্রেক্ষিতে ১৯২৯ সালে ইংল্যান্ড সফরের জন্য নামি ডিনকে অধিনায়ক হিসেবে বহাল তবিয়তে রাখা হয়। উইজডেনে এ সফরে দলের জয় না থাকলেও তার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। ডিন দলের উচ্চমানের ফিল্ডিং নিশ্চিত করেছেন। মাঠ ও মাঠের বাইরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়েছেন।[17] ডিনের ব্যাটিংশৈলী দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতিষ্ঠা না পেলেও নির্ভুলভাবে দলকে পরিচালনা করেছেন।[17]
সফরের শুরুতে বেশ চমৎকারভাবে খেলা শুরু করেন। ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে প্রথম প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ৪২ ও দ্বিতীয় খেলায় লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৬৮ রান তুলেন।[18][19]
প্রথম টেস্টটি নিস্তেজ ছিল ও ড্রয়ে পরিণত হয়। উইজডেনের মতে, জীবন শূন্য। খেলায় দলের একমাত্র ইনিংসে ৪৪ রানের মধ্যে ডিনের অবদান ছিল ২৯। [20] লর্ডসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টটি ড্র হয়েছিল। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের সাথে পাল্লা দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকানরা অগ্রসর হয়। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে মন্দালোকের কারণে সম্ভাব্য পরাজয় এড়ায় তারা। কিন্তু, উভয় ইনিংসেই নামি ডিন ব্যর্থ হয়েছিলেন।[21] আঘাতে জর্জরিত দক্ষিণ আফ্রিকা দল তৃতীয় টেস্টে পরাজয়বরণ করে। এ টেস্টের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল টাপি ওয়েন-স্মিথ ও স্যান্ডি বেল শেষ উইকেট জুটিতে ১০৩ রান তুলে বাঁধার প্রাচীর গড়েছিলেন। এবারও ডিন তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি। চতুর্থ টেস্টে তার দল শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। ইংল্যান্ড দল তাদের একমাত্র ইনিংসে মাত্র সাত উইকেট খোঁয়ায় ও ইনিংস ব্যবধানে জয়ী হয়।[22][23]
ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা দল সিরিজে পরাজিত হয়েছে। এ অবস্থায় নামি ডিন নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা চালান। এ সফরে তিনি তার একমাত্র সেঞ্চুরি হাঁকান। হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে অপরাজিত ১৩৩ রান তুলেন মাত্র ১৪০ মিনিটে।[24] এ ইনিংসের কল্যাণে পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে ৫ নম্বরে ব্যাটিংয়ে অগ্রসর হন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র ইনিংসে তিনি যখন মাঠে নামেন তখন দলের সংগ্রহ ছিল ২৫/৩। এ অবস্থায় হার্বি টেলরের সাথে জুটি গড়ে ১৯০ মিনিটে ২১৪ রান তুলেন। ৯৩ রান তুলে তিনি আউট হন। এ ইনিংসটিই তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের সর্বোচ্চ ছিল। খেলাটি ড্র হয়েছিল।[25]
উইজডেনে লেখা হয় যে, উভয় খেলোয়াড়ই অত্যন্ত উচ্চ মার্গের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছেন। দলের অবস্থান বিবেচনা করলে টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকানদের কাছে থেকে সেরা হিসেবে বিবেচ্য।[26] এ সফরে ৩৪.৪১ গড়ে ১২৩৯টি প্রথম-শ্রেণীর রান পেয়েছিলেন নামি ডিন।
দলে প্রত্যাখ্যাত
এ সফরের পর খুব কমই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছেন নামি ডিন। ১৯২৯-৩০ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকায় মাত্র দুইটি খেলায় অংশগ্রহণ ছিল তার। ১৯৩০-৩১ মৌসুমে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলার জন্য ইংল্যান্ড দল দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করে। তবে, প্রথম টেস্টে নামি ডিনের অংশগ্রহণ ছিল না। বুস্টার নুপনেকে অধিনায়ক হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। খেলায় ১৫০ রানের বিনিময়ে ১১ উইকেট নিয়ে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্বল্প ব্যবধানে জয়লাভে স্বার্থকভাবে নেতৃত্ব দেন।[27] নুপনেকে দল থেকে বাদ দেয়ার শর্তে নামি ডিন খেলতে রাজী হন বলে উইজডেনে উল্লেখ করা হয়।[28]
এরপর ডিন অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। উভয় খেলাতেই ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি। তবে, উভয় খেলাই ড্রয়ে পরিণত হয়। ফলে, তার দল ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে।[29][30] তৃতীয় টেস্টের পর আবারও স্থানচ্যুত হন নামি ডিন। উইকেট-রক্ষক জক ক্যামেরন তার স্থলে অধিনায়কের দায়িত্ব লাভ করেন। এরপর তিনি আর কোন টেস্ট কিংবা প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেননি।
১৯২৯ ও ১৯৩০-৩১ মৌসুমে দল নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। এছাড়াও, ১৯৩১-৩২ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে দল নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি।[31]
দেহাবসান
২১ অক্টোবর, ১৯৩৯ তারিখে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে ট্রান্সভালের জোহেন্সবার্গে আকস্মিকভাবে হৃদযন্ত্রক্রীয়া বন্ধ হয়ে নামি ডিনের দেহাবসান ঘটে। এ প্রসঙ্গে উইজডেনে তার স্মরণে উল্লেখ করে যে, সন্দেহ নেই যে, তার উদ্দীপনায় ও দল গঠনে সতর্কপন্থা গ্রহণ করায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে প্রভূতঃ উন্নতি সাধিত হয়েছে।[31]
