নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট
নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট হল বিশ্ববিদ্যালয়টির সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড এ পদে নিয়োগ দিয়ে থাকে। তবে প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হতে হবে।[1]
নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট | |
---|---|
দায়িত্ব জন আই. জেনকিন্স ১ জুলাই ২০০৫ থেকে | |
নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র | |
বাসভবন | নটর ডেম, ইন্ডিয়ানা |
নিয়োগকর্তা | বোর্ড অব ট্রাস্টি |
গঠন | ১৪ জানুয়ারি ১৮৪৪ |
প্রথম | এডওয়ার্ড সরিন |
ওয়েবসাইট | প্রেসিডেন্টের কার্যালয় |
নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নটর ডেমে অবস্থিত একটি বেসরকারি অলাভজনক ক্যাথলিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়।[2][3] এটি স্নাতক পর্যায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পরিগণিত হয়।[4]
নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা— এডওয়ার্ড সরিন। বিশ্ববিদ্যালয়টি অনুমোদন পাওয়ার পর ১৮৪৪ সালে তিনি এ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[5] তখন থেকে এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিতে মোট ১৭ জন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জন আই. জেনকিন্স।[6] তিনি ২০০৫ সাল থেকে এ পদে অধিষ্ঠিত আছেন। সবচেয়ে দীর্ঘ সময় এ পদে কাজ করেছেন থিওডোর হেসবার্গ। তার ৩৫ বছরের দীর্ঘ মেয়াদে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে নারী শিক্ষার্থী ভর্তি চালু, আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ করেছিলেন এবং তার আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল।[7]
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড হলি ক্রস সন্ন্যাসীদের মধ্য থেকে একজনকে পাঁচ বছরের (নবায়নযোগ্য) জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করে।[8] এই প্রেসিডেন্টদের অনেকেই ছিলেন নটর ডেমের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
প্রেসিডেন্টদের তালিকা
- এডওয়ার্ড সরিন, সি.এস.সি. (১৮৪২–১৮৬৫)
- প্যাট্রিক ডিলন, সি.এস.সি. (১৮৬৫–১৮৬৬)
- উইলিয়াম কর্বি, সি.এস.সি. (১৮৬৬–১৮৭২ ও ১৮৭৭–১৮৮১)
- অগস্টে লেমোনিয়ার, সি.এস.সি. (১৮৭২–১৮৭৪)
- প্যাট্রিক কলোভিন, সি.এস.সি. (১৮৭৪–১৮৭৭)
- থমাস ই. ওয়ালশ, সি.এস.সি. (১৮৮১–১৮৯৩)
- অ্যান্ড্রু মোরিসে, সি.এস.সি. (১৮৯৩–১৯০৫)
- জন ডব্লিউ. ক্যাভানাঘ, সি.এস.সি. (১৯০৫–১৯১৯)
- জেমস এ. বার্নস, সি.এস.সি. (১৯১৯–১৯২২)
- ম্যাথিউ জে. ওয়ালশ, সি.এস.সি. (১৯২২–১৯২৮)
- চার্লস এল. ও’ডনেল, সি.এস.সি. (১৯২৮–১৯৩৪)
- জন ফ্রান্সিস ও’হারা, সি.এস.সি. (১৯৩৪–১৯৪০) (পরবর্তীতে কার্ডিনাল ও ফিলাডেলফিয়ার আর্চবিশপ)
- হাঘ ও'ডনেল, সি.এস.সি. (১৯৪০–১৯৪৬)
- জন জে. ক্যাভানাগ, সি.এস.সি. (১৯৪৬–১৯৫২)
- থিওডোর এম. হেসবার্গ, সি.এস.সি. (১৯৫২–১৯৮৭)
- এডওয়ার্ড ম্যালয়, সি.এস.সি. (১৯৮৭–২০০৫)
- জন আই. জেনকিন্স, সি.এস.সি. (২০০৫–বর্তমান)
সময়রেখা
তথ্যসূত্র
- "Archived copy"। ২০১৪-০২-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০২-১৫।
- "University of Notre Dame"। Carnegieclassifications.iu.edu। জানুয়ারি ৩, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১০, ২০১৫।
- "Edward Sorin"। Nndb.com।
- "College: University of Notre Dame"। Forbes। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৭।
- Report, Tribune Staff। "ND to celebrate Sorin's birthday"। South Bend Tribune (ইংরেজি ভাষায়)।
- "REACHING FOR GREATNESS"। chicagotribune.com।
- Thayer, Kate। "Theodore Hesburgh a visionary president who transformed Notre Dame"। Chicagotribune.com।
- Report, South Bend Tribune। "Notre Dame board elects Jenkins to third term"। South Bend Tribune (ইংরেজি ভাষায়)।