নয়আনী জমিদার বাড়ির রংমহল
নয়আনী জমিদার বাড়ির রংমহল বাংলাদেশের শেরপুর জেলায় অবস্থিত তৎকালীন জমিদারের রংমহল। রংমহলটি ২০০৩ সালে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। কিন্তু ২০১৪ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর স্থাপনাবিহীন এই পুরাকীর্তিকে প্রত্নতত্ত্বের তালিকায় লিপিবদ্ধ করে।[1][2]
নয়আনী জমিদার বাড়ির রংমহল | |
---|---|
স্থানীয় নাম জমিদার বাড়ি নাটমন্দির | |
ধরন | রংমহল |
অবস্থান | শেরপুর সদর উপজেলা |
নিকটবর্তী শহর | শেরপুর জেলা |
প্রতিষ্ঠাতা | নয়আনী জমিদার |
নির্মাণের কারণ | রংমহল |
ভেঙে ফেলা হয়েছে | ২০০৩ |
ইতিহাস
তৎকালীন নয়আনী জমিদার তার বাড়ির পাশে রংমহলটি স্থাপন করেন। জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত ও দেশবিভাগের পর মহলটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ১৯৬৪ সালে শেরপুর কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হলে এটি কলেজের ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ১৯৯২ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক আব্দুস সালাম রংমহলটির কিছু অংশের সংস্কার করেন। তিনি মহলটিকে স্থানীয় পুরাকীর্তি সংগ্রহশালা হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ২০০৩ সালে জেলা প্রশাসক এবিএম আব্দুস সাত্তারের সময়ে স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও মহলটি ভেঙ্গে ফেলা হয় ও নিলামে বিক্রি করে দেয়া হয়।[2][3]
তথ্যসূত্র
- "ময়মনসিংহ বিভাগের পুরাকীর্তি"। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। http://www.archaeology.gov.bd/। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
|প্রকাশক=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - সুশীল মালাকার (২১ জুন ২০১৫)। "অস্তিত্ব না থাকলেও প্রত্নতত্ত্ব তালিকায় আছে জমিদার বাড়ি!"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৬।
- "ঘুরে ঘুরে জমিদারিস্মৃতি খুঁড়ে..."। দৈনিক সমকাল। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৬।