তথ্যসূত্র
- "Scorecard: Natal v Australian Imperial Forces"। www.cricketarchive.com। ১ নভেম্বর ১৯১৯। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১২।
- "Scorecard: Transvaal v Natal"। www.cricketarchive.com। ২৪ ডিসেম্বর ১৯২১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১২।
- "Scorecard: Transvaal v Orange Free State"। www.cricketarchive.com। ১৫ ডিসেম্বর ১৯২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১২।
- "Nummy Deane"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১২।
- "South Africans in England"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1925 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 2।
- "First-class Batting and Fielding in each Season by Nummy Deane"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১২।
- "Scorecard: Scotland v South Africans"। www.cricketarchive.com। ৩১ মে ১৯২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১২।
- "Test Batting and Fielding in each Season by Nummy Deane"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১২।
- "Scorecard: England v South Africa"। www.cricketarchive.com। ১২ জুলাই ১৯২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১২।
- "Scorecard: Transvaal v S. B. Joel's XI"। www.cricketarchive.com। ১৬ ডিসেম্বর ১৯২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১২।
- "Scorecard: South Africa v England"। www.cricketarchive.com। ২৪ ডিসেম্বর ১৯২৭। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১২।
- "Scorecard: South Africa v England"। www.cricketarchive.com। ৩১ ডিসেম্বর ১৯২৭। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১২।
- "Scorecard: South Africa v England"। www.cricketarchive.com। ২১ জানুয়ারি ১৯২৮। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১২।
- "Scorecard: South Africa v England"। www.cricketarchive.com। ২৮ জানুয়ারি ১৯২৮। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১২।
- "Scorecard: South Africa v England"। www.cricketarchive.com। ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯২৮। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১২।
- "Death of Mr H. G. Deane"। The Times (48443)। London। ২৩ অক্টোবর ১৯৩৯। পৃষ্ঠা 3।
- "South Africans in England"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1930 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 1–4।
- "Scorecard: Worcestershire v South Africans"। www.cricketarchive.com। ১ মে ১৯২৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১২।
- "Scorecard: Leicestershire v South Africans"। www.cricketarchive.com। ৪ মে ১৯২৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১২।
- "South Africans in England"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1930 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 22।
- "Scorecard: England v South Africa"। www.cricketarchive.com। ২৯ জুন ১৯২৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১২।
- "Scorecard: England v South Africa"। www.cricketarchive.com। ১৩ জুলাই ১৯২৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১২।
- "Scorecard: England v South Africa"। www.cricketarchive.com। ২৭ জুলাই ১৯২৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১২।
- "Scorecard: Hampshire v South Africans"। www.cricketarchive.com। ১৪ আগস্ট ১৯২৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১২।
- "Scorecard: England v South Africa"। www.cricketarchive.com। ১৭ আগস্ট ১৯২৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১২।
- "South Africans in England"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1930 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 44।
- "Scorecard: South Africa v England"। www.cricketarchive.com। ২৪ ডিসেম্বর ১৯৩০। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১২।
- "M.C.C. Team in South Africa"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1932 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 649।
- "Scorecard: South Africa v England"। www.cricketarchive.com। ১ জানুয়ারি ১৯৩১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১২।
- "Scorecard: South Africa v England"। www.cricketarchive.com। ১৬ জানুয়ারি ১৯৩১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১২।
- "Obituary 1939"। Wisden Cricketers' Almanack (1940 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 840।
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে নামি ডিন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে নামি ডিন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)