নাইজেল হাওয়ার্ড
নাইজেল ডেভিড হাওয়ার্ড (ইংরেজি: Nigel Howard; জন্ম: ১৮ মে, ১৯২৫ - মৃত্যু: ৩১ মে, ১৯৭৯) চেশায়ারের হাইড এলাকার জি ক্রসে জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ছিলেন।[1] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫১ থেকে ১৯৫২ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ইংল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | নাইজেল ডেভিড হাওয়ার্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | জি ক্রস, হাইড, চেশায়ার, ইংল্যান্ড | ১৮ মে ১৯২৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৩১ মে ১৯৭৯ ৫৪) ডগলাস, আইল অব ম্যান | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ব্যারি হাওয়ার্ড (ভ্রাতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৬৩) | ২ নভেম্বর ১৯৫১ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৪ জানুয়ারি ১৯৫২ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৪৬–১৯৫৩ | ল্যাঙ্কাশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৪৯–১৯৫৪ | মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন নাইজেল হাওয়ার্ড।
শৈশবকাল
নাইজেল হাওয়ার্ডের কনিষ্ঠ ভ্রাতা ব্যারি হাওয়ার্ড ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে খেলেছেন। তাদের পিতা বেশ কয়েকবছর ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। রোজাল স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। এ সময়েই রোজাল ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলেছেন। শুরু থেকেই প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯৪১ ও ১৯৪২ সালে কিশোর অবস্থাতেই ব্যাটিং গড়ে ক্লাবের শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়ের মর্যাদা পান। এছাড়াও, ক্রিকেটের পাশাপাশি গল্ফ ও হকি খেলায় দক্ষতা প্রদর্শন করায় উভয় ক্রীড়াতেই চেশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।[2]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
২৫ মে, ১৯৪৬ তারিখে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। মিডলসেক্সের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ ও ৩ রান করতে পেরেছিলেন। তাস্বত্ত্বেও ল্যাঙ্কাশায়ার দল সাত উইকেটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[3] ঐ বছরে তিনি এটিই একমাত্র খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৪৬ ও ১৯৪৭ সালে সাত খেলায় অংশ নিয়ে ১৪.৫৬ গড়ে ১৩১ রান তুলেন।[4]
১৯৪৮ সালে নিজেকে দলের নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেন।[2] এ মৌসুমে ২৩ খেলায় ৩৬.৩০ গড়ে ৯৪৪ রান তুলেন।[4] তন্মধ্যে, ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ১৪৫ রানের মনোরম সেঞ্চুরি করেন। পরবর্তীকালে এটিই তার খেলোয়াড়ী জীবনের সর্বোচ্চ রানরূপে স্বীকৃতি পায়।[2] ১৯৪৮ সালে কাউন্টি ক্যাপ লাভ করেন।[5]
অধিনায়কত্ব লাভ
১৯৪৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৩ বছর বয়সেই ল্যাঙ্কাশায়ারের অধিনায়কের মর্যাদা লাভ করেন। এরফলে, ল্যাঙ্কাশায়ারের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক মনোনীত হন তিনি। ১৯৫০ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা ভাগাভাগিতে দলকে পরিচালনা করেছিলেন নাইজেল হাওয়ার্ড। এরপর ২০১১ সাল পর্যন্ত ল্যাঙ্কাশায়ার আর কোন শিরোপা লাভ করতে পারেনি। ১৯৫৩ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবকে দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাঠে গুরুত্ব সহকারে কৌশল অবলম্বন করেছেন। সফরের দ্বিতীয়ার্ধ্বে দলের অসন্তুষ্টি স্বার্থকতার সাথে মোকাবেলা করেন। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৬ সময়কালে কাউন্টি ক্রিকেটে ধ্রুপদী ব্যাটসম্যান ছিলেন ও চমৎকার ফিল্ডার হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন।
টেস্ট ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে মাত্র চার টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। সবকটিতেই দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ভারত সফরে তার দল এক খেলায় জয় ও বাদ-বাকী তিনটিতে ড্র করে। তবে, আঘাতের কারণে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে ডোনাল্ড কার অধিনায়কের দায়িত্বে থাকলেও পরাজিত হলে সিরিজ ড্র হয়।
১৯৫১-৫২ মৌসুমে দ্বিতীয়সারির দলের নেতৃত্বে থেকে ভারত উপমহাদেশে আসেন। তিনি শৌখিন ক্রিকেটার ছিলেন। ২ নভেম্বর, ১৯৫১ তারিখে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে নাইজেল হাওয়ার্ডের।
ব্যক্তিগত জীবন
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর পারিবারিক টেক্সটাইল ব্যবসায়ে জড়িত হয়ে পড়েন। ১৯৭৬ সালে ব্যবসায় থেকে দূরে সরে আসেন। এরপর আইল অব ম্যানে চলে যান। ৩১ মে, ১৯৭৯ তারিখে আইল অব ম্যানের ডগলাস এলাকায় ৫৪ বছর দেহাবসান ঘটে নাইজেল হাওয়ার্ডের।[2]
তথ্যসূত্র
- Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 92। আইএসবিএন 1-869833-21-X।
- England / Players / Nigel Howard (Nigel Howard Wisden obituary), Cricinfo.com Retrieved on 21 December 2008.
- f16861: Lancashire v Middlesex County Championship 1946, CricketArchive.com Retrieved on 21 December 2008.
- First-class batting and fielding in each season by Nigel Howard, CricketArchive.com Retrieved on 21 December 2008.
- Nigel Howard, CricketArchive.com Retrieved on 21 December 2008.
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে নাইজেল হাওয়ার্ড (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে নাইজেল হাওয়ার্ড (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ফ্রেডি ব্রাউন |
ইংরেজ ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৫১-৫২ |
উত্তরসূরী লেন হাটন |