নবনিন্দ্র বেহল

নবনিন্দ্র বেহল হলেন একজন ভারতীয় মঞ্চ নাটক এবং টেলিভিশন পরিচালক, লেখিকা এবং অভিনেত্রী[1]

নবনিন্দ্র বেহল
পেশাপরিচালক, লেখিকা, অভিনেত্রী
দাম্পত্য সঙ্গীললিত বেহল

প্রারম্ভিক জীবন

নবনিন্দ্র বেহল একটি জাট শিখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[1] মাত্র তিন বছর বয়সে তিনি মঞ্চ নাটকে অভিনয় শুরু করেছিলেন। স্কুল ও কলেজের নাটকে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি তিনি ভারতের পাটিয়ালার অপেশাদার মঞ্চ নাটকের সাথেও জড়িত ছিলেন। তিনি পাঞ্জাবি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।

পেশা

স্নাতক সম্পন্ন করার কিছুদিন পর, নবনিন্দ্র বেহল পাটিয়ালা পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক বিভাগে একজন অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। একাধিক মঞ্চ নাটক রচনা ও পরিচালনার পাশাপাশি, নবনিন্দ্র, প্রভাষক, পাঠক, অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান হিসাবে তাঁর ৩৭ বছরের কর্মজীবনে বহু মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র শিল্পীদের প্রশিক্ষণ ও তৈরি করার কাজ করে গেছেন। তিনি সিইসি (দিল্লিতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) দ্বারা অর্থায়িত অডিও ভিজ্যুয়াল রিসার্চ সেন্টারে তিন বছর পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও শিক্ষক প্রশিক্ষণ, অভিনয় এবং নাটক বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করা ছাড়াও তাঁর পাটিয়ালা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসাবে কাজ করার ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি অসংখ্য মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন। টেলিভিশন শিল্পে লেখিকা, অভিনেত্রী এবং পরিচালক হিসাবে তাঁর ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি টেলিভিশনের জন্য চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিকে কাজ করার পাশাপাশি দূরদর্শনের জন্য টেলিভিশন অনুষ্ঠানের লিপি রচনা করেছেন। এছাড়াও তিনি কেন্দ্রীয় ও পাঞ্জাব সরকারের বিভিন্ন বিভাগের জন্য তথ্যচিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল রিসার্চ সেন্টার, সিইসি, দিল্লি এবং চলচ্চিত্র বিভাগের দ্বারা আয়োজিত বিভিন্ন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানগুলো পরিচালনা করেছেন। চলচ্চিত্র জগতে একজন লেখক ও অভিনেত্রী হিসাবে তাঁর ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং গুলজার (মাচিস, ১৯৯৬), দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায় (ওয়ে লাকি! লাকি ওয়ে!), বিশাল ভরদ্বাজ (গুবারে)-এর মতো উচ্চমানের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সাথে কাজ করেছেন, এছাড়াও তিনি দ্য প্রাইড এবং দ্য গুরু-এর মতো হলিউডের চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন।

তিনি ইউপিএসসির (মঞ্চ নাটক ও গণমাধ্যম) নির্বাচন প্যানেল-এর একজন সদস্য ছিলেন এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতীয় থিয়েটার ডিপার্টমেন্ট, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, চণ্ডীগড়, দূরদর্শন কেন্দ্র, জলন্ধর ও দিল্লি সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ বোর্ডের তালিকায় রয়েছেন। পাটিয়ালার পাঞ্জাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য সিন্ডিকেট এবং সদস্য একাডেমিক কাউন্সিল হওয়া ছাড়াও তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, জয়পুর বিশ্ববিদ্যালয়, গড়ওয়াল বিশ্ববিদ্যালয়, অমৃতসরের জিএনডিইউ বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতার ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট, মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়-এর বিশিষ্ট পরিদর্শন অনুষদের প্যানেলে ছিলেন।

তথ্যসূত্র

  1. "Death of farmers' dreams"The Tribune। ৪ নভেম্বর ২০০৬। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৩

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.